ঢাকা ১০:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেসরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য পেনশনের স্বপ্ন বনাম বাস্তবতা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২৩:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ মে ২০১৬
  • ২৭৪ বার

আমি একজন সাধারণ বেসরকারি চাকুরিজীবী এবং ততোধিক সাধারণ একজন ট্রেড ইউনিয়ন কর্মী। আমি মাননীয় অর্থমন্ত্রী মহোদয়ের “বেসরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য পেনশন চালুর উদ্যোগ” সম্পর্কিত বক্তব্যটি মনোযোগ দিয়ে পড়েছি এবং বেশ গভীরভাবে চিন্তাও করেছি বিষয়টি নিয়ে।

আমি জানিনা বেসরকারি চাকুরিজীবীদের কোন সংগঠন এইরকম কোন দাবী আসলে করেছে কীনা। তবে বেসরকারি চাকুরিজীবী তথা বিভিন্ন শ্রমিক প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন বেশকিছু যৌক্তিক দাবীতে আন্দোলনরত কিন্তু সেইসব দাবীসমূহের প্রতি সরকারের ইতিবাচক অবস্থান আমরা দেখতে পাইনি।
পেনশন হলে ভালো! চাকুরি অবসানোত্তর জীবনের আর্থিক অসহায়ত্ব ঘুচবে কিছুটা। কিন্তু প্রশ্ন হলো চাকুরিটা কী যৌক্তিক সময় পর্যন্ত করতে পারছে বেসরকারি চাকুরিজীবীরা?

প্রাতিষ্ঠানিক সেক্টর কে যদি শুধু বিবেচনায় নেই তাহলেই বুঝা যাবে পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতকে তো বিবচনায় আনলে চক্ষু চড়কগাছ হবে। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতকে নিয়ম নীতি এবং আইনের আওতায় যদি রাষ্ট্র আনতে পারে তাহলে একটি বড় কাজ হয়। পেনশনের দিবাস্বপ্ন এদের দেখানো উপহাসের সমতুল্য। অর্থাৎ বিষয়টি পরিষ্কার। বাংলাদেশের বেশিরভাগ প্রান্তিক শ্রমিক যারা রাস্তা বানায়, গাড়ি চালায়, রেস্তোরাঁয় কাজ করে এইরকম হাজারো পেশায় কোটি কোটি শ্রমিক শ্রম আইনের বাইরে। তাদের শ্রমিক হিসেবে কোন অধিকারের নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারেনি। দয়াকরে যদি রাষ্ট্র উদ্যোগী হয় তাতেই আপাতত বর্তে যাবে সচেতন মানুষ।

এবার আসি প্রাতিষ্ঠানিক খাতে। এইখাতের সবচেয়ে বড় শিল্প গার্মেন্টস। রানা প্লাজার মতো উদাহরণ এই বিশ্বে আর আছে কী? তাই বলা যায় “তোরা যে যা বলিস ভাই, সবার আগে বাঁচতে চাই”। কাজ তো করছে পেটের দায়ে, জীবনের তীব্র তাগিদে। তাই এই পোষাক শিল্পের কর্মপরিবেশ এবং নিরাপত্তার প্রশ্নটি মীমাংসা করা জরুরি। ভবিষ্য তহবিল (প্রভিডেন্ট ফান্ড) বাস্তবায়ন করুন। গ্রাচুইটি বাস্তবায়ন করুন। আর শ্রমিকদের সংগঠন করবার অধিকার অবাধ করুন। তাহলে অনেক বড় উপকার হয়। পেনশনের চিন্তা আপাতত অনেক দূরের ব্যাপার এই প্রান্তিক পোষাক শ্রমিকদের জন্য। যদিও এদের শ্রমকে পুঁজি করেই বাংলাদেশের আর্থিক বাস্তবতা বদলে যাচ্ছে। কিন্তু এই শ্রমিকদের মানবেতর জীবনযাপন এবং অতঃপর কর্মরত ভবন ধসে কিংবা ভবনের ভেতরে পুড়ে মরে যাওয়া যেনো নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে!

এবার আসি মধ্যবিত্ত শিক্ষিত চাকুরিজীবী, দক্ষপেশাজিবী, কর্পোরেট চাকুরিজীবীদের ক্ষেত্রে। খুব বাহারি শব্দ উচ্চারিত হতে শুনি চারপাশে White color employee, Corporate Employee, Professional ইত্যাদি। কিন্তু বাস্তব অবস্থা কী? এইসব চাকুরিজীবীরা অনেক বেতন পায়? প্রশ্ন হলো কতো শতাংশ এমপ্লয়ী পায়? সরকার ইচ্ছা করলেই টেক্স ফাইল দেখে এটা বের করতে পারে। আমি শুধু এটা বলতে পারি ৯০ শতাংশের অবস্থা বেগতিক। ১০ শতাংশ বা ক্ষেত্র বিশেষ আরো কম শতাংশ বেসরকারি চাকুরিজীবী আর্থিকভাবে যথেষ্ট বেতন পান। তবে চাকুরির অনিশ্চয়তায় এই ক্ষুদ্র দলটি সারাক্ষণ বিচলিত থাকে। এই কারণে মালিক যা ইচ্ছা এঁদের দিয়ে করিয়ে নেয়। আমার মতে এই সুবিধাপ্রাপ্ত দলটিকে যদি শুধু চাকুরির নিশ্চয়তা দেওয়া যেতো তাহলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতো।
বাকী ৯০ শতাংশ যাদের শ্রম দক্ষতাকে পুঁজি করে প্রতিষ্ঠানগুলো দাঁড়ায়, সেইসব চাকুরিজীবীরা নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ঠিকে থাকে। এঁদের নিত্যদিনের সমস্যাসংকুল বাস্তবতা থেকে উত্তরণের জন্য সবার আগে চাই সংগঠন কিন্তু তা তো নেই। ট্রেড ইউনিয়ন থাকলে অবস্থার উন্নতি হতে পারতো। কর্মপরিবেশ, কর্মঘন্টা, সম্মানজনক বেতন এবং চাকুরির নিশ্চয়তা এইসকল চ্যালেঞ্জ প্রতিনিয়ত এইসব শিক্ষিত বেসরকারি চাকুরিজীবীদের অসহায় করে তুলে। পরিত্রাণ নেই কোথাও। এইসব প্রতিষ্ঠানের বাইরের চাকচিক্যটা সব না। সরকার যদি এই কয়টা বিষয় সমাধান করে দিতে উদ্যোগী হয় তাহলেই বর্তে যায় সবাই। পেনশন দূরস্থ!
এই প্রসঙ্গে একটি কথা মনে পড়ছে, আপনাদের নিশ্চই মনে আছে একসময়কার যোগাযোগমন্ত্রী জনাব নাজমুল হুদা সাহবে মুখস্থ বলতে লাগলেন তিনি ইলেক্ট্রনিক ট্রেন চালু করবেন এবং করবেনই। গণপরিবহন হিসেবে রেলওয়ের গুরুত্ব আমাদের সরকারগুলো বুঝতে পারিনি কিংবা বুঝেও গুরুত্ব দেয়নি। কিন্তু শ্রুতিমধুর ইলেক্ট্রনিক ট্রেনের দিবাস্বপ্ন টি ভদ্রলোক জাতিকে দেখানোর চেষ্টা করেছেন জোরেশোরে যদিও সময়মতো যেনো ব্রিটিশ আমালের লক্কড় ঝক্কড় ট্রেন চলে জাতির সেই ন্যূনতম চাওয়াটি পূরণ করার ব্যাপারে উদাসীন থেকেই বিদায় নিয়েছেন!

তেমনি মাননীয় অর্থমন্ত্রী মহোদয়ের পেনশন প্রকল্পও আমার কাছে ইলেক্ট্রনিক ট্রেনের মতোই দিবাস্বপ্ন মনে হয়।
পেনশন তো চাকুরি অবসানের পরের ব্যাপার। চাকুরিরত অবস্থায় শ্রমিক যেনো বেঁচে থাকে, বেড়ে উঠে অর্থাৎ শ্রমিকের আর্থিক এবং দক্ষতার বিকাশ ঘটে এবং জীবনীশক্তি বৃদ্ধি পায় সেই আশুকরণীয়ের দিকে দৃষ্টি দেওয়াটা জরুরি। সেই কাজটি করার দায় মাননীয় অর্থমন্ত্রীর নয় সরাসরি। কিন্তু শ্রদ্ধেয় বয়োজ্যেষ্ঠ এই মানুষটি শুধু তো মন্ত্রী নন, তিনি তো অভিভাবক হিসেবেও নির্দেশনা দিতে পারেন যাতে কোটি কোটি খেটে খাওয়া শ্রমিক তথা বেসরকারি চাকুরিজীবীদের জীবন এবং বিকাশ নিশ্চিত হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বেসরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য পেনশনের স্বপ্ন বনাম বাস্তবতা

আপডেট টাইম : ১২:২৩:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ মে ২০১৬

আমি একজন সাধারণ বেসরকারি চাকুরিজীবী এবং ততোধিক সাধারণ একজন ট্রেড ইউনিয়ন কর্মী। আমি মাননীয় অর্থমন্ত্রী মহোদয়ের “বেসরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য পেনশন চালুর উদ্যোগ” সম্পর্কিত বক্তব্যটি মনোযোগ দিয়ে পড়েছি এবং বেশ গভীরভাবে চিন্তাও করেছি বিষয়টি নিয়ে।

আমি জানিনা বেসরকারি চাকুরিজীবীদের কোন সংগঠন এইরকম কোন দাবী আসলে করেছে কীনা। তবে বেসরকারি চাকুরিজীবী তথা বিভিন্ন শ্রমিক প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন বেশকিছু যৌক্তিক দাবীতে আন্দোলনরত কিন্তু সেইসব দাবীসমূহের প্রতি সরকারের ইতিবাচক অবস্থান আমরা দেখতে পাইনি।
পেনশন হলে ভালো! চাকুরি অবসানোত্তর জীবনের আর্থিক অসহায়ত্ব ঘুচবে কিছুটা। কিন্তু প্রশ্ন হলো চাকুরিটা কী যৌক্তিক সময় পর্যন্ত করতে পারছে বেসরকারি চাকুরিজীবীরা?

প্রাতিষ্ঠানিক সেক্টর কে যদি শুধু বিবেচনায় নেই তাহলেই বুঝা যাবে পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতকে তো বিবচনায় আনলে চক্ষু চড়কগাছ হবে। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতকে নিয়ম নীতি এবং আইনের আওতায় যদি রাষ্ট্র আনতে পারে তাহলে একটি বড় কাজ হয়। পেনশনের দিবাস্বপ্ন এদের দেখানো উপহাসের সমতুল্য। অর্থাৎ বিষয়টি পরিষ্কার। বাংলাদেশের বেশিরভাগ প্রান্তিক শ্রমিক যারা রাস্তা বানায়, গাড়ি চালায়, রেস্তোরাঁয় কাজ করে এইরকম হাজারো পেশায় কোটি কোটি শ্রমিক শ্রম আইনের বাইরে। তাদের শ্রমিক হিসেবে কোন অধিকারের নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারেনি। দয়াকরে যদি রাষ্ট্র উদ্যোগী হয় তাতেই আপাতত বর্তে যাবে সচেতন মানুষ।

এবার আসি প্রাতিষ্ঠানিক খাতে। এইখাতের সবচেয়ে বড় শিল্প গার্মেন্টস। রানা প্লাজার মতো উদাহরণ এই বিশ্বে আর আছে কী? তাই বলা যায় “তোরা যে যা বলিস ভাই, সবার আগে বাঁচতে চাই”। কাজ তো করছে পেটের দায়ে, জীবনের তীব্র তাগিদে। তাই এই পোষাক শিল্পের কর্মপরিবেশ এবং নিরাপত্তার প্রশ্নটি মীমাংসা করা জরুরি। ভবিষ্য তহবিল (প্রভিডেন্ট ফান্ড) বাস্তবায়ন করুন। গ্রাচুইটি বাস্তবায়ন করুন। আর শ্রমিকদের সংগঠন করবার অধিকার অবাধ করুন। তাহলে অনেক বড় উপকার হয়। পেনশনের চিন্তা আপাতত অনেক দূরের ব্যাপার এই প্রান্তিক পোষাক শ্রমিকদের জন্য। যদিও এদের শ্রমকে পুঁজি করেই বাংলাদেশের আর্থিক বাস্তবতা বদলে যাচ্ছে। কিন্তু এই শ্রমিকদের মানবেতর জীবনযাপন এবং অতঃপর কর্মরত ভবন ধসে কিংবা ভবনের ভেতরে পুড়ে মরে যাওয়া যেনো নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে!

এবার আসি মধ্যবিত্ত শিক্ষিত চাকুরিজীবী, দক্ষপেশাজিবী, কর্পোরেট চাকুরিজীবীদের ক্ষেত্রে। খুব বাহারি শব্দ উচ্চারিত হতে শুনি চারপাশে White color employee, Corporate Employee, Professional ইত্যাদি। কিন্তু বাস্তব অবস্থা কী? এইসব চাকুরিজীবীরা অনেক বেতন পায়? প্রশ্ন হলো কতো শতাংশ এমপ্লয়ী পায়? সরকার ইচ্ছা করলেই টেক্স ফাইল দেখে এটা বের করতে পারে। আমি শুধু এটা বলতে পারি ৯০ শতাংশের অবস্থা বেগতিক। ১০ শতাংশ বা ক্ষেত্র বিশেষ আরো কম শতাংশ বেসরকারি চাকুরিজীবী আর্থিকভাবে যথেষ্ট বেতন পান। তবে চাকুরির অনিশ্চয়তায় এই ক্ষুদ্র দলটি সারাক্ষণ বিচলিত থাকে। এই কারণে মালিক যা ইচ্ছা এঁদের দিয়ে করিয়ে নেয়। আমার মতে এই সুবিধাপ্রাপ্ত দলটিকে যদি শুধু চাকুরির নিশ্চয়তা দেওয়া যেতো তাহলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতো।
বাকী ৯০ শতাংশ যাদের শ্রম দক্ষতাকে পুঁজি করে প্রতিষ্ঠানগুলো দাঁড়ায়, সেইসব চাকুরিজীবীরা নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ঠিকে থাকে। এঁদের নিত্যদিনের সমস্যাসংকুল বাস্তবতা থেকে উত্তরণের জন্য সবার আগে চাই সংগঠন কিন্তু তা তো নেই। ট্রেড ইউনিয়ন থাকলে অবস্থার উন্নতি হতে পারতো। কর্মপরিবেশ, কর্মঘন্টা, সম্মানজনক বেতন এবং চাকুরির নিশ্চয়তা এইসকল চ্যালেঞ্জ প্রতিনিয়ত এইসব শিক্ষিত বেসরকারি চাকুরিজীবীদের অসহায় করে তুলে। পরিত্রাণ নেই কোথাও। এইসব প্রতিষ্ঠানের বাইরের চাকচিক্যটা সব না। সরকার যদি এই কয়টা বিষয় সমাধান করে দিতে উদ্যোগী হয় তাহলেই বর্তে যায় সবাই। পেনশন দূরস্থ!
এই প্রসঙ্গে একটি কথা মনে পড়ছে, আপনাদের নিশ্চই মনে আছে একসময়কার যোগাযোগমন্ত্রী জনাব নাজমুল হুদা সাহবে মুখস্থ বলতে লাগলেন তিনি ইলেক্ট্রনিক ট্রেন চালু করবেন এবং করবেনই। গণপরিবহন হিসেবে রেলওয়ের গুরুত্ব আমাদের সরকারগুলো বুঝতে পারিনি কিংবা বুঝেও গুরুত্ব দেয়নি। কিন্তু শ্রুতিমধুর ইলেক্ট্রনিক ট্রেনের দিবাস্বপ্ন টি ভদ্রলোক জাতিকে দেখানোর চেষ্টা করেছেন জোরেশোরে যদিও সময়মতো যেনো ব্রিটিশ আমালের লক্কড় ঝক্কড় ট্রেন চলে জাতির সেই ন্যূনতম চাওয়াটি পূরণ করার ব্যাপারে উদাসীন থেকেই বিদায় নিয়েছেন!

তেমনি মাননীয় অর্থমন্ত্রী মহোদয়ের পেনশন প্রকল্পও আমার কাছে ইলেক্ট্রনিক ট্রেনের মতোই দিবাস্বপ্ন মনে হয়।
পেনশন তো চাকুরি অবসানের পরের ব্যাপার। চাকুরিরত অবস্থায় শ্রমিক যেনো বেঁচে থাকে, বেড়ে উঠে অর্থাৎ শ্রমিকের আর্থিক এবং দক্ষতার বিকাশ ঘটে এবং জীবনীশক্তি বৃদ্ধি পায় সেই আশুকরণীয়ের দিকে দৃষ্টি দেওয়াটা জরুরি। সেই কাজটি করার দায় মাননীয় অর্থমন্ত্রীর নয় সরাসরি। কিন্তু শ্রদ্ধেয় বয়োজ্যেষ্ঠ এই মানুষটি শুধু তো মন্ত্রী নন, তিনি তো অভিভাবক হিসেবেও নির্দেশনা দিতে পারেন যাতে কোটি কোটি খেটে খাওয়া শ্রমিক তথা বেসরকারি চাকুরিজীবীদের জীবন এবং বিকাশ নিশ্চিত হয়।