নিষিদ্ধ ‘বাটারফ্লাই মাইন’ ব্যবহার করছে ইউক্রেন

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দনেস্কে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অবস্থান লক্ষ্য ‘নিষিদ্ধ বাটারফ্লাই মাইন’ ব্যবহার করছে ইক্রেনের সেনাবাহিনী।

মস্কোর দাবি, দনেস্ক পুনর্দখল যুদ্ধে প্রতিদিন হাজার হাজার রকেট হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন। এর মধ্যে প্রায় ৩০০টি রকেটের সঙ্গে নিষিদ্ধ ‘বাটারফ্লাই মাইন’ ব্যবহার করছে। রাশিয়ার অভিযোগ, পশ্চিমা বিশ্ব এটা দেখেও না দেখার ভান ধরে আছে।

আরটি। রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দাবি, এখন পর্যন্ত ইউক্রেন থেকে ছোড়া প্রতিটি রকেটে তিন শতাধিক বাটারফ্লাই মাইন ব্যবহার করা হয়েছে।

রকেট বিস্ফোরণের পর চার পাশে ছড়িয়ে পড়ে এ মাইনগুলো, যা অঞ্চলটির বেসামরিক নাগরিকদের জীবনের জন্য চরম হুমকি।

দনেস্কে রকেট হামলার পরপরই তাই বেসামরিক নাগরিকদের ঘর থেকে বের না হওয়া এবং সময় রাস্তার দিকে তাকিয়ে হাঁটার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

শপিংমল, অ্যাপার্টমেন্টগুলোর সামনে, রাস্তায় ছড়িয়ে থাকা বাটারফ্লাই মাইনের ভিডিও ফুটেজ এরই মধ্যে সামাজিকমাধ্যমে শেয়ার করেছেন স্থানীয়রা।

সোমবার যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে নিষিদ্ধ মাইন ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে রাশিয়া।

এদিকে কয়েক দশক পর পারমাণবিক সংঘর্ষের ঝুঁকি আবারও ফিরে এসেছে। সোমবার এমন মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

এ কারণেই পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোকে প্রথমেই পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার না করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন গুতেরেস।

শনিবার ছিল বিশ্বের প্রথম পারমাণবিক বোমা হামলার ৭৭তম বার্ষিকী। ওই দিবসের স্মরণে টোকিওর এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ইউক্রেনের ঝাপোরিঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে রাশিয়ার আবারও হামলার খবর সামনে আসার পর এই মন্তব্য করেন তিনি। ইউক্রেনের ঝাপোরিঝিয়া পরমাণু স্থাপনাটি ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ।

অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই স্থাপনায় নতুন করে রাশিয়ার গোলাবর্ষণের খবরের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে গুতেরেস বলেন, পারমাণবিক প্ল্যান্টে যেকোনো আক্রমণ ‘আত্মঘাতী কাজ’।

ঝাপোরিঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে বোমাবর্ষণ নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়াকে দূষলেও রোববারই অবশ্য তা অস্বীকার করে প্রমাণ দেখিয়েছে মস্কো।

অন্যদিকে ইউক্রেনের কৃষ্ণসাগর বন্দর থেকে সোমবার ছেড়ে গেছে আরও দুটি শস্যবাহী জাহাজ। একটিতে রয়েছে ১১ হাজার টন সয়াবিন তেল অন্যটিতে ৪৮ হাজার ৪৫৮ টন শস্য। তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

সোমবার ইউক্রেনের বন্দর ত্যাগ করেছে ভুট্টা ও সয়াবিনবাহী দুটি জাহাজ। শস্য রপ্তানিতে বাধা উঠিয়ে নেওয়ার বিষয়ে গত সপ্তাহে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের চুক্তি হয়।

এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ১০টি জাহাজ কৃষ্ণসাগর বন্দর ছেড়ে গেছে। রোববার এক লাখ ৭০ হাজার টন শস্য ও সূর্যমুখী তেল নিয়ে ইউক্রেন বন্দর ছাড়া চারটি জাহাজ সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ ইন্তাম্বুল বন্দরে ভেড়ার কথা রয়েছে। আজ সেগুলো পর্যবেক্ষণ করা হবে। এরপর গন্তব্যে যাবে জাহাজগুলো।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর