ঢাকা ০৭:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিনা উদ্ভাবিত মুগ ডাল চাষে লাভ দ্বিগুণ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:০৮:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুন ২০২২
  • ২২৪ বার

 

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত ডালের জাত ‘বিনা মুগ-৮’ এর বাম্পার ফলন হয়েছে গোপালগঞ্জে। ঠিক এ্কই রকম বিনা উদ্ভাবিত মুগ ডাল-৯ চাষে লাভ দ্বিগুণ হতে পারে।

বিনা উদ্ভাবিত মুগসহ বিভিন্ন জাতের ফসলের আবাদ করে কৃষক ভালো ফলন পাচ্ছে। তাই কৃষকদের মধ্যে বিনার জাত আবাদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। বিনামুগ -৯ এর ফলন হেক্টরে ১.৮ টন। যেখানে সাধারণ স্থানীয় জাত থেকে ১ টন ফলন পেতেই হিমসিম খান চাষিরা।

জাতের নামঃ 
বিনামুগ -৯

জাতের বৈশিষ্ট্যঃ
বিনামুগ -৯ এর জীবনকাল ৬০-৬৪ দিন, বীজের আকার বড় বীজের রং সবুজ।

উপযোগী এলাকাঃ
বেলে দো-আশ ও এটেল দো-আশ মাটি মুগ চাষের উপযোগী। তবে লবণাক্ত ও জলাবদ্ধ এলাকা ব্যতীত সারা বাংলাদেশে চাষাবাদ করা যায়।

বপনের সময়ঃ
অঞ্চলভেদে কিছুটা তারতম্য আছে। বরিশাল বিভাগের জেলাসমূহে জানুয়ারির ২য় সপ্তাহ হতে ফেব্রুযারির ২য় সপ্তাহ পর্যন্ত মুগের বীজ বপনের উপযুক্ত সময়। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে মধ্য ফেব্রুযারির থেকে মার্চের শেষ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বীজ বপন করতে হয়।

বীজ শোধনঃ
বীজ বপন করার সময় পিপড়ার আক্রমন হতে রক্ষার জন্য বীজ বপনের সাথেই সেভিন পাউডার বপনকৃত বীজের লাইনের সাথে ছিটিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।

সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ
সারের মাত্রাঃ শেষ চাষের সময় নিমে ণউলেস্নখিত পরিমাণ সার জমিতে প্রয়োগ করতে হবে। হেক্টর প্রতি ৩০-৪০ কেজি ইউরিয়া, ৫০-৭০কেজি টিএসপি এবং ৩৫-৪০ কেজি এমওপি।

আগাছা দমন এবং মালচিংঃ
চারা গজানোর পর জমিতে আগাছা দেখা দিলে ১৫-২৫ দিন পর নিড়ানী দিয়ে হালকাভাবে আগাছাগুলো পরিস্কার করে ফেলতে হয়। এতে ভাল ফলন পাওয়া যায়।

বালাই ব্যবস্থাপনাঃ
পাতায় সার্কোস্পরা দাগ এবং হলুদ মোজাইক ভাইরাস রোগ সহ্য ক্ষমতাসম্পন্ন। সাধারণতঃ কোন ছত্রাক নাশক ব্যবহারের প্রয়োজন পরে না। তবে ছত্রাকজনিত রোগের মারাত্মক আক্রমণ হলে ডায়াথেন এম-৪৫ বা অন্য কোন ছত্রাক নাশক ফসলী জমিতে স্প্রে আকারে প্রয়োগ করা যেতে পারে। বপনের পূর্বে প্রতি কেজি বীজ ২.০ গ্রাম ভিটাভেক্স-২০০ দ্বারা শোধন করলে রোগের আক্রমণ কম হয়। তাছাড়া এ জাতের পোকা আক্রমণও তুলনামূলকভাবে যথেষ্ট কম। পোকামাকড়ের আক্রমণ হলে ডায়াজিনন বা ম্যালাথিয়ন-৫৭ ইসি ইত্যাদি কীটনাশক মাত্রা অনুযায়ী স্প্রে করলে সুফল পাওয়া যায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বিনা উদ্ভাবিত মুগ ডাল চাষে লাভ দ্বিগুণ

আপডেট টাইম : ০৮:০৮:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুন ২০২২

 

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত ডালের জাত ‘বিনা মুগ-৮’ এর বাম্পার ফলন হয়েছে গোপালগঞ্জে। ঠিক এ্কই রকম বিনা উদ্ভাবিত মুগ ডাল-৯ চাষে লাভ দ্বিগুণ হতে পারে।

বিনা উদ্ভাবিত মুগসহ বিভিন্ন জাতের ফসলের আবাদ করে কৃষক ভালো ফলন পাচ্ছে। তাই কৃষকদের মধ্যে বিনার জাত আবাদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। বিনামুগ -৯ এর ফলন হেক্টরে ১.৮ টন। যেখানে সাধারণ স্থানীয় জাত থেকে ১ টন ফলন পেতেই হিমসিম খান চাষিরা।

জাতের নামঃ 
বিনামুগ -৯

জাতের বৈশিষ্ট্যঃ
বিনামুগ -৯ এর জীবনকাল ৬০-৬৪ দিন, বীজের আকার বড় বীজের রং সবুজ।

উপযোগী এলাকাঃ
বেলে দো-আশ ও এটেল দো-আশ মাটি মুগ চাষের উপযোগী। তবে লবণাক্ত ও জলাবদ্ধ এলাকা ব্যতীত সারা বাংলাদেশে চাষাবাদ করা যায়।

বপনের সময়ঃ
অঞ্চলভেদে কিছুটা তারতম্য আছে। বরিশাল বিভাগের জেলাসমূহে জানুয়ারির ২য় সপ্তাহ হতে ফেব্রুযারির ২য় সপ্তাহ পর্যন্ত মুগের বীজ বপনের উপযুক্ত সময়। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে মধ্য ফেব্রুযারির থেকে মার্চের শেষ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বীজ বপন করতে হয়।

বীজ শোধনঃ
বীজ বপন করার সময় পিপড়ার আক্রমন হতে রক্ষার জন্য বীজ বপনের সাথেই সেভিন পাউডার বপনকৃত বীজের লাইনের সাথে ছিটিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।

সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ
সারের মাত্রাঃ শেষ চাষের সময় নিমে ণউলেস্নখিত পরিমাণ সার জমিতে প্রয়োগ করতে হবে। হেক্টর প্রতি ৩০-৪০ কেজি ইউরিয়া, ৫০-৭০কেজি টিএসপি এবং ৩৫-৪০ কেজি এমওপি।

আগাছা দমন এবং মালচিংঃ
চারা গজানোর পর জমিতে আগাছা দেখা দিলে ১৫-২৫ দিন পর নিড়ানী দিয়ে হালকাভাবে আগাছাগুলো পরিস্কার করে ফেলতে হয়। এতে ভাল ফলন পাওয়া যায়।

বালাই ব্যবস্থাপনাঃ
পাতায় সার্কোস্পরা দাগ এবং হলুদ মোজাইক ভাইরাস রোগ সহ্য ক্ষমতাসম্পন্ন। সাধারণতঃ কোন ছত্রাক নাশক ব্যবহারের প্রয়োজন পরে না। তবে ছত্রাকজনিত রোগের মারাত্মক আক্রমণ হলে ডায়াথেন এম-৪৫ বা অন্য কোন ছত্রাক নাশক ফসলী জমিতে স্প্রে আকারে প্রয়োগ করা যেতে পারে। বপনের পূর্বে প্রতি কেজি বীজ ২.০ গ্রাম ভিটাভেক্স-২০০ দ্বারা শোধন করলে রোগের আক্রমণ কম হয়। তাছাড়া এ জাতের পোকা আক্রমণও তুলনামূলকভাবে যথেষ্ট কম। পোকামাকড়ের আক্রমণ হলে ডায়াজিনন বা ম্যালাথিয়ন-৫৭ ইসি ইত্যাদি কীটনাশক মাত্রা অনুযায়ী স্প্রে করলে সুফল পাওয়া যায়।