ঢাকা ০৮:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দেশ ও জাতি গঠনে “দৈনিক আমার দেশ” পত্রিকার কাছে নেত্রকোণার জনগণের প্রত্যাশা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত ভুল অস্ত্রোপচার, যা ঘটেছিল প্রিয়াঙ্কা সঙ্গে সচিবালয়ে উপদেষ্টা হাসান আরিফের তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন সাবেক সচিব ইসমাইল রিমান্ডে অবশেষে বিল পাস করে ‘শাটডাউন’ এড়াল যুক্তরাষ্ট্র চাঁদাবাজদের ধরতে অভিযান শুরু হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার নির্বাচনের পর নিজের নিয়মিত কাজে ফিরে যাবেন ড. ইউনূস ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আহত ১৬ জুলাই আন্দোলন বিগত বছরগুলোর অনিয়মের সমষ্টি: ফারুকী তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ‘সড়কে নৈরাজ্যের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রভাব জড়িত

ময়ূরের খামারে অর্ধকোটি টাকার মালিক শাহ আলী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:১২:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ মার্চ ২০২২
  • ১১৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় ময়ূরের খামার করে স্বাবলম্বী উপজেলার নিলখী ইউনিয়নের বাবরকান্দি গ্রামের আবদুল বারেকের ছেলে শাহ আলী। তিনি এখন অর্ধকোটি টাকার মালিক।

জানা যায়, অষ্টম শ্রেণি পাস করা শাহ আলীর স্বপ্ন ছিল ময়ূর পোষা। কারণ ময়ূরের পেখম তোলা নাচ তাকে মুগ্ধ করতো। শাহ আলী ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে  শখের বসে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি পুরুষ ও একটি নারী ময়ূর ক্রয় করে তা পোষা শুরু করেন। পরবর্তীতে  নারী ময়ূরটি ১৮টি ডিম দেয়। এ ডিম থেকে ১২টি বাচ্চা ফোটে। এভাবে বাড়তে থাকে ময়ূরের সংখ্যা।

বর্তমানে তার খামারে  ৯০ টি ময়ূর আছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ২৫ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে শাহ আলী ময়ূর বিক্রি করে পেয়েছেন ২১ লাখ টাকা।
সে হিসাবে শাহ আলী এখন অর্ধকোটি টাকার মালিক।

ময়ূর খামারি শাহ আলী জানান, আমি ছোট বেলায় ঢাকায়  মিরপুরে ভাড়া বাসায় পাখি লালন পালন করতাম। হঠাৎ একদিন পাখি বিক্রি করতে গিয়ে চোখ পড়ে যায় ময়ূরের দিকে। পরে পাখি বিক্রির টাকাসহ টাকা ঋণ করে ১ লাখ ৬৫ টাকা দিয়ে দুটি ময়ূর কিনি। এ ময়ূর দুটি ১৮টি ডিম পাড়ে। তা থেকে ১২টি বাচ্চা ফোটে। কিছু দিন পরে আমি ময়ুরগুলো নিয়ে আমি বাড়িতে চলে আসি। বাড়িতে এসে দুটি টিনসেড ঘর তৈরি করে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে আরও পাঁচটি ময়ূর ক্রয় করে খামার গড়ে তুলি। যার মধ্যে চারটি নারী ও একটি পুরুষ ময়ূর ছিল।

পরবর্তীতে ১৪০টি ডিম পাড়ে। এতে বাচ্চা ফোটে ১২টি। পরবর্তীতে  ময়ূর বিক্রি করে ২১ লাখ টাকা পেয়েছি। সবার দোয়ায় বর্তমানে আমি খুব ভালো আছি। ময়ূরের খামার আরও বৃদ্ধি করে বাণিজ্যিক খামার গড়তে চাই।

হোমনা  উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এ কে এম বাহারুল ইসলাম তালুকদার জানান, খবর পেয়ে ময়ূরের খামার পরিদর্শন করে বনবিভাগ থেকে খামারের অনুমতি নিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সে অনুমতি পেয়েছেন। তাকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার করা হবে।

কুমিল্লা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ মো. নজরুল ইসলাম বলেন,সম্ভবত এটা জেলায় প্রথম ময়ূরের খামার। এটা একটি লাভজনক ব্যবসায়। কেউ খামার করতে চাইলে চিকিৎসা থেকে শুরু করে তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

দেশ ও জাতি গঠনে “দৈনিক আমার দেশ” পত্রিকার কাছে নেত্রকোণার জনগণের প্রত্যাশা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

ময়ূরের খামারে অর্ধকোটি টাকার মালিক শাহ আলী

আপডেট টাইম : ০৫:১২:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ মার্চ ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় ময়ূরের খামার করে স্বাবলম্বী উপজেলার নিলখী ইউনিয়নের বাবরকান্দি গ্রামের আবদুল বারেকের ছেলে শাহ আলী। তিনি এখন অর্ধকোটি টাকার মালিক।

জানা যায়, অষ্টম শ্রেণি পাস করা শাহ আলীর স্বপ্ন ছিল ময়ূর পোষা। কারণ ময়ূরের পেখম তোলা নাচ তাকে মুগ্ধ করতো। শাহ আলী ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে  শখের বসে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি পুরুষ ও একটি নারী ময়ূর ক্রয় করে তা পোষা শুরু করেন। পরবর্তীতে  নারী ময়ূরটি ১৮টি ডিম দেয়। এ ডিম থেকে ১২টি বাচ্চা ফোটে। এভাবে বাড়তে থাকে ময়ূরের সংখ্যা।

বর্তমানে তার খামারে  ৯০ টি ময়ূর আছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ২৫ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে শাহ আলী ময়ূর বিক্রি করে পেয়েছেন ২১ লাখ টাকা।
সে হিসাবে শাহ আলী এখন অর্ধকোটি টাকার মালিক।

ময়ূর খামারি শাহ আলী জানান, আমি ছোট বেলায় ঢাকায়  মিরপুরে ভাড়া বাসায় পাখি লালন পালন করতাম। হঠাৎ একদিন পাখি বিক্রি করতে গিয়ে চোখ পড়ে যায় ময়ূরের দিকে। পরে পাখি বিক্রির টাকাসহ টাকা ঋণ করে ১ লাখ ৬৫ টাকা দিয়ে দুটি ময়ূর কিনি। এ ময়ূর দুটি ১৮টি ডিম পাড়ে। তা থেকে ১২টি বাচ্চা ফোটে। কিছু দিন পরে আমি ময়ুরগুলো নিয়ে আমি বাড়িতে চলে আসি। বাড়িতে এসে দুটি টিনসেড ঘর তৈরি করে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে আরও পাঁচটি ময়ূর ক্রয় করে খামার গড়ে তুলি। যার মধ্যে চারটি নারী ও একটি পুরুষ ময়ূর ছিল।

পরবর্তীতে ১৪০টি ডিম পাড়ে। এতে বাচ্চা ফোটে ১২টি। পরবর্তীতে  ময়ূর বিক্রি করে ২১ লাখ টাকা পেয়েছি। সবার দোয়ায় বর্তমানে আমি খুব ভালো আছি। ময়ূরের খামার আরও বৃদ্ধি করে বাণিজ্যিক খামার গড়তে চাই।

হোমনা  উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এ কে এম বাহারুল ইসলাম তালুকদার জানান, খবর পেয়ে ময়ূরের খামার পরিদর্শন করে বনবিভাগ থেকে খামারের অনুমতি নিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সে অনুমতি পেয়েছেন। তাকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার করা হবে।

কুমিল্লা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ মো. নজরুল ইসলাম বলেন,সম্ভবত এটা জেলায় প্রথম ময়ূরের খামার। এটা একটি লাভজনক ব্যবসায়। কেউ খামার করতে চাইলে চিকিৎসা থেকে শুরু করে তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।