হাওর বার্তা ডেস্কঃ মৌচাক থেকে বেশি দূরে যেতে পারবে না মৌমাছিরা। প্রহরীদের কড়া নির্দেশে বলা হয়েছে, মৌমাছিদের গতিবিধি যে কোনো মূল্যে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। মৌচাকেই বন্দি থাকতে হবে মৌমাছিদের।
এক প্রাণঘাতী ভাইরাসের হাত থেকে মধুকরদের বাঁচাতে সম্প্রতি এই ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। রোগ যাতে না বাড়ে, তাই কোয়ারেন্টিন জোন বানিয়ে রোগগ্রস্ত কয়েক লাখ মৌমাছিকে আলাদা করা হয়েছে। লাগাম টানা হয়েছে কাছাকাছি এলাকার মৌমাছি চাষের কেন্দ্রগুলোতেও। ঠিক যেমন করোনা ঠেকাতে লকডাউন ঘোষণা করে ঘরবন্দি করা হয়েছিল মানুষকে।
নিয়ম যাতে মানা হয়, তার জন্য পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ায় অবশ্য এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বি-কিপারদের। পরজীবী ওই পোকার নাম ভারোয়া ডেস্ট্রাক্টর। গত সপ্তাহে সিডনির এক বন্দরে প্রথম খোঁজ পাওয়া যায় ভারোয়ার। তার কয়েক দিনের মধ্যেই ওই বন্দর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরের একটি মৌচাকে ভারোয়া সংক্রমণের রিপোর্ট দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা।
তার পরই ওই মৌচাক এবং তার সংলগ্ন মৌমাছি চাষের এলাকাগুলোকে একটি বায়ো সিকিউরিটি জোনে ঘিরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া প্রশাসন। আক্রান্ত স্থানের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে যে কোনো ধরনের মৌচাক ধ্বংসের নির্দেশ দেয়। প্রায় ৮৩ বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার সমমূল্যের কৃষি শিল্পের জন্য মৌমাছি পরাগয়ানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এএফপি।