ঢাকা ১০:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে খোলা আকাশের নীচে পাঠদান

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৬
  • ৫১৩ বার

ঝিনাইদহের শৈলকুপার উমেদপুর ইউনিয়নের বিএলকে মীর ইসমাইল হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করানো হচ্ছে। এতে যেমন শিক্ষার মান নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে, অন্যদিকে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা। সেই সাথে বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয়দের গরু চড়ানোর ফলে নষ্ট হচ্ছে পাঠদান ও খেলাধুলার পরিবেশ।

এলাকাবাসী জানিয়েছেন, গত মার্চ মাসে শৈলকুপার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঝড়ে ওই বিদ্যালয়ের শ্রেণীর কক্ষের টিনের চালা লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এর মধ্যে ৬ষ্ট ও ৭ম শ্রেণী কক্ষের টিনের চালা বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যা কিনা এখন পর্যন্ত মেরামত করতে সক্ষম হয়নি কর্তৃপক্ষ। যে কারনে ৩৫০ জন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ৬ষ্ট ও ৭ম শ্রেণীর ১৬০ জন কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করাতে বাধ্য হচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিএলকে মীর ইসমাইল হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষে টিনের চালা না থাকায় প্রচন্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল মাঠে খোলা আকাশের নিচে সারিবদ্ধ হয়ে ক্লাস করছে।

ছাত্র-ছাত্রীরা জানায়, ঝড়ে তাদের ক্লাশ রুমের টিনের চালা উড়ে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে ক্লাশ করতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। সেই সাথে একটু বৃষ্টি হলেই ব্যাহত হয় তাদের পাঠদান। স্থানীয় লোকজন স্কুল মাঠে গরু চড়ানোর কারণে খোলা মাঠে পাঠদান, খেলাধুলা ও টিফিনের সময় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গহর আলী জানান, কাল বৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষের টিনের চালা লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করাতে আমরা বাধ্য হচ্ছি।

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মনিরুল ইসলাম জানান, ক্লাশ রুমের টিনের চালা উড়ে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে ক্লাশ করাতে হচ্ছে। ফান্ডে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় মেরামত করতে বিলম্ব হচ্ছে। এছাড়া স্কুল মাঠে স্থানীয়রা গরু চড়ানোর ফলে পাঠদান করাতে আরও অনেক সমস্যা হচ্ছে। অনেক সময় খোলা মাঠে পাঠদান চলাকালীন গরুর আক্রমণের শিকার হয় ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীরা। আমরা এর প্রতিকার ও সহযোগিতা চেয়ে ইতি মধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট দরখাস্ত করেছি।

এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শিক্ষার্থীদের উদ্বিগ্ন অভিভাবকেরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ঝিনাইদহে খোলা আকাশের নীচে পাঠদান

আপডেট টাইম : ১২:১৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৬

ঝিনাইদহের শৈলকুপার উমেদপুর ইউনিয়নের বিএলকে মীর ইসমাইল হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করানো হচ্ছে। এতে যেমন শিক্ষার মান নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে, অন্যদিকে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা। সেই সাথে বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয়দের গরু চড়ানোর ফলে নষ্ট হচ্ছে পাঠদান ও খেলাধুলার পরিবেশ।

এলাকাবাসী জানিয়েছেন, গত মার্চ মাসে শৈলকুপার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঝড়ে ওই বিদ্যালয়ের শ্রেণীর কক্ষের টিনের চালা লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এর মধ্যে ৬ষ্ট ও ৭ম শ্রেণী কক্ষের টিনের চালা বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যা কিনা এখন পর্যন্ত মেরামত করতে সক্ষম হয়নি কর্তৃপক্ষ। যে কারনে ৩৫০ জন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ৬ষ্ট ও ৭ম শ্রেণীর ১৬০ জন কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করাতে বাধ্য হচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিএলকে মীর ইসমাইল হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষে টিনের চালা না থাকায় প্রচন্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল মাঠে খোলা আকাশের নিচে সারিবদ্ধ হয়ে ক্লাস করছে।

ছাত্র-ছাত্রীরা জানায়, ঝড়ে তাদের ক্লাশ রুমের টিনের চালা উড়ে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে ক্লাশ করতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। সেই সাথে একটু বৃষ্টি হলেই ব্যাহত হয় তাদের পাঠদান। স্থানীয় লোকজন স্কুল মাঠে গরু চড়ানোর কারণে খোলা মাঠে পাঠদান, খেলাধুলা ও টিফিনের সময় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গহর আলী জানান, কাল বৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষের টিনের চালা লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করাতে আমরা বাধ্য হচ্ছি।

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মনিরুল ইসলাম জানান, ক্লাশ রুমের টিনের চালা উড়ে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে ক্লাশ করাতে হচ্ছে। ফান্ডে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় মেরামত করতে বিলম্ব হচ্ছে। এছাড়া স্কুল মাঠে স্থানীয়রা গরু চড়ানোর ফলে পাঠদান করাতে আরও অনেক সমস্যা হচ্ছে। অনেক সময় খোলা মাঠে পাঠদান চলাকালীন গরুর আক্রমণের শিকার হয় ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীরা। আমরা এর প্রতিকার ও সহযোগিতা চেয়ে ইতি মধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট দরখাস্ত করেছি।

এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শিক্ষার্থীদের উদ্বিগ্ন অভিভাবকেরা।