ঢাকা ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে কারণে টেকেনি জয়া-ফয়সালের ১৩ বছরের সংসার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৩:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ জুন ২০২২
  • ১২১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ২০১৩ সালে কলকাতায় অভিনয়ে হাতেখড়ি হওয়ার পর জয়া আহসানের জনপ্রিয়তা তর তর করে বেড়ে যায়। অনেকের মতে, কলকাতায় এই অভিনেত্রীর জনপ্রিয়তা বাংলাদেশের চেয়েও বেশি।

বয়স পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই, কিন্তু বয়সকে সংখ্যা বানিয়ে রূপে, অভিনয়ে মুগ্ধ করে রেখেছেন দুই বাংলার সিনেপ্রেমীদের।

এই বয়সেও গ্ল্যামার ছড়িয়ে যাচ্ছেন ঝর্ণাধারার ন্যায়। একটার পর একটা পুরস্কার পেয়ে যাচ্ছেন এই সুদর্শনী।

তবে হঠাৎ করেই জয়ার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কৌতূহলী হয়ে উঠেছেন সিনেপ্রেমীরা। কলকাতা ও বাংলাদেশ- তার দুই বাংলার অনুরাগীরাই জানতে চান, কী কারণে টেকেনি অভিনেত্রীর সংসার? আর বিচ্ছেদের পর এতোদিন ধরে কেন সিঙ্গেলই রয়ে গেলেন!

এ কথা সবারই জানা, জয়ার প্রথম স্বামী মডেল-অভিনেতা ফয়সাল মাসুদ। ফয়সালকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন জয়া। বাংলাদেশের জমিদার পরিবারের ছেলে ফয়সাল ছিলেন বিত্তবান। জয়ার সঙ্গে ফয়সালের দেখা হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। সেই প্রথম দেখার কথা ফয়সাল বলেছিলেন এক সাক্ষাৎকারে।

কিভাবে তিক্ত সম্পর্ক প্রেমে রূপ নিয়েছিল সে গল্পটাও জানা অনেকের।

ফয়সাল ও জয়া দুজনেই বলেছিলেন, একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন জয়া ও ফয়সাল। সেখানেই প্রথম দেখা। এক ঘণ্টা দেরি করে আসেন ফয়সাল। মেক-আপের পর অপেক্ষা করতে হয়েছিল জয়াকে। রেগে গিয়ে ফয়সালের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন জয়া, নানান তিক্ত কথা শুনিয়ে দেন। এই রাগই আবার অনুরাগে বদলাতে বেশি সময় নেয়নি। ফোনে কথা বলতে বলতেই একে অপরের গভীর প্রেমে পড়েন। প্রেমের পরিণতি টানেন বিয়ের মাধ্যমে। এরপর দুজনে সংসার করেন ১৩ বছর।

সেই ১৩ বছরের সংসার কেন ভাঙল তা এতোদিন রহস্যাবৃতই ছিল। এত দিন পর তার পর্দা ফাঁস করলেন ফয়সাল নিজেই।

কলকাতার গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, বিয়ের পরেও একসঙ্গে কাজ করছিলেন জয়া-ফয়সাল। জনপ্রিয় তারকা জুটিও হয়ে উঠেছিলেন। এরপরই ছন্দপতন। জনপ্রিয়তা বাড়ছিল জয়ার। সে তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে ছিলেন ফয়সাল। এই সাফল্যই হয়তো তাদের দাম্পত্যে ফাটল ধরিয়ে দেয়। মনোমালিন্য বাড়তে থাকে। এতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব ক্রমশ বাড়তেই থাকে। ফয়সাল চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু সেই দুরত্ব আর কমাতে পারেনি। ফাটল বড় হতে হতে যা বিচ্ছিন্নতায় রূপ নেয়।  অর্থাৎ বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে তাদের। ২০১১ সালে পাকাপাকিভাবে আলাদা হয়ে যান তারা।

তবে বিচ্ছেদের বিষয়ে জয়ার পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য আসেনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

যে কারণে টেকেনি জয়া-ফয়সালের ১৩ বছরের সংসার

আপডেট টাইম : ১১:৩৩:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ জুন ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ২০১৩ সালে কলকাতায় অভিনয়ে হাতেখড়ি হওয়ার পর জয়া আহসানের জনপ্রিয়তা তর তর করে বেড়ে যায়। অনেকের মতে, কলকাতায় এই অভিনেত্রীর জনপ্রিয়তা বাংলাদেশের চেয়েও বেশি।

বয়স পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই, কিন্তু বয়সকে সংখ্যা বানিয়ে রূপে, অভিনয়ে মুগ্ধ করে রেখেছেন দুই বাংলার সিনেপ্রেমীদের।

এই বয়সেও গ্ল্যামার ছড়িয়ে যাচ্ছেন ঝর্ণাধারার ন্যায়। একটার পর একটা পুরস্কার পেয়ে যাচ্ছেন এই সুদর্শনী।

তবে হঠাৎ করেই জয়ার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কৌতূহলী হয়ে উঠেছেন সিনেপ্রেমীরা। কলকাতা ও বাংলাদেশ- তার দুই বাংলার অনুরাগীরাই জানতে চান, কী কারণে টেকেনি অভিনেত্রীর সংসার? আর বিচ্ছেদের পর এতোদিন ধরে কেন সিঙ্গেলই রয়ে গেলেন!

এ কথা সবারই জানা, জয়ার প্রথম স্বামী মডেল-অভিনেতা ফয়সাল মাসুদ। ফয়সালকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন জয়া। বাংলাদেশের জমিদার পরিবারের ছেলে ফয়সাল ছিলেন বিত্তবান। জয়ার সঙ্গে ফয়সালের দেখা হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। সেই প্রথম দেখার কথা ফয়সাল বলেছিলেন এক সাক্ষাৎকারে।

কিভাবে তিক্ত সম্পর্ক প্রেমে রূপ নিয়েছিল সে গল্পটাও জানা অনেকের।

ফয়সাল ও জয়া দুজনেই বলেছিলেন, একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন জয়া ও ফয়সাল। সেখানেই প্রথম দেখা। এক ঘণ্টা দেরি করে আসেন ফয়সাল। মেক-আপের পর অপেক্ষা করতে হয়েছিল জয়াকে। রেগে গিয়ে ফয়সালের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন জয়া, নানান তিক্ত কথা শুনিয়ে দেন। এই রাগই আবার অনুরাগে বদলাতে বেশি সময় নেয়নি। ফোনে কথা বলতে বলতেই একে অপরের গভীর প্রেমে পড়েন। প্রেমের পরিণতি টানেন বিয়ের মাধ্যমে। এরপর দুজনে সংসার করেন ১৩ বছর।

সেই ১৩ বছরের সংসার কেন ভাঙল তা এতোদিন রহস্যাবৃতই ছিল। এত দিন পর তার পর্দা ফাঁস করলেন ফয়সাল নিজেই।

কলকাতার গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, বিয়ের পরেও একসঙ্গে কাজ করছিলেন জয়া-ফয়সাল। জনপ্রিয় তারকা জুটিও হয়ে উঠেছিলেন। এরপরই ছন্দপতন। জনপ্রিয়তা বাড়ছিল জয়ার। সে তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে ছিলেন ফয়সাল। এই সাফল্যই হয়তো তাদের দাম্পত্যে ফাটল ধরিয়ে দেয়। মনোমালিন্য বাড়তে থাকে। এতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব ক্রমশ বাড়তেই থাকে। ফয়সাল চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু সেই দুরত্ব আর কমাতে পারেনি। ফাটল বড় হতে হতে যা বিচ্ছিন্নতায় রূপ নেয়।  অর্থাৎ বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে তাদের। ২০১১ সালে পাকাপাকিভাবে আলাদা হয়ে যান তারা।

তবে বিচ্ছেদের বিষয়ে জয়ার পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য আসেনি।