অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত জাতীয় সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অনুন্নয়ন ও উন্নয়ন ব্যয় মিলিয়ে সর্বমোট ৮৩৪ কোটি ৭০ লাখ টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন। এর মধ্যে উন্নয়ন খাতে ৩২৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা এবং অনুন্নয়ন খাতে ৫০৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। এবারের বাজেটে এই মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৫৪৮ কোটি ৮৩ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে উন্নয়ন খাতের পরিমাণ ছিল ২৬৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা এবং অনুন্নয়ন খাতের পরিমাণ ছিল ৫০১ কোটি ৫৮ লাখ ৩২ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে গত অর্থ বছরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংশোধিত বাজেট এর পরিমান ছিল ৭৬৭ কোটি ১ লাখ ৩২ হাজার টাকা। অর্থাৎ এবারের প্রস্তাবিত বাজেট গত বছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৬৭ কোটি ৬৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বেশী।
এবারের বাজেটে সমাজকল্যাণ, যুব প্রশিক্ষণ ও যুব পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপন ও যুব উন্নয়ন খাতে চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে ১২৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। যা ব্যয় করা হবে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে। আর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মাধ্যমে ক্রীড়ার বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য বাজেট রাখা হয়েছে ১১৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এছাড়া বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রকল্প খাতে বাজেট ধরা হয়েছে ৪১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের জন্য প্রস্তাবকৃত অর্থ ব্যয়ের খাতগুলো হচ্ছে ইনোভেটিভ ম্যানেজমেন্ট অব রিসোর্স ফর পোভার্টি এলিভিয়েশন থ্রু কম্প্রিহেনসিভ টেকনোলজি (আইএমপিএসিটি) খাতে ১৬ কোটি ২৮ লাখ, ১১টি জেলায় নতুন যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্র স্থাপন বাবদ ৭৪ কোটি ৪ লাখ টাকা।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) জন্য প্রস্তাবকৃত অর্থ ব্যয়ের খাতগুলো হচ্ছে সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়ামে উন্নীতকরনের লক্ষ্যে ২৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা, দেশের বিদ্যমান জেলা স্টেডিয়ামগুলো সংষ্কার ও উন্নয়ন (১ম পর্যায়) এর জন্য ৩৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা, নীলফামারী ও নেত্রকোনা জেলা স্টেয়িডামের উন্নয়ন এবং রংপুর বিভাগে মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মান প্রকল্পে ৫৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে এই প্রকল্পের জন্য এবারের বাজেটে ১১৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) এর জন্য এবারের বাজেটে প্রস্তাবকৃত খাতগুলো হচ্ছে বিকেএসপির বিদ্যমান ক্রীড়া সুবিধাবলীর আধুনিকীকরণ ও তৃণমূল পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষন ও নিবিড় প্রশিক্ষন বাবদ ১৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, বিকেএসপির আওতায় চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে ক্রীড়া স্কুল প্রতিষ্ঠা বাবদ ২৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। সর্বমোট এই খাতে ৪১ কোটি ৬৬ লাখ বাজেট ধরা হয়েছে।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে যে বিভিন্ন প্রকল্প, কর্মসূচী বাস্তাবায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তার মধ্যে উপরোক্ত তিন খাতের অধীনে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে শেখ হাসিনা জাতীয় যুব কেন্দ্রের আধুনিকায়ন ও মনোন্নয়ন, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইনডোর প্রশিক্ষনের জন্য বেইলম্যান হ্যাঙ্গার নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প, উত্তরবঙ্গের ৭টি জেলায় বেকার যুবকদের আত্ম কর্মসংস্থানমূলক শীর্ষক প্রকল্প প্রভৃতি।
অর্থমন্ত্রী আজ জাতীয় সংসদে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বাজেট বক্তৃতায় বলেন, বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গনে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল নিজেদের অপরিসীম শক্তি ও সামর্থ্যরে স্বাক্ষর রেখে চলেছে। তারা চলতি বছর অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি পাকিস্তান দলকে ঘরের মাঠে টেস্ট ও ওয়ানডেতে পরাজিত করে সিরিজ জয়ের গৌরব অর্জন করেছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের অগ্রযাত্রায় নি:সন্দেহে এটি একটি বড় মাইলফলক। ক্রিকেট দলের অদম্য ও আত্মপ্রত্যয়ী সকল খেলোয়াড়সহ সংশ্লিষ্ঠ সকলকে এজন্য তিনি আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, বেকার যুবকদের দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ ও সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্টেডিয়ামসমূহের সংষ্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান আছে। বিলুপ্তপ্রায় গ্রামীণ খেলাধুলা পুনুরুজ্জীবিত করণেরও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল এবং এই খেলাটি গ্রামে গঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়। খেলাটির উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই উদ্যোগকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য আমি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি। এজন্য দেশের শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় ১৫ কোটি টাকার একটি থোক সহায়তার ব্যবস্থা করেছি।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে উন্নয়ন খাতের পরিমাণ ছিল ২৬৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা এবং অনুন্নয়ন খাতের পরিমাণ ছিল ৫০১ কোটি ৫৮ লাখ ৩২ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে গত অর্থ বছরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংশোধিত বাজেট এর পরিমান ছিল ৭৬৭ কোটি ১ লাখ ৩২ হাজার টাকা। অর্থাৎ এবারের প্রস্তাবিত বাজেট গত বছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৬৭ কোটি ৬৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বেশী।
এবারের বাজেটে সমাজকল্যাণ, যুব প্রশিক্ষণ ও যুব পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপন ও যুব উন্নয়ন খাতে চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে ১২৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। যা ব্যয় করা হবে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে। আর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মাধ্যমে ক্রীড়ার বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য বাজেট রাখা হয়েছে ১১৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এছাড়া বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রকল্প খাতে বাজেট ধরা হয়েছে ৪১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের জন্য প্রস্তাবকৃত অর্থ ব্যয়ের খাতগুলো হচ্ছে ইনোভেটিভ ম্যানেজমেন্ট অব রিসোর্স ফর পোভার্টি এলিভিয়েশন থ্রু কম্প্রিহেনসিভ টেকনোলজি (আইএমপিএসিটি) খাতে ১৬ কোটি ২৮ লাখ, ১১টি জেলায় নতুন যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্র স্থাপন বাবদ ৭৪ কোটি ৪ লাখ টাকা।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) জন্য প্রস্তাবকৃত অর্থ ব্যয়ের খাতগুলো হচ্ছে সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়ামে উন্নীতকরনের লক্ষ্যে ২৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা, দেশের বিদ্যমান জেলা স্টেডিয়ামগুলো সংষ্কার ও উন্নয়ন (১ম পর্যায়) এর জন্য ৩৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা, নীলফামারী ও নেত্রকোনা জেলা স্টেয়িডামের উন্নয়ন এবং রংপুর বিভাগে মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মান প্রকল্পে ৫৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে এই প্রকল্পের জন্য এবারের বাজেটে ১১৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) এর জন্য এবারের বাজেটে প্রস্তাবকৃত খাতগুলো হচ্ছে বিকেএসপির বিদ্যমান ক্রীড়া সুবিধাবলীর আধুনিকীকরণ ও তৃণমূল পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষন ও নিবিড় প্রশিক্ষন বাবদ ১৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, বিকেএসপির আওতায় চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে ক্রীড়া স্কুল প্রতিষ্ঠা বাবদ ২৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। সর্বমোট এই খাতে ৪১ কোটি ৬৬ লাখ বাজেট ধরা হয়েছে।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে যে বিভিন্ন প্রকল্প, কর্মসূচী বাস্তাবায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তার মধ্যে উপরোক্ত তিন খাতের অধীনে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে শেখ হাসিনা জাতীয় যুব কেন্দ্রের আধুনিকায়ন ও মনোন্নয়ন, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইনডোর প্রশিক্ষনের জন্য বেইলম্যান হ্যাঙ্গার নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প, উত্তরবঙ্গের ৭টি জেলায় বেকার যুবকদের আত্ম কর্মসংস্থানমূলক শীর্ষক প্রকল্প প্রভৃতি।
অর্থমন্ত্রী আজ জাতীয় সংসদে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বাজেট বক্তৃতায় বলেন, বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গনে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল নিজেদের অপরিসীম শক্তি ও সামর্থ্যরে স্বাক্ষর রেখে চলেছে। তারা চলতি বছর অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি পাকিস্তান দলকে ঘরের মাঠে টেস্ট ও ওয়ানডেতে পরাজিত করে সিরিজ জয়ের গৌরব অর্জন করেছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের অগ্রযাত্রায় নি:সন্দেহে এটি একটি বড় মাইলফলক। ক্রিকেট দলের অদম্য ও আত্মপ্রত্যয়ী সকল খেলোয়াড়সহ সংশ্লিষ্ঠ সকলকে এজন্য তিনি আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, বেকার যুবকদের দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ ও সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্টেডিয়ামসমূহের সংষ্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান আছে। বিলুপ্তপ্রায় গ্রামীণ খেলাধুলা পুনুরুজ্জীবিত করণেরও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল এবং এই খেলাটি গ্রামে গঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়। খেলাটির উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই উদ্যোগকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য আমি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি। এজন্য দেশের শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় ১৫ কোটি টাকার একটি থোক সহায়তার ব্যবস্থা করেছি।