ঢাকা ০৭:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অ্যাম্বার হার্ড

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:১৫:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জুন ২০২২
  • ২৩৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সাবেক স্বামী জনি ডেপের সঙ্গে মামলায় হেরে যাওয়া নিয়ে বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড। ২০১৮ সালে জনির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন অ্যাম্বার। এরপরেই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন জনি। অবশেষ বুধবার সেই মামলায় জয়ী হয়েছেন জনি ডেপ। রায়ে অভিনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অ্যাম্বারকে দেড় কোটি ডলার জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

কিন্তু অভিনেত্রীর আইনজীবী জানাচ্ছেন, আর্থিক অবস্থা ভালো নয় অ্যাম্বারের। এত ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষমতা নেই তার পক্ষে। শুনানি চলাকালীনই অ্যাম্বার হার্ডের আর্থিক সমস্যার কথা জানা গিয়েছিল। ছয় সপ্তাহ লম্বা এই হাই-প্রোফাইল শুনানি শেষ হয় গত ১ মে। ভার্জিনিয়ার ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টি সার্কিট কোর্টে সাত সদস্যের বিচারক প্যানেলের ঘোষিত রায়ে জয় হয় জনি ডেপের।

 তবে আদালতে এমন সিদ্ধান্তে জনি এবং তার ভক্তরা উচ্ছ্বসিত হলেও রায় নিয়ে সন্তুষ্ট নন অ্যাম্বার। আদালতের এমন রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিনেত্রী।

এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে অ্যাম্বার বলেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার যথেষ্ট কারণ আমার কাছে আছে। প্রথমত, জরিমানার টাকা পরিশোধ করার মতো আর্থিক অবস্থা আমার নেই। দ্বিতীয়ত, মামলার শুনানিতে আদালতে জুরিদের বিভ্রান্ত করার মতো বেশকিছু বিষয় উপস্থাপিত হয়েছিল। এমনকি আমার আইনজীবীকে মামলা সম্পর্কিত অনেক বিষয় উপস্থাপন করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। আমার বিশ্বাস উচ্চ আদালতে সুবিচার পাব।

 দীর্ঘ চার বছর তারা চুটিয়ে প্রেম করার পর ২০১৪ সালের মেট গালাতে বাগদান সারেন জনি ডেপ ও অ্যাম্বার হার্ড। পরের বছর লস অ্যাঞ্জেলেসে ঘরোয়া পরিবেশে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন এই জুটি। বিয়ের দেড় বছর পর জনি ডেপের বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় তাকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে ২০১৬ সালে ডিভোর্সের আবেদন করেন অ্যাম্বার। বিচ্ছেদের দেড় বছর পর ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় নারীদের নির্যাতন নিয়ে অ্যাম্বার হার্ড একটি বই লেখেন। ২০১৯ সালে অ্যাম্বার হার্ডের এ লেখার কারণে তার বিরুদ্ধে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মানহানি মামলা করেন জনি। পরে পাল্টা ১০০ মিলিয়ন ডলারের মামলা করেন অ্যাম্বার।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অ্যাম্বার হার্ড

আপডেট টাইম : ০৩:১৫:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জুন ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সাবেক স্বামী জনি ডেপের সঙ্গে মামলায় হেরে যাওয়া নিয়ে বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড। ২০১৮ সালে জনির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন অ্যাম্বার। এরপরেই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন জনি। অবশেষ বুধবার সেই মামলায় জয়ী হয়েছেন জনি ডেপ। রায়ে অভিনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অ্যাম্বারকে দেড় কোটি ডলার জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

কিন্তু অভিনেত্রীর আইনজীবী জানাচ্ছেন, আর্থিক অবস্থা ভালো নয় অ্যাম্বারের। এত ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষমতা নেই তার পক্ষে। শুনানি চলাকালীনই অ্যাম্বার হার্ডের আর্থিক সমস্যার কথা জানা গিয়েছিল। ছয় সপ্তাহ লম্বা এই হাই-প্রোফাইল শুনানি শেষ হয় গত ১ মে। ভার্জিনিয়ার ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টি সার্কিট কোর্টে সাত সদস্যের বিচারক প্যানেলের ঘোষিত রায়ে জয় হয় জনি ডেপের।

 তবে আদালতে এমন সিদ্ধান্তে জনি এবং তার ভক্তরা উচ্ছ্বসিত হলেও রায় নিয়ে সন্তুষ্ট নন অ্যাম্বার। আদালতের এমন রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিনেত্রী।

এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে অ্যাম্বার বলেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার যথেষ্ট কারণ আমার কাছে আছে। প্রথমত, জরিমানার টাকা পরিশোধ করার মতো আর্থিক অবস্থা আমার নেই। দ্বিতীয়ত, মামলার শুনানিতে আদালতে জুরিদের বিভ্রান্ত করার মতো বেশকিছু বিষয় উপস্থাপিত হয়েছিল। এমনকি আমার আইনজীবীকে মামলা সম্পর্কিত অনেক বিষয় উপস্থাপন করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। আমার বিশ্বাস উচ্চ আদালতে সুবিচার পাব।

 দীর্ঘ চার বছর তারা চুটিয়ে প্রেম করার পর ২০১৪ সালের মেট গালাতে বাগদান সারেন জনি ডেপ ও অ্যাম্বার হার্ড। পরের বছর লস অ্যাঞ্জেলেসে ঘরোয়া পরিবেশে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন এই জুটি। বিয়ের দেড় বছর পর জনি ডেপের বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় তাকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে ২০১৬ সালে ডিভোর্সের আবেদন করেন অ্যাম্বার। বিচ্ছেদের দেড় বছর পর ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় নারীদের নির্যাতন নিয়ে অ্যাম্বার হার্ড একটি বই লেখেন। ২০১৯ সালে অ্যাম্বার হার্ডের এ লেখার কারণে তার বিরুদ্ধে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মানহানি মামলা করেন জনি। পরে পাল্টা ১০০ মিলিয়ন ডলারের মামলা করেন অ্যাম্বার।