ঢাকা ১০:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:০২:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৬
  • ৫১০ বার

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“নিরাপদ কর্মপরিবেশ, সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশ’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্কে দেশব্যাপী সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ‘পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

বর্তমান বিশ্ব তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ। এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কর্মস্থলে উন্নত কর্মপরিবেশ, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে লক্ষ্যে ‘পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস’ উদ্যাপন এক অন্যতম মাইলফলক বলে আমি মনে করি।

আমাদের রপ্তানি বাণিজ্য আজ বিশ্বব্যাপী। রপ্তানি বাণিজ্যের বাজার ধরে রাখার পাশাপাশি আরো সম্প্রসারণের জন্য উৎপাদনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে হবে। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার, স্বাস্থ্য ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, শ্রমিক সংগঠনগুলোকে এ বিষয়ে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা লাভের অব্যবহিত পর ১৯৭২ সালের ২২ জুন বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলও’র সদস্যপদ লাভ করে। স্বাধীনতার পর পরই তৎকালীন প্রেক্ষাপটে তিনি সকল কলকারখানা জাতীয়করণ করেন এবং বাংলার শ্রমজীবী মানুষের মর্যাদা নিশ্চিত করেন। শ্রমজীবী মানুষের মর্যাদা প্রদানে বঙ্গবন্ধুর দৃঢ় প্রত্যয় থেকেই তাদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টি সুস্পষ্ট হয়। বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শকে সামনে রেখেই দেশের সকল শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বহুমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সেবা এবং নিরাপত্তা সুবিধা প্রতিটি শ্রমিকের ন্যায়সংগত অধিকার। ‘পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস’-শুধুমাত্র শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্যরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এ বিষয়ের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক মুক্তি। শ্রমিকদেরকে পেশাগত স্বাস্থ্য এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলে অবদান রাখবেন-এটাই জাতি প্রত্যাশা করে।

আমি ‘পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস’ উদ্যাপনের সফলতা কামনা করি।

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী

আপডেট টাইম : ১০:০২:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৬

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“নিরাপদ কর্মপরিবেশ, সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশ’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্কে দেশব্যাপী সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ‘পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

বর্তমান বিশ্ব তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ। এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কর্মস্থলে উন্নত কর্মপরিবেশ, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে লক্ষ্যে ‘পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস’ উদ্যাপন এক অন্যতম মাইলফলক বলে আমি মনে করি।

আমাদের রপ্তানি বাণিজ্য আজ বিশ্বব্যাপী। রপ্তানি বাণিজ্যের বাজার ধরে রাখার পাশাপাশি আরো সম্প্রসারণের জন্য উৎপাদনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে হবে। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার, স্বাস্থ্য ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, শ্রমিক সংগঠনগুলোকে এ বিষয়ে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা লাভের অব্যবহিত পর ১৯৭২ সালের ২২ জুন বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলও’র সদস্যপদ লাভ করে। স্বাধীনতার পর পরই তৎকালীন প্রেক্ষাপটে তিনি সকল কলকারখানা জাতীয়করণ করেন এবং বাংলার শ্রমজীবী মানুষের মর্যাদা নিশ্চিত করেন। শ্রমজীবী মানুষের মর্যাদা প্রদানে বঙ্গবন্ধুর দৃঢ় প্রত্যয় থেকেই তাদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টি সুস্পষ্ট হয়। বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শকে সামনে রেখেই দেশের সকল শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বহুমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সেবা এবং নিরাপত্তা সুবিধা প্রতিটি শ্রমিকের ন্যায়সংগত অধিকার। ‘পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস’-শুধুমাত্র শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্যরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এ বিষয়ের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক মুক্তি। শ্রমিকদেরকে পেশাগত স্বাস্থ্য এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলে অবদান রাখবেন-এটাই জাতি প্রত্যাশা করে।

আমি ‘পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস’ উদ্যাপনের সফলতা কামনা করি।

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”