হাওর বার্তা ডেস্কঃ ট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনারের ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে আরও ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ জন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৪৫০ জন।
রোববার (৫ জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে, রোববার (৫ জুন) ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ( চমেক) হাসপাতাল এবং একটি বেসরকারি হাসপাতালেও মারা গেছেন কয়েকজন।
এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে দগ্ধ হয়ে ভর্তি আছেন ১৫০ জন। চিকিৎসা পেয়েছেন ৮৫ জন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এএসাই মো. আলাউদ্দীন তালুকদার আরটিভি নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত রোগীদের জন্য রক্তের হাহাকার দেখা দিয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে।
বিশেষ করে এবি পজেটিভ ‘ও’ নেগেটিভ এবং ‘এ’ নেগেটিভ রক্তের চাহিদা বেশি। স্বেচ্ছাসেবকরা প্ল্যাকার্ড হাতে নেগেটিভ রক্তের প্রয়োজন লেখা কাগজ নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন এবং রক্তের প্রয়োজন জানিয়ে রেডক্রিসেন্টের সদস্যরাও হ্যান্ডমাইকে একের পর এক ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে আহতদের সাহায্যে চমেক হাসপাতালে শত শত স্বেচ্ছাসেবক ও সাধারণ মানুষও যোগ দিয়েছেন এবং বিনামূল্যেও ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে।
সেই আবেদনে সাড়া দিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান। তিনি তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ভ্যারিফাইড পেজে ছবিসহ স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ক্যাপশনে তিনি লেখেন,
ক্যান্টনমেন্টে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল খুলে দেওয়া হয়েছে। কিছু ডোনার ওদিকে যান। সবাই চট্টগ্রাম হাসপাতালে ভিড় করলে সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হতাহতরা সংকটে পড়বে।
চট্টগ্রাম মেডিকেলে প্রচুর ভিড়। কয়েক মিনিট পরপর একাধিক অ্যাম্বুলেন্স ঢুকছে। র্যাবের গাড়ি করেও হতাহত আসতেছে। ভিড়ের কারণে ঢুকতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ভিড় না বাড়িয়ে কাজ সেরে চলে যান।
প্রচুর পানি লাগছে। হতাহতরা আগুনে পোড়ার কারণে ক্ষতস্থানে পানি ঢালা লাগছে, খাইতেও লাগছে। সঙ্গে করে পানির বোতল নিয়ে আসুন।
পজিটিভ গ্রুপের চেয়েও নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত বেশি লাগছে। পজিটিভ গ্রুপের রক্তদাতারা বেশিক্ষণ থেকে ভিড় বাড়ানোর দরকার নেই।
ব্যথানাশক প্যাথেডিন লাগছে বেশি বেশি। যারা যাচ্ছেন, তারা পারলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। স্বেচ্ছাসেবীদের হাতে তুলে দিয়ে চলে আসলেই হবে।
প্রসঙ্গত, বিস্ফোরণের পর এখনও পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। হতাহতের চিকিৎসায় চকবাজার মেডিকেল গেটের সামনের গলির ভেতরের হাসান ফার্মেসি নামের এক ওষুধের দোকান ইতোমধ্যেই বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করছে।