হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনাভাইরাস কাটিয়ে প্রতি সপ্তাহেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে নতুন সিনেমা। ইতোমধ্যে অনেকগুলো সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, অপেক্ষায় আছে আরও বেশকিছু সিনেমা। এ বছরের বহুল প্রতিক্ষিত সিনেমার মধ্যে একটি ‘হাওয়া’। গভীর সমুদ্রে চিত্রায়িত মেজবাউর রহমান সুমনের চলচ্চিত্র ‘হাওয়া’-র ট্রেইলার মঙ্গলবার (৭ জুন) মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশ হওয়ার পর ট্রেলারটির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করছেন দর্শকরা।
ট্রলারের পাটাতনে উৎসুক কয়েকটি মুখ। ওরা গভীর সমুদ্রে এসেছে মাছ ধরতে। প্রত্যেকের চেহারায় কৌতুহল, আতঙ্ক ও রহস্যের ছাপ। ট্রলারের পেটের ভেতর হঠাৎ পাওয়া গেছে এক জীবন্ত নারীকে। টর্চ জ্বেলে চঞ্চল চৌধুরী জিজ্ঞেস করেন মেয়েটিকে, ‘কোন বোটেত্থে আইছো? সত্যি করে কও।’ মেয়েটি কোনো উত্তর দেয় না। চারপাশে রহস্যের জাল বিছিয়ে বসে থাকে নির্বিকার। ‘হাওয়া’ সিনেমার ট্রেলার শুরু হয়েছে এভাবেই।
এরপর প্রায় আড়াই মিনিট জুড়ে ভয়, রহস্য ও উত্তেজনা জিইয়ে রেখে এগিয়েছে গল্প। গভীর সমুদ্রের গল্প। তাই রক্ত-মাংসের চরিত্রদের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হয়ে উঠেছে সমুদ্রও। অনবদ্য চিত্রায়ন আর আবহ সংগীতের ওপর ভর করে ‘হাওয়া’র ট্রেলারে টুকরো টুকরো যত দৃশ্য উঠে এসেছে, সবই প্রশংসার দাবিদার।
এ সিনেমায় সম্পূর্ণ নতুন লুকে ধরা দিয়েছেন অভিনয়শিল্পীরা। চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, শরিফুল রাজ, সুমন আনোয়ার, নাসির উদ্দিন খান, সোহেল মণ্ডল সবাই হয়ে উঠেছেন যেন রূপকথার একেকটি চরিত্র।
রূপকথা শব্দটি ‘হাওয়া’ সিনেমার ক্ষেত্রে খুব সিগনিফিকেন্ট। যেমনটা আগেই বলেছিলেন নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন, ‘এ কালের রূপকথার গল্প হলো হাওয়া। যে রূপকথার গল্প আমরা শুনে আসছি হাওয়া তেমন নয়। এটি মাটির গল্প নয় বরং পানির গল্প। সৈকতে দাঁড়িয়ে আমরা যে সমুদ্র দেখি, গভীর সমুদ্রের গল্প অন্যরকম।’ সিনেমার ট্রেলারের সঙ্গে পুরোপুরি মিলে যায় নির্মাতার এই বয়ান।
২০১৯ সালের শেষের দিকে কক্সবাজার ও সেন্ট মার্টিন এলাকায় টানা ৪০ দিন হয়েছিল এ সিনেমার শুটিং। ‘হাওয়া’ সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড, নির্মাণ সংস্থা ফেইসকার্ড প্রোডাকশন। সিনেমাটির চিত্রগ্রহণ করেছেন কামরুল হাসান খসরু, সম্পাদনা সজল অলক, আবহ সঙ্গীত রাশিদ শরীফ শোয়েব এবং গানের সংগীতায়োজন করেছেন ইমন চৌধুরী। নির্মাতা সুমন জানিয়েছেন, কোরবানির ঈদের পর মুক্তি পাবে সিনেমাটি