নেত্রকোনায় সীমান্ত বাজার কলমাকান্দা প্লাবিত

বিজয় দাস, প্রর্তিনিধি নেত্রকোনাঃ টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে দ্বিতীয় দফায় প্লাবিত নেত্রকোনার সীমান্ত বাজার কলমাকান্দা । দিশেহারা উপজেলার বিভিন্ন গ্ৰামের মানুষ। চরম দুর্ভোগ মানুষের। পানিবন্দী মানুষ ও গবাদি পশু। তলিয়ে গেছে মানুষের বীজতলা।মৎসচাষীদের নেই পুকুরে মাছ। রাস্তাঘাট ও কাচা ঘরবাড়ী বিধ্বস্ত। হুমকির মুখে ব্রীজ কার্লভাটগুলো। উব্দাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এমএল সৈকত জানান, সীমান্ত বাজার কলমাকান্দা সংলগ্ন উব্দাখালি নদীর পানি বিপৎসীমার ২৫ সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে নাসোমেস্বরী,ধনু,বিশনাই,কংস মগড়া নদীর পানি বাড়ছে। বাড়ছে মোহনগঞ্জ,খালিয়াজুরী উপজেলার হাওর অঞ্চলের পানি ও বাড়ছে।

কলমাকান্দা বাজারের ব্যবসায়ী কাজল দাস জানান, বাজারে বিভিন্ন সড়ক বন্যর পানিতে তলিয়ে গেছে। নৌকা দিয়ে মানুষ চলাচল করছে। কেউ কেউ ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন দিয়ে চলাচল করছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বাজার ছেড়ে চলে যেতে হবে অনেক
পরিবারকে। অসুস্থ হয়ে পড়বেন অনেকেই।

খেয়া নৌকায় নিমজ্জিত অংশ পারপার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। কেউ কেউ হাঁটুপানি ভেঙে ঝুঁকি নিয়ে চালাচ্ছেন যানবাহন। কলমাকান্দা উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। অনেক পরিবারে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। পানিবন্দি জীবন যাপন করছেন প্রায় ৮ ইউনিয়নের মানুষ। শুক্রবার বিকালে বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে ঘুরে এই চিত্রই দেখা গিয়েছে।

এ বছর বর্যা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই বিস্তীর্ণ এলাকা অতি বৃষ্টির ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছিল কৃষকের ৫০০ একর এর বেশি কৃষি জমি। বন্যা পরবর্তী কি হবে-তা নিয়ে দুঃচিন্তা বন্যার্ত মানুষের। পর পর দু,বার বন্যায় প্লাবিত এ অঞ্চলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায উৎবিঘ্ন হয়ে পড়েছে মানুষ।
এ পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রশাসনকে যেমন বন্যাদুর্গত গরিব দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে তেমন এগিয়ে আসতে হবে সমাজের অবস্থাপন্ন মানুষদের।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন,বনলতা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি।নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর