ঢাকা ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিয়ের পর থেকেই শারীরিক সম্পর্কে স্ত্রীর আপত্তি, আদালতে অভিনেতা!

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৪:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুন ২০২২
  • ১৭৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিয়ের পর থেকেই শারীরিক সম্পর্কে আপত্তি স্ত্রী বর্ষা প্রিয়দর্শিনীর। বছরের পর বছর সেটি সহ্য করে অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিনেতা ও ভারতের উড়িষ্যার সাংসদ অনুভব মোহান্তি। দীর্ঘ আট বছরের দাম্পত্যের ইতি টানতে বিচ্ছেদের আবেদন করেন তিনি। অনুভবের স্ত্রী বর্ষাও উড়িষ্যার একজন খ্যাতনামা অভিনেত্রী।

অনুভবের অভিযোগ- বর্ষা কোনো রকম শারীরিক ঘনিষ্ঠতায় ইচ্ছুক নন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

কটকের অতিরিক্ত জেলা বিচারক ম্যাজিস্ট্রেটের (এডিজেএম) আদালতে অনুভবের করা বিবাহবিচ্ছেদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক বর্ষাকে দু’মাসের মধ্যে অভিনেতার বাড়ি খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে, বর্ষার ভরণপোষণের খরচ বাবদ অনুভবকে প্রতিমাসে ত্রিশ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

অন্য একটি পিটিশনে বর্ষার আয়ের উৎস প্রকাশের দাবি করেছিলেন অনুভব। গত সপ্তাহে শুনানি হলেও এখনও সে বিষয়ে কোনো রায় দেননি আদালত।

কয়েক দিন আগে (২৪ মে) অনুভব তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। ৪০ মিনিট ৭ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে নিজের দাম্পত্য জীবন নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি। অভিনেতার ভাষ্য, এত বছর ক্যামেরার সামনে কাজ করেছি, কখনো ভাবিনি নিজের দাম্পত্য জীবন নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে হবে। এতদিন আমাদের দুই পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে চুপ ছিলাম, নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। বিয়ের পর থেকেই বর্ষার কাছে ‘স্বামীর বৈবাহিক অধিকার’ পাইনি।

স্ত্রীর বিরুদ্ধে ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা অপপ্রচার করার অভিযোগ এনেছেন অনুভব। তিনি জানান, একপাক্ষিক কথা শুনলে সত্য প্রকাশ হবে না। তাই তিনি মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন। অনুরাগীদের এসব অপপ্রচারে কান না দেওয়ার আহ্বান জানান এই অভিনেতা।

প্রসঙ্গত, উড়িষ্যার পাশাপাশি কলকাতার বাংলা সিনেমাতেও নায়ক হিসেবে পর্দা মাতিয়েছেন অনুভব। তার অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘সাথী আমার’, ‘খলনায়ক’, ‘স্বার্থপর’, ‘এরই নাম প্রেম’, ‘জীবন সাথী’, ‘কালী শংকর’। ২০১৩ সালে উড়িষ্যার শাসক দল বিজু জনতা দল (বিজেডি)-এর প্রার্থী হিসেবে রাজনীতিতে পা রাখেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বিয়ের পর থেকেই শারীরিক সম্পর্কে স্ত্রীর আপত্তি, আদালতে অভিনেতা!

আপডেট টাইম : ১১:১৪:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুন ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিয়ের পর থেকেই শারীরিক সম্পর্কে আপত্তি স্ত্রী বর্ষা প্রিয়দর্শিনীর। বছরের পর বছর সেটি সহ্য করে অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিনেতা ও ভারতের উড়িষ্যার সাংসদ অনুভব মোহান্তি। দীর্ঘ আট বছরের দাম্পত্যের ইতি টানতে বিচ্ছেদের আবেদন করেন তিনি। অনুভবের স্ত্রী বর্ষাও উড়িষ্যার একজন খ্যাতনামা অভিনেত্রী।

অনুভবের অভিযোগ- বর্ষা কোনো রকম শারীরিক ঘনিষ্ঠতায় ইচ্ছুক নন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

কটকের অতিরিক্ত জেলা বিচারক ম্যাজিস্ট্রেটের (এডিজেএম) আদালতে অনুভবের করা বিবাহবিচ্ছেদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক বর্ষাকে দু’মাসের মধ্যে অভিনেতার বাড়ি খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে, বর্ষার ভরণপোষণের খরচ বাবদ অনুভবকে প্রতিমাসে ত্রিশ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

অন্য একটি পিটিশনে বর্ষার আয়ের উৎস প্রকাশের দাবি করেছিলেন অনুভব। গত সপ্তাহে শুনানি হলেও এখনও সে বিষয়ে কোনো রায় দেননি আদালত।

কয়েক দিন আগে (২৪ মে) অনুভব তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। ৪০ মিনিট ৭ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে নিজের দাম্পত্য জীবন নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি। অভিনেতার ভাষ্য, এত বছর ক্যামেরার সামনে কাজ করেছি, কখনো ভাবিনি নিজের দাম্পত্য জীবন নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে হবে। এতদিন আমাদের দুই পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে চুপ ছিলাম, নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। বিয়ের পর থেকেই বর্ষার কাছে ‘স্বামীর বৈবাহিক অধিকার’ পাইনি।

স্ত্রীর বিরুদ্ধে ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা অপপ্রচার করার অভিযোগ এনেছেন অনুভব। তিনি জানান, একপাক্ষিক কথা শুনলে সত্য প্রকাশ হবে না। তাই তিনি মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন। অনুরাগীদের এসব অপপ্রচারে কান না দেওয়ার আহ্বান জানান এই অভিনেতা।

প্রসঙ্গত, উড়িষ্যার পাশাপাশি কলকাতার বাংলা সিনেমাতেও নায়ক হিসেবে পর্দা মাতিয়েছেন অনুভব। তার অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘সাথী আমার’, ‘খলনায়ক’, ‘স্বার্থপর’, ‘এরই নাম প্রেম’, ‘জীবন সাথী’, ‘কালী শংকর’। ২০১৩ সালে উড়িষ্যার শাসক দল বিজু জনতা দল (বিজেডি)-এর প্রার্থী হিসেবে রাজনীতিতে পা রাখেন তিনি।