হাওর বার্তা ডেস্কঃ সারিবদ্ধ মাল্টাগাছের বাগান। মাল্টা বাগানের সঙ্গে গমখেত, আলু, লাউ, পেঁয়াজ ও শিমসহ ১১ ধরনের ফসল রয়েছে। একই জমিতে ১১ ধরনের ফসল আবাদ করে এলাকাজুড়ে চমক সৃষ্টি করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষক আমিরুল ইসলাম।
রাণীশংকৈল উপজেলার বারঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম। দুবছর আগে নিজস্ব জমিতে করেছিলেন মাল্টা বাগান। বাগানের ফাকা অংশগুলোতে ফেলে না রেখে সেই জমিতে ১১ ধরনের ফসল চাষ করে লাভবান হয়েছেন তিনি। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।কৃষক আমিরুল ইসলাম বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আওতায় ৩ বছর আগে মাল্টা বাগান করেছিলাম। তিন বিঘা জমির মধ্যে আমার বাগানটি। বাগানে ফাঁকা জায়গাগুলোতে আমি গম, আলু, শিম, লাউ, পেঁয়াজ, মরিচসহ ১১টি ফসল আবাদ করেছি। আমি একসঙ্গে এতগুলো ফসল করতে পেরে অনেক লাভবান হয়েছি। বাগানটির পরিধি বাড়ানোর চিন্তা করেছি।
রাণীশংকৈল কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি কৃষক আমিরুল ইসলামকে মাল্টা বাগান করার পরামর্শ দেই। তিনি মাল্টা বাগান করার পর একসঙ্গে ১১টি সাথি ফসল করে লাভবান হয়েছেন। আমাদের কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে আমরা তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেছি।
রাণীশংকৈল উপজেলার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, লেবু জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ ও ব্যবস্থাপনার আওতাধীন আমরা কৃষক আমিরুল ইসলামকে মাল্টা বাগান করার জন্য ১২০টি চারা দিয়েছিলাম। যেহেতু ২ বছর ছাড়া ফল পাওয়া যায় না বা তারও বেশি সময় লাগে সেহেতু তিনি জমিটা ফেলে না রেখে সাথি ফসল আবাদ করেছেন।
একই জমিতে ১১টি ফসল আবাদ করেছেন। আমরা চেষ্টা করছি ১১ থেকে সেটি ১৫টি ফসলে রুপ দেওয়া যায় কি না। আমরা মনে করছি একদিকে যেমনিভাবে খাদ্য উৎপাদন বাড়বে অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর যে নির্দেশনা কোনো জমি খালি পরে থাকবে না সেটি বাস্তবায়ন হবে।