ঢাকা ০৪:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিনশোর আগেই জোড়া ধাক্কা খেলো বাংলাদেশ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৬:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২
  • ১২৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নতুন সকালের শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বেশিক্ষণ সেটি ধরে রাখতে পারলেন না লিটন দাস। দিনের অষ্টম ওভারে সাজঘরের পথ ধরলেন ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস খেলা এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তার বিদায়ে ভাঙলো ২৭২ রানের ইতিহাসগড়া জুটি।

লিটন ফেরার পর একই ওভারে আউট হয়ে গেছেন প্রায় সাড়ে তিন বছর পর টেস্ট খেলতে নামা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৯২.৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৯৬ রান। কাসুন রাজিথার চতুর্থ শিকারে পরিণত হয়ে লিটন আউট হলেন ১৪১ রান করে, মোসাদ্দেক ফিরেছেন খালি হাতে।

আগেরদিনের করা ৫ উইকেটে ২৭৭ রান নিয়ে আজকের খেলা শুরু করেছিলেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। রাজিথার করা দিনের চতুর্থ ওভারে জোড়া বাউন্ডারি হাঁকিয়ে আগের দিনের আধিপত্যের বার্তাই দেন মুশফিক। কিন্তু নিজের পরের ওভারেই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালেন এ ডানহাতি পেসার।

ইনিংসের ৯৩তম ওভারের প্রথম বলটি ছিল অফস্ট্যাম্পের বাইরে লেন্থ ডেলিভারি। খোঁচা দিতে গিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়ানো কুশল মেন্ডিসের হাতে ধরা পড়ে যান লিটন। মাত্র ৯ রানের জন্য প্রথমবারের মতো দেড়শ রানের মাইলফলক ছুঁতে পারেননি তিনি। তবে ২৪৬ বলে ১৬ চার ও এক ছয়ে সাজানো ১৪১ রানের ইনিংসটি তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ।

লিটনের বিদায়ের ভেঙেছে ২৭২ রানের জুটি। বাংলাদেশের পক্ষে ষষ্ঠ উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি এটি। সবমিলিয়ে এর চেয়ে বেশি রানের জুটি আছে কেবল দুইটি। ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৫৯ রানের জুটি গড়েন মুশফিক ও সাকিব আল হাসান। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ইমরুল কায়েস ও তামিম ইকবালের উদ্বোধনী জুটি ছিল ৩১২ রানের।

একইভাবে বলের সংখ্যায়ও এটি বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ। মুশফিক-লিটনের জুটিতে ৩৮৪ মিনিট খেলে মোকাবিলা করেছে ৫১৩ বল। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫১৮ বল খেলে ২৬৭ রানের জুটি গড়েছিলেন মুশফিক ও মোহাম্মদ আশরাফুল। গতবছর একই দলের বিপক্ষে মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্তর ২৪২ রানের জুটি হয়েছিল ৫১৪ বল খেলে।

লিটন-মুশফিকের জুটি ভাঙার পর তিন বল টিকতে পেরেছেন মোসাদ্দেক। অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে কট বিহাইন্ড হয়েছেন তিনি। যার সুবাদে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো টেস্ট ক্রিকেটে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছেন রাজিথা। চট্টগ্রাম টেস্টেও একমাত্র ইনিংসে বোলিং করে চারটি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

তিনশোর আগেই জোড়া ধাক্কা খেলো বাংলাদেশ

আপডেট টাইম : ১১:১৬:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নতুন সকালের শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বেশিক্ষণ সেটি ধরে রাখতে পারলেন না লিটন দাস। দিনের অষ্টম ওভারে সাজঘরের পথ ধরলেন ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস খেলা এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তার বিদায়ে ভাঙলো ২৭২ রানের ইতিহাসগড়া জুটি।

লিটন ফেরার পর একই ওভারে আউট হয়ে গেছেন প্রায় সাড়ে তিন বছর পর টেস্ট খেলতে নামা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৯২.৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৯৬ রান। কাসুন রাজিথার চতুর্থ শিকারে পরিণত হয়ে লিটন আউট হলেন ১৪১ রান করে, মোসাদ্দেক ফিরেছেন খালি হাতে।

আগেরদিনের করা ৫ উইকেটে ২৭৭ রান নিয়ে আজকের খেলা শুরু করেছিলেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। রাজিথার করা দিনের চতুর্থ ওভারে জোড়া বাউন্ডারি হাঁকিয়ে আগের দিনের আধিপত্যের বার্তাই দেন মুশফিক। কিন্তু নিজের পরের ওভারেই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালেন এ ডানহাতি পেসার।

ইনিংসের ৯৩তম ওভারের প্রথম বলটি ছিল অফস্ট্যাম্পের বাইরে লেন্থ ডেলিভারি। খোঁচা দিতে গিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়ানো কুশল মেন্ডিসের হাতে ধরা পড়ে যান লিটন। মাত্র ৯ রানের জন্য প্রথমবারের মতো দেড়শ রানের মাইলফলক ছুঁতে পারেননি তিনি। তবে ২৪৬ বলে ১৬ চার ও এক ছয়ে সাজানো ১৪১ রানের ইনিংসটি তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ।

লিটনের বিদায়ের ভেঙেছে ২৭২ রানের জুটি। বাংলাদেশের পক্ষে ষষ্ঠ উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি এটি। সবমিলিয়ে এর চেয়ে বেশি রানের জুটি আছে কেবল দুইটি। ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৫৯ রানের জুটি গড়েন মুশফিক ও সাকিব আল হাসান। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ইমরুল কায়েস ও তামিম ইকবালের উদ্বোধনী জুটি ছিল ৩১২ রানের।

একইভাবে বলের সংখ্যায়ও এটি বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ। মুশফিক-লিটনের জুটিতে ৩৮৪ মিনিট খেলে মোকাবিলা করেছে ৫১৩ বল। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫১৮ বল খেলে ২৬৭ রানের জুটি গড়েছিলেন মুশফিক ও মোহাম্মদ আশরাফুল। গতবছর একই দলের বিপক্ষে মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্তর ২৪২ রানের জুটি হয়েছিল ৫১৪ বল খেলে।

লিটন-মুশফিকের জুটি ভাঙার পর তিন বল টিকতে পেরেছেন মোসাদ্দেক। অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে কট বিহাইন্ড হয়েছেন তিনি। যার সুবাদে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো টেস্ট ক্রিকেটে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছেন রাজিথা। চট্টগ্রাম টেস্টেও একমাত্র ইনিংসে বোলিং করে চারটি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।