হাওর বার্তা ডেস্কঃ সুদূর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক রেখায় মিলিত হলো বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও ক্রিকেট।
এক অনুষ্ঠানে পাশাপাশি চেয়ারে বসে ভক্ত-অনুরাগীদের প্রশ্নের জবাব দিলেন ঢাকাই ছবির সুপারস্টার শাকিব খান ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান।
শুক্রবার নিউইয়র্কের ‘ওয়ার্ল্ড ফেয়ার ম্যারিনায়’ যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রাত ৮টায় অনুষ্ঠিত ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট উইথ দ্য ওয়ার্ল্ড সুপারস্টার সাকিব আল হাসান অ্যান্ড ঢালিউড কিং শাকিব খান’ – এ অতিথি হিসেবে যোগ দেন তারা।
অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) নিয়ে সাকিবকে প্রশ্ন করেন ভক্তরা।
উপস্থিত এক প্রবাসী সরাসরিই সাকিবকে জিজ্ঞেস করেন, ২০২২ সালের আইপিএলে দল পাননি আপনি। ২০১৯ সালের আইপিএলে দল পেলেও মাঠে নামতে পারেননি সেভাবে। আগামী আইপিএলে সুযোগ পেলে সাকিব খেলবেন?
উত্তরে সাকিব জানালেন, আইপিএল খেলতে ক্রিকেটারদের স্কিল বাড়ে। তাই সুযোগ না পেলেও আইপিএল বয়কট করার কোনো ইচ্ছে নেই তার।
আইপিএলসহ বিশ্বের অন্যান্য টি-টোয়েন্টি লিগ খেললে ক্রিকেটারের কী কী উপকার হয় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন সাকিব।
আইপিএলে দল না পেয়ে হতাশা বা ক্ষোভের কারণ নেই এমনটিই ভাষ্য সাকিবের।
দেশসেরা এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘দেখুন, এখানে আবেগ দিয়ে ভাবলে চলবে না। আবেগ দিয়ে সবসময় সব কিছু বিবেচনা করা যায় না। আইপিএল এমন একটা মঞ্চ এখন, আপনি স্বীকার করেন বা না করেন পুরো বিশ্ব ক্রিকেটই চায় এমন একটা জায়গায় খেলতে। এখানে খেলাটা সব খেলোয়াড়ের জন্যই ভালো একটা সুযোগ। এখান থেকে যে অভিজ্ঞতাটা আপনি পান সেটি অনেক বড় কিছু।’
আইপিএলের প্রশংসায় সাকিব বলেন, ‘২০১৯ বিশ্বকাপের আগের আইপিএলে আমি পুরো দেড় মাস আমি ওখানে বসেছিলাম। কোনো ম্যাচ খেলিনি। তবে ওখানে থাকার কারণে জনি বেয়ারস্টো, রশিদ খান, ডেভিড ওয়ার্নার, কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে থেকে দেখেছি, যে বিশ্বসেরা কীভাবে হওয়া যায়। বিশ্ব ক্রিকেটকে যে ওরা লিড করে সেটি কী কারণে করে, সেটি আমি ওখান থেকেই জেনেছি। ওখানে যদি না যেতাম কখনেই জানতে পারতাম না। আর ২০১৯ বিশ্বকাপে তার ফল আমি পেয়ছি। আইপিএল বলেন সিপিএল বলেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে যে অভিজ্ঞতা পাওয়া যায় তা দেশের ক্রিকেটেরই লাভ হবে। শুধু আইপিএল না অন্য যে কোনো টুর্নামেন্ট বয়কট করার কোনো মানেই হয় না।’