ঢাকা ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেরপুরে প্রথমবারের মতো ‘ব্ল্যাক রাইস’ চাষ করে সফলতা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:০৬:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জুন ২০২২
  • ২১৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ খাদ্য ও কৃষি সমৃদ্ধ অঞ্চল শেরপুরে এবার প্রথমবারের মতো ‘ব্ল্যাক রাইস’ বা ‘কালো ধান’ চাষ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন ৫ উদ্যোক্তা। শ্রীবরদী উপজেলার প্রত্যন্ত পল্লীতে দেশের বাইরে থেকে ওই ধানের বীজ সংগ্রহ করে প্রায় ৫ একর জমিতে লাগিয়েছিলেন সেই উদ্যোক্তারা। সৌন্দর্য ও পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এ ধান ও চালের কদর দেশের বাইরেও থাকায় এলাকার অনেকেই একদিকে যেমন এ ধান চাষে উৎসাহি হয়ে উঠছেন, অন্যদিকে তেমনি আগামী মৌসুমে কৃষি বিভাগের মাধ্যমে ওই বীজ জেলায় ছড়িয়ে দিয়ে সফলতার নতুন দিগন্ত উন্মোচণ করতে চান তারা।

জানা যায়, শ্রীবরদী উপজেলার চককাউরিয়া গ্রামের ৪ বন্ধু মুক্তাদির আহম্মেদ নয়ন, স্বপন আহসান, নিশাত হাসান, শান্ত মিয়া এবং হাসধরা গ্রামের গোলাম রসুল চীন থেকে ৩ হাজার টাকা কেজি দরে ১৮ কেজি কালো ধানের বীজ সংগ্রহ করেন। পরে তারা প্রথমবারের মতো ৫ একর জমিতে ব্ল্যাক রাইস বা কালো ধান লাগান। এতে সবকিছু মিলিয়ে আবাদে তাদের খরচ হয়েছে ১ লাখ টাকা। এরই মধ্যে সুন্দরভাবে গুজিয়ে উঠে বাতাসে দোল খাচ্ছে সেই কাল ধান। ফলে তাদের চোখে-মুখে এখন সফলতার স্বপ্ন।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় প্রথমবারের মতো কালো ধানের আবাদ হয়েছে শ্রীবরদীতে। এ ধান সৌন্দর্য ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। এ ধানগাছের পাতা ও কান্ডের রং সবুজ হলেও ধান ও চালের রং কালো। তাই এ ধানের জাতটি কালো চালের ধান নামে পরিচিত। ওষুধের গুণাগুণের জন্য ‘ব্ল্যাক রাইস’ চালকে ‘ওয়ার্ল্ড সুপার ফুড’ বলা হয়। তাই এর দামও অন্য সব চালের তুলনায় অনেক বেশি। বিশ্বের ধনী দেশগুলোতে এ চালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

শ্রীবরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ূন দিলদার বলেন, উদ্যোক্তারা বারবার আমার অফিসে এসেছে। আমরা তাদের সার্বিক সহযোগিতা করেছি। এ ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ানোর জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ ধান চাষ বাড়ালে কৃষক খুবই লাভবান হবে।

এ ব্যাপারে শেরপুরের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. মুহিত কুমার দে বলেন, এরই মধ্যে আমরা ওই ৫ উদ্যোক্তার ধানখেত পরিদর্শন করেছি। খেতের ধান খুব ভালো হয়েছে। আমরা চাচ্ছি, তাদের কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করে জেলায় অন্যান্য কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে। এ জন্য কৃষি বিভাগ সব সময় তাদের পাশে থাকবে। তার মতে, এ ধান সৌন্দর্য ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। এছাড়াও ওষুধের গুণাগুণের জন্য ‘ব্ল্যাক রাইস’ চালকে ‘ওয়ার্ল্ড সুপার ফুড’ বলা হয়। তাই এর দামও অন্য সব চালের তুলনায় অনেক বেশি। বিশ্বের ধনী দেশগুলোতে এ চালের ব্যাপক চাহিদা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শেরপুরে প্রথমবারের মতো ‘ব্ল্যাক রাইস’ চাষ করে সফলতা

আপডেট টাইম : ০৬:০৬:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জুন ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ খাদ্য ও কৃষি সমৃদ্ধ অঞ্চল শেরপুরে এবার প্রথমবারের মতো ‘ব্ল্যাক রাইস’ বা ‘কালো ধান’ চাষ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন ৫ উদ্যোক্তা। শ্রীবরদী উপজেলার প্রত্যন্ত পল্লীতে দেশের বাইরে থেকে ওই ধানের বীজ সংগ্রহ করে প্রায় ৫ একর জমিতে লাগিয়েছিলেন সেই উদ্যোক্তারা। সৌন্দর্য ও পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এ ধান ও চালের কদর দেশের বাইরেও থাকায় এলাকার অনেকেই একদিকে যেমন এ ধান চাষে উৎসাহি হয়ে উঠছেন, অন্যদিকে তেমনি আগামী মৌসুমে কৃষি বিভাগের মাধ্যমে ওই বীজ জেলায় ছড়িয়ে দিয়ে সফলতার নতুন দিগন্ত উন্মোচণ করতে চান তারা।

জানা যায়, শ্রীবরদী উপজেলার চককাউরিয়া গ্রামের ৪ বন্ধু মুক্তাদির আহম্মেদ নয়ন, স্বপন আহসান, নিশাত হাসান, শান্ত মিয়া এবং হাসধরা গ্রামের গোলাম রসুল চীন থেকে ৩ হাজার টাকা কেজি দরে ১৮ কেজি কালো ধানের বীজ সংগ্রহ করেন। পরে তারা প্রথমবারের মতো ৫ একর জমিতে ব্ল্যাক রাইস বা কালো ধান লাগান। এতে সবকিছু মিলিয়ে আবাদে তাদের খরচ হয়েছে ১ লাখ টাকা। এরই মধ্যে সুন্দরভাবে গুজিয়ে উঠে বাতাসে দোল খাচ্ছে সেই কাল ধান। ফলে তাদের চোখে-মুখে এখন সফলতার স্বপ্ন।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় প্রথমবারের মতো কালো ধানের আবাদ হয়েছে শ্রীবরদীতে। এ ধান সৌন্দর্য ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। এ ধানগাছের পাতা ও কান্ডের রং সবুজ হলেও ধান ও চালের রং কালো। তাই এ ধানের জাতটি কালো চালের ধান নামে পরিচিত। ওষুধের গুণাগুণের জন্য ‘ব্ল্যাক রাইস’ চালকে ‘ওয়ার্ল্ড সুপার ফুড’ বলা হয়। তাই এর দামও অন্য সব চালের তুলনায় অনেক বেশি। বিশ্বের ধনী দেশগুলোতে এ চালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

শ্রীবরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ূন দিলদার বলেন, উদ্যোক্তারা বারবার আমার অফিসে এসেছে। আমরা তাদের সার্বিক সহযোগিতা করেছি। এ ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ানোর জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ ধান চাষ বাড়ালে কৃষক খুবই লাভবান হবে।

এ ব্যাপারে শেরপুরের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. মুহিত কুমার দে বলেন, এরই মধ্যে আমরা ওই ৫ উদ্যোক্তার ধানখেত পরিদর্শন করেছি। খেতের ধান খুব ভালো হয়েছে। আমরা চাচ্ছি, তাদের কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করে জেলায় অন্যান্য কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে। এ জন্য কৃষি বিভাগ সব সময় তাদের পাশে থাকবে। তার মতে, এ ধান সৌন্দর্য ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। এছাড়াও ওষুধের গুণাগুণের জন্য ‘ব্ল্যাক রাইস’ চালকে ‘ওয়ার্ল্ড সুপার ফুড’ বলা হয়। তাই এর দামও অন্য সব চালের তুলনায় অনেক বেশি। বিশ্বের ধনী দেশগুলোতে এ চালের ব্যাপক চাহিদা।