ঢাকা ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিডনির পাথর দূর করুন ৩ উপায়ে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:২০:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ ২০২২
  • ১২৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিডনিতে পাথর জমার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। যদিও এটি সাধারণ স্বাস্থ্যগত সমস্যা, তবে অনেকের ক্ষেত্রেই এটি মারাত্মক হতে পারে। প্রথমেই জেনে নিন কিডনিতে পাথর জমে কীভাবে? আর এই পাথরগুলো আসলে কী?

কিডনিতে যে পাথরগুলো জমে সেগুলেকে রেনাল পাথর বা নেফ্রোলিথিয়াসিস বলা হয়। কঠিন বর্জ্য পদার্থ দিয়ে গঠিত হয় এই পাথরগুলো। ক্যালসিয়াম অক্সালেট, স্ট্রুভাইট, ইউরিক অ্যাসিড এবং সিস্টাইন মিলে কিডনির পাথরগুলো তৈরি হয়।

এ বিষয়ে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি রোগ বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. এম এ সামাদ বলেন, ‘কিডনির পাথর রোগটি খুব জটিল নয়। এখন সহজেই এটি নিরাময় করা সম্ভব।’

কিডনিতে পাথর হওয়া প্রসঙ্গে এই চিকিৎসক জানান, ‘ক্যালসিয়াম ও অক্সালেটের সংমিশ্রণেই পাথরের সৃষ্টি হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অর্থাৎ ৮০-৯০ ভাগ রোগীর কিডনিতে জমা পাথর নিয়মিত জীবনযাপনের মাধ্যমে প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়।’

তিনি আরও জানান, ‘মাত্র ৩ উপায়েই কিডনির পাথর দূর করা সম্ভব। আর তা হলো- দৈনিক আধা ঘণ্টা হাঁটা, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া ও পর্যাপ্ত পান পান করা।’

‘যাদের কিডনির পাথর মটরশুঁটির মতো আকার ধারণ করেছে তারা জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে ৪০-৫০ শতাংশ সুস্থ হতে পারেন’, বলে জানান চিকিৎসক।

কিডনিতে পাথর হলে কী খাবেন আর কী খাবেন না? এ বিষয়ে ডা. সামান বলেন, ‘এমন রোগীদের উচিত ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া। তবে দুধ খেতে পারবেন তারা। কারণ দুধের ক্যালসিয়াম শরীরের কোনো ক্ষতি করে না।’

প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ক্যালসিয়ামের দৈনিক চাহিদা হলো ১০০০ মিলিগ্রাম। অন্যদিকে ৫০-৭০ বয়সীদের জন্য ১২০০ মিলিগ্রাম। তাই দৈনিক চাহিদা অনুযায়ী ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে হবে সবাইকে।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কিডনির পাথর দূর করুন ৩ উপায়ে

আপডেট টাইম : ০৭:২০:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিডনিতে পাথর জমার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। যদিও এটি সাধারণ স্বাস্থ্যগত সমস্যা, তবে অনেকের ক্ষেত্রেই এটি মারাত্মক হতে পারে। প্রথমেই জেনে নিন কিডনিতে পাথর জমে কীভাবে? আর এই পাথরগুলো আসলে কী?

কিডনিতে যে পাথরগুলো জমে সেগুলেকে রেনাল পাথর বা নেফ্রোলিথিয়াসিস বলা হয়। কঠিন বর্জ্য পদার্থ দিয়ে গঠিত হয় এই পাথরগুলো। ক্যালসিয়াম অক্সালেট, স্ট্রুভাইট, ইউরিক অ্যাসিড এবং সিস্টাইন মিলে কিডনির পাথরগুলো তৈরি হয়।

এ বিষয়ে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি রোগ বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. এম এ সামাদ বলেন, ‘কিডনির পাথর রোগটি খুব জটিল নয়। এখন সহজেই এটি নিরাময় করা সম্ভব।’

কিডনিতে পাথর হওয়া প্রসঙ্গে এই চিকিৎসক জানান, ‘ক্যালসিয়াম ও অক্সালেটের সংমিশ্রণেই পাথরের সৃষ্টি হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অর্থাৎ ৮০-৯০ ভাগ রোগীর কিডনিতে জমা পাথর নিয়মিত জীবনযাপনের মাধ্যমে প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়।’

তিনি আরও জানান, ‘মাত্র ৩ উপায়েই কিডনির পাথর দূর করা সম্ভব। আর তা হলো- দৈনিক আধা ঘণ্টা হাঁটা, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া ও পর্যাপ্ত পান পান করা।’

‘যাদের কিডনির পাথর মটরশুঁটির মতো আকার ধারণ করেছে তারা জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে ৪০-৫০ শতাংশ সুস্থ হতে পারেন’, বলে জানান চিকিৎসক।

কিডনিতে পাথর হলে কী খাবেন আর কী খাবেন না? এ বিষয়ে ডা. সামান বলেন, ‘এমন রোগীদের উচিত ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া। তবে দুধ খেতে পারবেন তারা। কারণ দুধের ক্যালসিয়াম শরীরের কোনো ক্ষতি করে না।’

প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ক্যালসিয়ামের দৈনিক চাহিদা হলো ১০০০ মিলিগ্রাম। অন্যদিকে ৫০-৭০ বয়সীদের জন্য ১২০০ মিলিগ্রাম। তাই দৈনিক চাহিদা অনুযায়ী ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে হবে সবাইকে।