বিজয় দাস, প্রর্তিনিধি নেত্রকোনাঃ অতিবর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী নদীর তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে করে উপজেলার সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর ইউনিয়নের উওর ফারংপাড়া ও ভবানীপুর গ্রামের বেশকিছু অংশ ভেঙে গেছে। নদী ভাঙ্গন আতঙ্কে শত শত পরিবারের মানুষ।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদীর ভাঙ্গনে বিলিন হতে চলেছে দুই গ্রামের চলাচলের একমাত্র রাস্তা। এতে নদীর তীরের দুই গ্রামের মানুষ আতঙ্কের মধ্যে আছেন। হুমকির মুখে রয়েছে ফসলি জমি, বসতভিটা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ভাঙ্গন রোধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া না হলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
বর্তমানে ভাঙ্গনের আতঙ্কে সেখানকার শত শত পরিবার। ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ওই এলাকায় স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
শিক্ষার্থী দিবস সাহা জানান, উত্তর ফারংপাড়া থেকে ভবানীপুর এলাকার রাস্তায় যেভাবে নদী ভাংঙ্গন শুরু হয়েছে তা অব্যাহত থাকলে রাস্তা নদীগর্ভে চলে যাবে। এতে করে ওই গ্রামের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ব্যবস্থা নাজুক হয়ে পড়বে। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের আবেদন জানাই।
উওর ফারংপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ফজর আলী জানান, রাস্তার দুই কিলোমিটার অংশে যেভাবে ভাংঙ্গন শুরু হয়েছে তাতে ঋ বাড়িঘর জমিজমা অনিশ্চয়তার মুখে রয়েছে। সরকারের কাছে তাদের দাবি এই জায়গায় স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের যেনো ব্যবস্থা করে দেয়। তা না হলে ভিটেমাটি জমিজমা হারিয়ে নিংস্ব হয়ে যাবে তারা।
ইতিমধ্যে নদীভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দেন ইউএনও মোহাম্মদ রাজীব উল আহসান।
এ বিষয়ে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন লাল সৈকত জানান, আমাদের অফিসের লোকজনকে মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছেন। দ্রুত নদী ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।