শেখ আইয়ুবুর রহমান কেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন তা ব্যাখ্যা করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে কালের কণ্ঠের এ প্রতিবেদকের কাছে এ সংক্রান্ত একটি ব্যাখ্যা পাঠান তিনি এবং এ নিয়ে কথা বলেন।
সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে লেখা ওই ব্যাখ্যায় আইয়ুবুর রহমান বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন দেবগ্রাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। দেবগ্রাম স্কুলকে সরকারিকরণে সহযোগিতা করায় তৎকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে আমিসহ গ্রামবাসী ওয়াদাবদ্ধ ছিলাম, সুযোগ আসলে উনার পাশে থাকার।
লেখার সঙ্গে তিনি খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সঙ্গে থাকা ছবিও জুড়ে দেন। পাশাপাশি নিজের রাজনৈতিক জীবনের বর্ণনা তুলে ধরে বলেন, ‘আমি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আখাউড়া উপজেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলাম ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত। আখাউড়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি হিসেবে ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করি এবং আখাউড়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলাম। তিলে তিলে ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করেছি। আখাউড়া বিএনপির রাজনীতি করতে গিয়ে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের আমলে বহুবার জেলে গিয়েছি। অসংখ্য মামলার আসামি ছিলাম। পরবর্তীতে ব্যাংকে চাকরি হওয়ায় নানা সময় এলাকার বাইরে থাকতে হয়েছে। কর্ম ব্যস্ততার কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এলাকায় বেশি আসতে পারিনি। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দমন পীড়নের কারণে সক্রিয় রাজনীতি করা ছিল অত্যন্ত দুরুহ। অনেকেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়ে বাধ্য হয়ে দল ত্যাগ করেছে। কিন্ত আমি বিএনপির আদর্শ বুকে ধারণ করে দলকে ভালোবেসে দলের প্রতি আনুগত্যশীল ছিলাম। মাঝখানে আমার শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল যার জন্য ভারতে গিয়ে বুকে একটা রিং পরানো হয়। মনে প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দলীয় কর্মসূচিতে সময় দিতে পারিনি।’
লেখায় তিনি আখাউড়ার বিএনপির রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে পাওয়া মরহুম হাজি এম এ তাহের সভাপতি, মরহুম নায়েব আলী ভূইয়া, হাজি মো. ইউসুফ সারওয়ারকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
কথা হলে আইয়ুবুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমলে আমি নিজেও নীপিড়নের শিকার হয়েছি। চাকরি থেকে আমাকে বাদ দেওয়ার জন্যও তারা উঠেপড়ে লাগে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিতে থাকার সময় শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম করতে দেওয়া হয়নি। গ্রামের স্বার্থে স্কুল সরকারি করণের আশায় একদিন সাবেক আইনমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারণায় যাই। এখন আমাকে হেয় করতে এ ছবি ফেসবুকে দেওয়া হচ্ছে।’