ঢাকা ১২:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক ইনিংসে ৪২৮ রান করা সেই ক্রিকেটার মারা গেছেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪৬:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২২
  • ১২৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ টেস্ট ক্রিকেটে এক ইনিংসে ৪০০’রও বেশি রান করে ইতিহাস গড়েছেন মাত্র দুজন তারকা। দুজনই পাকিস্তানি- হানিফ মোহাম্মদ এবং আফতাব বালুচ।

যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ব্রায়ান লারার মতো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নয়। তাদের রেকর্ডটি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে।

সেই দুই পাকিস্তানি ক্রিকেটারের একজন আফতাব বালুচ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন পরকালীন জগতে। ইন্নালিল্লাহে ওয়াইন্না ইলাইহে রাজেউন। তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) বরাতে আফতাব বালুচের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ইএসপিএন ক্রিকইনফো।

এক শোকবার্তায় পিসিবির চেয়ারম্যান রমিজ রাজা বলেছেন, ‘আফতাব বালুচের মৃত্যুর খবর শুনে আমি গভীরভাবে শোকাহত। আমি যখন ক্রিকেটে বেড়ে উঠছিলাম, তখন আফতাব বালুচ ছিলেন অনেক বেশি জনপ্রিয় ক্রিকেটার। শুধু একাই আমি তাকে দেখে বড় হইনি, তার শেষ বেলায় তার বিপক্ষে খেলেছিলামও।’

১৯৭৩-৭৪ সালে কায়েদ-ই আজম ট্রফিতে এক ইনিংসে একাই ৪২৮ রানের বিশাল এক ইনিংস খেলেছিলেন আফতাব।করাচিতে সিন্ধ প্রদেশের হয়ে ইনিংসটি খেলেছিলেন বেলুচিস্তানের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে অধিনায়কত্বও করেন তিনি। তরুণ জাভেদ মিয়াঁদাদের সঙ্গে ১৭৪ রানের জুট গড়েছিলেন আফতাব। জাভেদ মিয়াঁদাদের ৮ম প্রথম শ্রেণির ম্যাচ ছিল সেটি।

আফতাবের ৪২৮ রানে ভর করে সিন্ধ প্রদেশ ওই ম্যাচে ৭ উইকেট হারিয়ে ৯৫১ রান করে বেলুচিস্তানের বিপক্ষে।

ক্যারিয়ারে এটাই আফতাবের সেরা ইনিংস। জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট খেলতে পেরেছেন মাত্র দুটি।

মাত্র ১৬ বছর বয়সে আফতাদের প্রথম শ্রেণির অভিষেক হয়। প্রথম ম্যাচেই তিনি জানিয়ে দেন, নিজের আগমণী বার্তা। অপরাজিত ৭৭ রান করার পাশাপাশি নেন ১২ উইকেট। ১৯৬৯ সালে যে পারফরম্যান্সের ওপর ভর করে হায়দরাবাদ ব্লুজের বিপক্ষে সহজ জয় পেয়ে যায় পিডব্লিউডি।

সে সময় পাকিস্তানের জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়াটা ছিল দুর্বোধ্য ব্যাপার। সে সময় সাকিব মাহমুদ, মাজিদ খান, জহির আব্বাস, আসিফ ইকবাল, মুস্তাক মোহাম্মদ এবং তাদের পরপরই জাভেদ মিয়াঁদাদদের মতো তারকারা খেলত দলটিতে।

১৯৬৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেকের পর তিনি দ্বিতীয় টেস্ট খেলার সুযোগ পান ১৯৭৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লাহোরের গাদ্দাফী স্টেডিয়ামে। ওই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬০ রান করে পাকিস্তানকে ড্র করতে সহায়তা করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

এক ইনিংসে ৪২৮ রান করা সেই ক্রিকেটার মারা গেছেন

আপডেট টাইম : ১০:৪৬:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ টেস্ট ক্রিকেটে এক ইনিংসে ৪০০’রও বেশি রান করে ইতিহাস গড়েছেন মাত্র দুজন তারকা। দুজনই পাকিস্তানি- হানিফ মোহাম্মদ এবং আফতাব বালুচ।

যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ব্রায়ান লারার মতো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নয়। তাদের রেকর্ডটি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে।

সেই দুই পাকিস্তানি ক্রিকেটারের একজন আফতাব বালুচ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন পরকালীন জগতে। ইন্নালিল্লাহে ওয়াইন্না ইলাইহে রাজেউন। তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) বরাতে আফতাব বালুচের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ইএসপিএন ক্রিকইনফো।

এক শোকবার্তায় পিসিবির চেয়ারম্যান রমিজ রাজা বলেছেন, ‘আফতাব বালুচের মৃত্যুর খবর শুনে আমি গভীরভাবে শোকাহত। আমি যখন ক্রিকেটে বেড়ে উঠছিলাম, তখন আফতাব বালুচ ছিলেন অনেক বেশি জনপ্রিয় ক্রিকেটার। শুধু একাই আমি তাকে দেখে বড় হইনি, তার শেষ বেলায় তার বিপক্ষে খেলেছিলামও।’

১৯৭৩-৭৪ সালে কায়েদ-ই আজম ট্রফিতে এক ইনিংসে একাই ৪২৮ রানের বিশাল এক ইনিংস খেলেছিলেন আফতাব।করাচিতে সিন্ধ প্রদেশের হয়ে ইনিংসটি খেলেছিলেন বেলুচিস্তানের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে অধিনায়কত্বও করেন তিনি। তরুণ জাভেদ মিয়াঁদাদের সঙ্গে ১৭৪ রানের জুট গড়েছিলেন আফতাব। জাভেদ মিয়াঁদাদের ৮ম প্রথম শ্রেণির ম্যাচ ছিল সেটি।

আফতাবের ৪২৮ রানে ভর করে সিন্ধ প্রদেশ ওই ম্যাচে ৭ উইকেট হারিয়ে ৯৫১ রান করে বেলুচিস্তানের বিপক্ষে।

ক্যারিয়ারে এটাই আফতাবের সেরা ইনিংস। জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট খেলতে পেরেছেন মাত্র দুটি।

মাত্র ১৬ বছর বয়সে আফতাদের প্রথম শ্রেণির অভিষেক হয়। প্রথম ম্যাচেই তিনি জানিয়ে দেন, নিজের আগমণী বার্তা। অপরাজিত ৭৭ রান করার পাশাপাশি নেন ১২ উইকেট। ১৯৬৯ সালে যে পারফরম্যান্সের ওপর ভর করে হায়দরাবাদ ব্লুজের বিপক্ষে সহজ জয় পেয়ে যায় পিডব্লিউডি।

সে সময় পাকিস্তানের জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়াটা ছিল দুর্বোধ্য ব্যাপার। সে সময় সাকিব মাহমুদ, মাজিদ খান, জহির আব্বাস, আসিফ ইকবাল, মুস্তাক মোহাম্মদ এবং তাদের পরপরই জাভেদ মিয়াঁদাদদের মতো তারকারা খেলত দলটিতে।

১৯৬৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেকের পর তিনি দ্বিতীয় টেস্ট খেলার সুযোগ পান ১৯৭৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লাহোরের গাদ্দাফী স্টেডিয়ামে। ওই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬০ রান করে পাকিস্তানকে ড্র করতে সহায়তা করেন।