আইসিটির অপব্যবহারের বিরুদ্ধে সকলকে সতর্ক করে দিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, সাইবার অপরাধ বন্ধে সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন। এ ধরনের অপরাধ রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা, আর্থিক ও ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট এমনকি ব্যক্তিগত গোপনীয়তায়ও হুমকি সৃষ্টি হতে পারে। আমি মনে করি সাইবার হামলা এক ধরনের যুদ্ধ।
বুধবার বিশ্ব টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য দিবস পালন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এ ধরনের সাইবার অপরাধে আর্থিক ও ব্যাংক ম্যানেজমেন্টে হুমকি সৃষ্টি হয়েছে। এটি সকলের জন্যই উদ্বেগের বিষয়।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আইসিটির এ ধরনের অপব্যবহার থেকে সমাজ, জাতি ও রাষ্ট্রকে কিভাবে রক্ষা করা যায়, সে বিষয়ে আমাদেরকে এখন ভাবতে হবে। এটি রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা এবং আর্থিক ও ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট ধ্বংস করে দিচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে সমাজের উন্নয়নের জন্য আইসিটির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, বর্তমান সরকার প্রযুক্তি, জ্ঞান ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে চায়। ২০০৯ সালের পর থেকে সরকার ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে তৃণমূল পযার্য়ে টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি সুবিধা পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিভিন্ন স্থানে ডিজিটাল স্বাক্ষর চালু এবং একটি হাইটেক পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং সরকারি অফিস আইসিটি নেটওয়ার্কের অধীনে নিয়ে আসতে হবে।
দেশে টেলিফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকার দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু উৎক্ষেপণের জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নিয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ইমরান আহমেদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ফায়জুর রহমান চৌধুরী এবং বিআরটিসির চেয়ারম্যান ড. শাজাহান মাহমুদ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।