হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মার চরে গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে আলুর বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটলেও দাম নিয়ে হতাশায় ভুগছেন চাষিরা। কৃষকরা বলছেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে আলু আবাদ হয়েছে। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে, তবে দাম কম হওয়ায় আলু চাষিরা বিপাকে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার বাঘা হাটে পাইকারি বাজারে জাত ভেদে প্রতিমণ আলু বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়। এক কেজি গরুর মাংস কিনতে হলে দেড় মণের বেশি আলু বিক্রি করতে হচ্ছে চাষিদের। উপজেলায় আলুর চাষ হয়েছে ১৯০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে অধিকাংশ পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের ১৫টি চরে আলুর আবাদ হয়েছে।
কালিদাশখালি চরের সাহেব আলী নামে এক চাষি বলেন, আমার সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে ‘কার্ডিনাল’ জাতের আলুর আবাদ করেছি। সার, বীজ ও সেচসহ খরচ হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা। উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১৫০ মণ। ফলন ভালো হলেও এবার দাম না পাওয়ায় হতাশায় পড়েছি। তবে এ অবস্থার পরিবর্তন না হলে সবকিছু খোয়াতে হবে।
উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের নীচপলাশিফতেপুর চরের আরেক আলু চাষি হাবলু সেখ বলেন, আলুর দাম বর্তমানে খুবই কম। দাম না থাকায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হচ্ছে। তবে মৌসুমের শুরুতে দাম ভালো পেলেও বর্তমানে দাম নিয়ে হতাশায় রয়েছি।
বাঘা বাজারের আলু ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, মোকামে আলুর দাম কম। তারপরও এ মৌসুমে অনেক টাকা লোকসান হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। উফশী জাতের ১৬০ হেক্টর ও দেশি জাতের ৩০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। বিঘাপ্রতি গড় ফলন ৭৫ মণ। আলু ক্ষেত অনেকটা রোগ বালাইমুক্ত হওয়ায় বাম্পার ফলন হয়েছে। হঠাৎ সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় আলুর দাম কিছুটা কমেছে।
তবে বিদেশে যারা আলু রফতানি করেন, তারা কিনতে শুরু করলে এই দাম থাকবে না। সেই সঙ্গে সংরক্ষণের জন্য হিমাগারগুলো আলু কেনা শুরু করলে বাজার আবার ঘুরে দাঁড়াবে।