ঢাকা ০৫:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে হত্যা করে গাছে বেঁধে রেখেছিলেন স্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৫০:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২
  • ১৪৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ লক্ষ্মীপুরে মিলন হোসেন (৬০) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে স্ত্রী জাহানারা বেগম। পরে বাগানে নিয়ে মরদেহের গলায় রশি পেঁচিয়ে ও পেছন দিক থেকে দুই হাত সুপারিগাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়।

রোববার রাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চন্দ্রগঞ্জ থানার এসআই আবদুল আউয়াল সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আবদুল আউয়াল সরকার জানান, মিলনের মরদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। নিহতের ছোট ছেলে সাফায়েত হোসেন মাহবুব বাদী হয়ে মামলা করে। এতে নিহতের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। পরে রোববার বিকালে আদালতেও তিনি হত্যার ঘটনা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

থানা পুলিশ জানায়, সদর উপজেলার দীঘলি ইউনিয়নের দক্ষিণ খাগুড়িয়া গ্রামে ২২ এপ্রিল দিবাগত রাতের কোনো একসময় জাহানারা তার স্বামী মিলনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে বাড়ির পেছনের বাগানে নিয়ে সুপারিগাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। পর দিন সকালে বাড়ির লোকজন গলায় রশি ও গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় মিলনের মরদেহ দেখতে পান।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জাহানারাসহ পুলিশ পরিবারের চার সদস্যকে আটক করে। পরে নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদে জাহানারা হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। নিহত মিলন দক্ষিণ খাগুড়িয়া গ্রামের মৃত আনোয়ার মিয়ার ছেলে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে হত্যা করে গাছে বেঁধে রেখেছিলেন স্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৫:৫০:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ লক্ষ্মীপুরে মিলন হোসেন (৬০) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে স্ত্রী জাহানারা বেগম। পরে বাগানে নিয়ে মরদেহের গলায় রশি পেঁচিয়ে ও পেছন দিক থেকে দুই হাত সুপারিগাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়।

রোববার রাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চন্দ্রগঞ্জ থানার এসআই আবদুল আউয়াল সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আবদুল আউয়াল সরকার জানান, মিলনের মরদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। নিহতের ছোট ছেলে সাফায়েত হোসেন মাহবুব বাদী হয়ে মামলা করে। এতে নিহতের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। পরে রোববার বিকালে আদালতেও তিনি হত্যার ঘটনা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

থানা পুলিশ জানায়, সদর উপজেলার দীঘলি ইউনিয়নের দক্ষিণ খাগুড়িয়া গ্রামে ২২ এপ্রিল দিবাগত রাতের কোনো একসময় জাহানারা তার স্বামী মিলনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে বাড়ির পেছনের বাগানে নিয়ে সুপারিগাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। পর দিন সকালে বাড়ির লোকজন গলায় রশি ও গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় মিলনের মরদেহ দেখতে পান।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জাহানারাসহ পুলিশ পরিবারের চার সদস্যকে আটক করে। পরে নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদে জাহানারা হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। নিহত মিলন দক্ষিণ খাগুড়িয়া গ্রামের মৃত আনোয়ার মিয়ার ছেলে।