ঢাকা ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাওলা হাটে উঠতে শুরু করেছে কোরবানির পশু

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪০:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ জুলাই ২০২২
  • ১৩৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মুসলিমদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। এ ঈদকে ঘিরে রাজধানী ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৮টি পশুর হাট বসেছে।

তার মধ্যে অন্যতম রাজধানীর কাওলা শিয়ালডাঙ্গা পশুর হাট।

সরেজমিনে কাওলা হাট ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার দু’পাশে সারি সারি বাঁশের খুঁটি বসিয়ে গরু বাঁধার স্থান তৈরি করা হয়েছে। নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে তৈরি করা হয়েছে একাধিক শেড। পশু ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের জন্য রাখা হয়েছে নিরাপদ পানি ও পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা।

শুক্রবার (০১ জুলাই) থেকে বিক্রেতারা তাদের পশু নিয়ে আসতে শুরু করছেন। তবে বেচাকেনা ভালোভাবে শুরু হতে আরও সময় লাগবে।

এদিন বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে লুৎফুল্লাহ নামে এক ব্যবসায়ী প্রথম দুটি গরু নিয়ে হাটে আসেন।

তার দশমিনিট পরে মাসুদ মিয়া নামে আরেক গরু ব্যবসায়ী আসেন আরও দুটি গরু নিয়ে।

এমনিতে ঈদের দুই-তিনদিন আগে থেকে কোরবানির পশুর হাট জমজমাট হয়। এর আগে ভিড় থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা কম থাকে। লোকজন আসেন, ঘুরে ঘুরে হাটে ওঠা পশু দেখেন।

চলতি বছর কাওলা শিয়ালডাঙ্গা হাটটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ইজারা পেয়েছেন তৌফিকুর রহমান। তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিসুর রহমান নাঈমের ব্যক্তিগত সহকারী এবং দক্ষিণখান থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।

তিনি জানান, সারাদেশ থেকেই এই হাটে গরু আসে। অনেক পাইকার ও খামারিরা ইতোমধ্যেই হাট সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের স্থান বুকিং দিয়েছেন। এতে ইজারাদাররাও সংশ্লিষ্টদের নাম, কতটুকু স্থান নেবেন তা উল্লেখ করে নির্ধারিত স্থানে পোস্টারও ঝুলিয়ে দিয়েছেন। এছাড়া ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সুবিধার্থে স্বেচ্ছাসেবকরা সব সময় মাঠে থাকবেন।

বিক্রেতা লুৎফুল্লাহ বলেন, আমি নিজেই গরু লালন-পালন করি। আজ ২টি দেশি গরু নিয়ে হাটে এসেছি। বিক্রি ভালো হলে সামনে আরও গরু নিয়ে আসবো।

তিনি আরও বলেন, এ বছর গো-খাদ্যের দাম অনেক বাড়তি। মানুষের খাবারের থেকেও গরুর খাবারের দাম বেশি। ভুষিসহ বিভিন্ন খাবারের দাম শতকরা ৪০ শতাংশ বেড়েছে। সেজন্য ভালো দাম না পেলে পোষাবে না।
দেশে এখন পর্যন্ত ভারতীয় গরু আসেনি। তবে সামনেও যেন  ভারতীয় গরু ঢুকতে না দেওয়া হয়। চাহিদা পূরণের জন্য দেশেই পর্যাপ্ত গরু রয়েছে বলে জানান তিনি।

কাওলা হাট এলাকার মুদি ব্যবসায়ী সবুজ হোসেন বলেন, এলাকার হাট হিসেবে বেশিরভাগ সময় এখান থেকেই পশু কেনেন স্থানীয়রা। ঈদের কাছাকাছি সময়ে বিক্রি বেশি হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

কাওলা হাটে উঠতে শুরু করেছে কোরবানির পশু

আপডেট টাইম : ০৪:৪০:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ জুলাই ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মুসলিমদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। এ ঈদকে ঘিরে রাজধানী ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৮টি পশুর হাট বসেছে।

তার মধ্যে অন্যতম রাজধানীর কাওলা শিয়ালডাঙ্গা পশুর হাট।

সরেজমিনে কাওলা হাট ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার দু’পাশে সারি সারি বাঁশের খুঁটি বসিয়ে গরু বাঁধার স্থান তৈরি করা হয়েছে। নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে তৈরি করা হয়েছে একাধিক শেড। পশু ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের জন্য রাখা হয়েছে নিরাপদ পানি ও পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা।

শুক্রবার (০১ জুলাই) থেকে বিক্রেতারা তাদের পশু নিয়ে আসতে শুরু করছেন। তবে বেচাকেনা ভালোভাবে শুরু হতে আরও সময় লাগবে।

এদিন বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে লুৎফুল্লাহ নামে এক ব্যবসায়ী প্রথম দুটি গরু নিয়ে হাটে আসেন।

তার দশমিনিট পরে মাসুদ মিয়া নামে আরেক গরু ব্যবসায়ী আসেন আরও দুটি গরু নিয়ে।

এমনিতে ঈদের দুই-তিনদিন আগে থেকে কোরবানির পশুর হাট জমজমাট হয়। এর আগে ভিড় থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা কম থাকে। লোকজন আসেন, ঘুরে ঘুরে হাটে ওঠা পশু দেখেন।

চলতি বছর কাওলা শিয়ালডাঙ্গা হাটটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ইজারা পেয়েছেন তৌফিকুর রহমান। তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিসুর রহমান নাঈমের ব্যক্তিগত সহকারী এবং দক্ষিণখান থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।

তিনি জানান, সারাদেশ থেকেই এই হাটে গরু আসে। অনেক পাইকার ও খামারিরা ইতোমধ্যেই হাট সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের স্থান বুকিং দিয়েছেন। এতে ইজারাদাররাও সংশ্লিষ্টদের নাম, কতটুকু স্থান নেবেন তা উল্লেখ করে নির্ধারিত স্থানে পোস্টারও ঝুলিয়ে দিয়েছেন। এছাড়া ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সুবিধার্থে স্বেচ্ছাসেবকরা সব সময় মাঠে থাকবেন।

বিক্রেতা লুৎফুল্লাহ বলেন, আমি নিজেই গরু লালন-পালন করি। আজ ২টি দেশি গরু নিয়ে হাটে এসেছি। বিক্রি ভালো হলে সামনে আরও গরু নিয়ে আসবো।

তিনি আরও বলেন, এ বছর গো-খাদ্যের দাম অনেক বাড়তি। মানুষের খাবারের থেকেও গরুর খাবারের দাম বেশি। ভুষিসহ বিভিন্ন খাবারের দাম শতকরা ৪০ শতাংশ বেড়েছে। সেজন্য ভালো দাম না পেলে পোষাবে না।
দেশে এখন পর্যন্ত ভারতীয় গরু আসেনি। তবে সামনেও যেন  ভারতীয় গরু ঢুকতে না দেওয়া হয়। চাহিদা পূরণের জন্য দেশেই পর্যাপ্ত গরু রয়েছে বলে জানান তিনি।

কাওলা হাট এলাকার মুদি ব্যবসায়ী সবুজ হোসেন বলেন, এলাকার হাট হিসেবে বেশিরভাগ সময় এখান থেকেই পশু কেনেন স্থানীয়রা। ঈদের কাছাকাছি সময়ে বিক্রি বেশি হয়।