ঢাকা ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উদ্বাস্তু সিরিয়ানদের জন্য ফিলিস্তিনিদের ১০ মিলিয়ন ডলার অনুদান

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:২৬:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৩০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ উদ্বাস্তু সিরিয়ান শরনার্থীদের সহায়তা করতে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান সংগ্রহ করেছেন ফিলিস্তিনি কর্মীরা। তীব্র শৈত্যপ্রবাহে তাবুতে সংকটের মুখে পড়া সিরিয়ানদের জন্য ফিলিস্তিনি কর্মী ইবরাহিম খালিল সামাজিক যোগাযোগ প্রচারণা চালিয়ে এ অর্থ সংগ্রহ করেন।

গত শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) আল কুলুব আল রহিমাহ এসোসিয়েশন এক বিবৃতিতে জানায়, সিরিয়ান শরণার্থীদের সাহায়তা করতে সংস্থাটি  ১০ মিলিয়ন ডলার পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এ অর্থ সংগ্রহ করা হয় জানিয়েছে সংস্থাটি।

এরই অংশ হিসেবে ইবরাহিম খলিল অর্থ সংগ্রহে প্রচারণা শুরু করেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শুরু হয় ‘টেন্টস উইথ হাউসেস’ বা তাবুর সঙ্গে ঘর নামের ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনে সাড়া দিতে এগিয়ে আসেন পশ্চিম তীরের বাসিন্দাদের পাশাপাশি ইসরায়েলে থাকা ফিলিস্তিনিরাও। অনুদান সংগ্রহের এ অভিযানে ছয় লাখ মার্কিন ডলার অনুদান দেন জেরুজালেম নগরীর শুফাত শরনার্থী শিবির।

কয়েক দিন পর জেরুজালেমের পাশাপাশি সুর বাহের নামক এলাকায়ও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। অনুদান সংগ্রহে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে  হাউসইন্সটেডঅবটেন্টস নামে একটি হ্যাশট্যাগ ভাইরাল হয়।

খালিল জানান, এক মাস আগে হিটারের জন্য অনুদান সংগ্রহ শুরু করার পর নতুন ভাবনা কাজে লাগানো শুরু হয়। আমরা ৫৫ টি গ্যাস হিটার কেনা ও বিতরণ করতে নির্দিষ্ট প্রচারণা শুরু করি। তুরস্কের শরণার্থী শিবিরে থাকা পরিবারগুলো এ সহায়তা পেয়ে ঠাণ্ডামু্ক্ত পরিবেশে জীবন যাপন করছেন বলে জানান তিনি।

এরপর বাবা-মা হারিয়ে দাদা-দাদির সঙ্গে শরণার্থী শিবিরের তাবুতে বাস করা ১১ বছর বয়সী জেইনা নামের শিশুর ভিডিও নাড়া দেয় সবার অন্তরকে। খলিল বলেন, ‘ভিডিওতে জেইনা বলছিল, আমরা তাবুর বদলে ঘরে থাকতে পারতাম। তখন আমার মনে পড়ল, এক সময় সিরিয়ানরা ফিলিস্তিনিদের সহায়তায় হাত বাড়িয়েছিল। তখন আমি সিরিয়ানদের জন্য অর্থ সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেই। ’

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে দেশটির শরণার্থীদের জন্য ২৭৩টি ঘর নির্মাণ করা খলিলের প্রধান লক্ষ্য ছিল। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সংগৃহীত অর্থকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নেন খলিল। তাই হয়ত একটি পুরো বাড়ি কিংবা শরণার্থীদের জন্য বিপুল সংখ্যক হিটার এভাবেই অর্থসংগ্রহ করেন তিনি।

অবাক করা ব্যাপা হলো, শুরু করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ৫৫টি ঘর তৈরির অর্থ সংগ্রহ করা হয়। এছাড়াও ২৫০ পরিবারকে হিটার দেওয়ার অর্থ সংগ্রহ করা হয়। প্রাথমিকভাবে খলিলের সংগৃহীত অর্থ তিন মিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌছে।

সূত্র : আরব নিউজ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

উদ্বাস্তু সিরিয়ানদের জন্য ফিলিস্তিনিদের ১০ মিলিয়ন ডলার অনুদান

আপডেট টাইম : ০২:২৬:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ উদ্বাস্তু সিরিয়ান শরনার্থীদের সহায়তা করতে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান সংগ্রহ করেছেন ফিলিস্তিনি কর্মীরা। তীব্র শৈত্যপ্রবাহে তাবুতে সংকটের মুখে পড়া সিরিয়ানদের জন্য ফিলিস্তিনি কর্মী ইবরাহিম খালিল সামাজিক যোগাযোগ প্রচারণা চালিয়ে এ অর্থ সংগ্রহ করেন।

গত শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) আল কুলুব আল রহিমাহ এসোসিয়েশন এক বিবৃতিতে জানায়, সিরিয়ান শরণার্থীদের সাহায়তা করতে সংস্থাটি  ১০ মিলিয়ন ডলার পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এ অর্থ সংগ্রহ করা হয় জানিয়েছে সংস্থাটি।

এরই অংশ হিসেবে ইবরাহিম খলিল অর্থ সংগ্রহে প্রচারণা শুরু করেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শুরু হয় ‘টেন্টস উইথ হাউসেস’ বা তাবুর সঙ্গে ঘর নামের ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনে সাড়া দিতে এগিয়ে আসেন পশ্চিম তীরের বাসিন্দাদের পাশাপাশি ইসরায়েলে থাকা ফিলিস্তিনিরাও। অনুদান সংগ্রহের এ অভিযানে ছয় লাখ মার্কিন ডলার অনুদান দেন জেরুজালেম নগরীর শুফাত শরনার্থী শিবির।

কয়েক দিন পর জেরুজালেমের পাশাপাশি সুর বাহের নামক এলাকায়ও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। অনুদান সংগ্রহে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে  হাউসইন্সটেডঅবটেন্টস নামে একটি হ্যাশট্যাগ ভাইরাল হয়।

খালিল জানান, এক মাস আগে হিটারের জন্য অনুদান সংগ্রহ শুরু করার পর নতুন ভাবনা কাজে লাগানো শুরু হয়। আমরা ৫৫ টি গ্যাস হিটার কেনা ও বিতরণ করতে নির্দিষ্ট প্রচারণা শুরু করি। তুরস্কের শরণার্থী শিবিরে থাকা পরিবারগুলো এ সহায়তা পেয়ে ঠাণ্ডামু্ক্ত পরিবেশে জীবন যাপন করছেন বলে জানান তিনি।

এরপর বাবা-মা হারিয়ে দাদা-দাদির সঙ্গে শরণার্থী শিবিরের তাবুতে বাস করা ১১ বছর বয়সী জেইনা নামের শিশুর ভিডিও নাড়া দেয় সবার অন্তরকে। খলিল বলেন, ‘ভিডিওতে জেইনা বলছিল, আমরা তাবুর বদলে ঘরে থাকতে পারতাম। তখন আমার মনে পড়ল, এক সময় সিরিয়ানরা ফিলিস্তিনিদের সহায়তায় হাত বাড়িয়েছিল। তখন আমি সিরিয়ানদের জন্য অর্থ সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেই। ’

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে দেশটির শরণার্থীদের জন্য ২৭৩টি ঘর নির্মাণ করা খলিলের প্রধান লক্ষ্য ছিল। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সংগৃহীত অর্থকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নেন খলিল। তাই হয়ত একটি পুরো বাড়ি কিংবা শরণার্থীদের জন্য বিপুল সংখ্যক হিটার এভাবেই অর্থসংগ্রহ করেন তিনি।

অবাক করা ব্যাপা হলো, শুরু করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ৫৫টি ঘর তৈরির অর্থ সংগ্রহ করা হয়। এছাড়াও ২৫০ পরিবারকে হিটার দেওয়ার অর্থ সংগ্রহ করা হয়। প্রাথমিকভাবে খলিলের সংগৃহীত অর্থ তিন মিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌছে।

সূত্র : আরব নিউজ