হাওর বার্তা ডেস্কঃ টানটান উত্তেজনা। শেষ ওভার পর্যন্ত রুদ্ধশ্বাস লড়াই। বলে বলে জয়ের স্বপ্ন খোঁজা। এ যেন বিনোদন আর সব পসরা সাজিয়ে যেন বসেছিল দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
সবাই বলবেন – এটাই তো ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। আর রোমাঞ্চে টইটম্বুর সে লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসল ভারত।
পাকিস্তানের দেওয়া ১৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট হাতে নেমে শুরুতেই ফের ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্মৃতি ফিরে এসেছিল ভারত শিবিরে। কেএল রাহুল, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের হারিয়েমারাত্মক চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত।
কিন্তু মাঝারি মানের লক্ষ্যটা ভালোই পার করে দিয়েছেন দুই অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা ও হার্দিক পাণ্ডিয়া। চাপ সামলে শেষ ওভারে ছক্কা মেরে ম্যাচ জেতালেন হার্দিক। ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ম্যাচের নায়ক হয়ে রইলেন এই অলরাউন্ডার।
ম্যাচ শেষে হার্দিকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভারত দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি বলেলেন, ‘প্রত্যাবর্তনের পর থেকে হার্দিককে আর চেনা যাচ্ছে না। অসাধারণ খেলছে। দলে না থাকার সময়েও ওকে কী করতে হবে এবং কী ভাবে নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে, সেটা সঠিক ভাবে পরিকল্পনা করেছে। নিজের ফিটনেসও সেই উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। এখন নিয়মিত ঘণ্টায় ১৪০ কিমির বেশি জোরে বোলিং করছে। ব্যাটিং নিয়ে তো আলাদা করে কিছু বলার নেই। ও কেমন ব্যাট করে সেটা সবাই জানি।’
এখানেই থামেননি রোহিত। তিনি আরও যোগ করেছন, ‘ফিরে আসার পর থেকে ওকে অনেক শান্ত মনে হচ্ছে। ব্যাট হোক বা বল, দুটো বিভাগেই ভাল খেলছে ও। আগের থেকেও জোরে বল করতে পারে। এখন বাউন্স দিতেও শিখে গেছে। নিজে কোন পরিস্থিতিতে কী ভাবে খেলতে পারে সেটা ওর পক্ষে আগে বোঝা দরকার ছিল। এখন সেটা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। প্রতি ওভারে ১০ রান দরকার হলে আমরা হয়তো ভয় পেতে পারি। কিন্তু হার্দিক পাবে না।’
এরপর ম্যাচ জয়ের কৃতিত্ব দলের পেসারদের দিলেন রোহিত। বললেন, ‘গত এক বছর ধরে আমাদের পেসাররা খুব ভালো খেলছে। প্রত্যেকেই বিভিন্ন পরিস্থিতিতে, চাপের মুখে ভালো খেলেছে। সেটাই এখন দেখতে পাচ্ছি আমরা।’
১৪৮ রানের সাধারণ লক্ষ্যও পার করতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়েছে ভারতীয় ব্যাটারদের – সে কথা স্বীকার করলেন রোহিত। তবে এভাবে ম্যাচ জেতাই তার বেশ পছন্দ বলে জানালেন হিটম্যান।
রোহিত জানালেন, নিজেদের ইনিংসে যখন মাঝপথে তারা, তখনই ম্যাচটা ভারতই জিতবে আত্মবিশ্বাস জমে যায় তার। তবে একঘেয়ে ম্যাচ জয়ের বদলে, এ রকম লড়াই করে জয় পাওয়াটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন।
ভারত দলের অধিনায়ক বললেন, ‘রান তাড়ার মাঝামাঝি সময়েও আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে, আমরা যে কোনও পরিস্থিতিতে জিততে পারি। ম্যাচটিতে কী ভাবে ফিরে আসা যায়, সে বিষয়ে আমরা এই দলকে সেই ধরনের আত্মবিশ্বাস দিতে চাই। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, সবাই তাদের ভূমিকা জানে। একতরফা জয়ের চেয়ে এমন ম্যাচ জেতা গুরুত্বপূর্ণ।