ঢাকা ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ভারতে ১৩ বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেপ্তার কবরের পাশে দিন-রাত বসে থাকি, ছেলে ফিরে আসে না সংস্কার না করলে শহীদদের রক্তের সঙ্গে অন্যায় করা হবে : উপদেষ্টা সাখাওয়াত কাকে ‘ননসেন্স’ বললেন বুবলী ভোটার হওয়ার ন্যূনতম বয়সসীমা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আপত্তি বিএনপি মহাসচিবের সচিবালয়ে প্রবেশে অস্থায়ী পাসের ব্যাপারে বিশেষ সেল গঠন জর্জিনাকে ‘স্ত্রী’ সম্বোধন, তবে কি বিয়েটা সেরেই ফেলেছেন রোনালদো ৩১ ডিসেম্বর আসছে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা মহাখালীতে আবাসিক ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২ ইউনিট ভোটার হওয়ার ন্যূনতম বয়সসীমা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আপত্তি বিএনপি মহাসচিবের

আলুর বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটলেও দাম নিয়ে হতাশায় ভুগছেন চাষিরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:২৪:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৭৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মার চরে গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে আলুর বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটলেও দাম নিয়ে হতাশায় ভুগছেন চাষিরা। কৃষকরা বলছেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে আলু আবাদ হয়েছে। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে, তবে দাম কম হওয়ায় আলু চাষিরা বিপাকে পড়েছেন।

বৃহস্পতিবার বাঘা হাটে পাইকারি বাজারে জাত ভেদে প্রতিমণ আলু বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়। এক কেজি গরুর মাংস কিনতে হলে দেড় মণের বেশি আলু বিক্রি করতে হচ্ছে চাষিদের। উপজেলায় আলুর চাষ হয়েছে ১৯০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে অধিকাংশ পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের ১৫টি চরে আলুর আবাদ হয়েছে।

কালিদাশখালি চরের সাহেব আলী নামে এক চাষি বলেন, আমার সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে ‘কার্ডিনাল’ জাতের আলুর আবাদ করেছি। সার, বীজ ও সেচসহ খরচ হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা। উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১৫০ মণ। ফলন ভালো হলেও এবার দাম না পাওয়ায় হতাশায় পড়েছি। তবে এ অবস্থার পরিবর্তন না হলে সবকিছু খোয়াতে হবে।

উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের নীচপলাশিফতেপুর চরের আরেক আলু চাষি হাবলু সেখ বলেন, আলুর দাম বর্তমানে খুবই কম। দাম না থাকায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হচ্ছে। তবে মৌসুমের শুরুতে দাম ভালো পেলেও বর্তমানে দাম নিয়ে হতাশায় রয়েছি।

বাঘা বাজারের আলু ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, মোকামে আলুর দাম কম। তারপরও এ মৌসুমে অনেক টাকা লোকসান হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। উফশী জাতের ১৬০ হেক্টর ও দেশি জাতের ৩০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। বিঘাপ্রতি গড় ফলন ৭৫ মণ। আলু ক্ষেত অনেকটা রোগ বালাইমুক্ত হওয়ায় বাম্পার ফলন হয়েছে। হঠাৎ সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় আলুর দাম কিছুটা কমেছে।

তবে বিদেশে যারা আলু রফতানি করেন, তারা কিনতে শুরু করলে এই দাম থাকবে না। সেই সঙ্গে সংরক্ষণের জন্য হিমাগারগুলো আলু কেনা শুরু করলে বাজার আবার ঘুরে দাঁড়াবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ভারতে ১৩ বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেপ্তার

আলুর বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটলেও দাম নিয়ে হতাশায় ভুগছেন চাষিরা

আপডেট টাইম : ০৭:২৪:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মার চরে গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে আলুর বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটলেও দাম নিয়ে হতাশায় ভুগছেন চাষিরা। কৃষকরা বলছেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে আলু আবাদ হয়েছে। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে, তবে দাম কম হওয়ায় আলু চাষিরা বিপাকে পড়েছেন।

বৃহস্পতিবার বাঘা হাটে পাইকারি বাজারে জাত ভেদে প্রতিমণ আলু বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়। এক কেজি গরুর মাংস কিনতে হলে দেড় মণের বেশি আলু বিক্রি করতে হচ্ছে চাষিদের। উপজেলায় আলুর চাষ হয়েছে ১৯০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে অধিকাংশ পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের ১৫টি চরে আলুর আবাদ হয়েছে।

কালিদাশখালি চরের সাহেব আলী নামে এক চাষি বলেন, আমার সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে ‘কার্ডিনাল’ জাতের আলুর আবাদ করেছি। সার, বীজ ও সেচসহ খরচ হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা। উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১৫০ মণ। ফলন ভালো হলেও এবার দাম না পাওয়ায় হতাশায় পড়েছি। তবে এ অবস্থার পরিবর্তন না হলে সবকিছু খোয়াতে হবে।

উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের নীচপলাশিফতেপুর চরের আরেক আলু চাষি হাবলু সেখ বলেন, আলুর দাম বর্তমানে খুবই কম। দাম না থাকায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হচ্ছে। তবে মৌসুমের শুরুতে দাম ভালো পেলেও বর্তমানে দাম নিয়ে হতাশায় রয়েছি।

বাঘা বাজারের আলু ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, মোকামে আলুর দাম কম। তারপরও এ মৌসুমে অনেক টাকা লোকসান হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। উফশী জাতের ১৬০ হেক্টর ও দেশি জাতের ৩০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। বিঘাপ্রতি গড় ফলন ৭৫ মণ। আলু ক্ষেত অনেকটা রোগ বালাইমুক্ত হওয়ায় বাম্পার ফলন হয়েছে। হঠাৎ সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় আলুর দাম কিছুটা কমেছে।

তবে বিদেশে যারা আলু রফতানি করেন, তারা কিনতে শুরু করলে এই দাম থাকবে না। সেই সঙ্গে সংরক্ষণের জন্য হিমাগারগুলো আলু কেনা শুরু করলে বাজার আবার ঘুরে দাঁড়াবে।