হাওর বার্তা ডেস্কঃ শুধুমাত্র ফার্মাসি পরিচালনার অনুমোদন নিয়ে বাড়িতে ক্লিনিক চালাচ্ছিলেন এক হাতুড়ে চিকিৎসক। তিনি একাধারে ডেন্টিস্ট, নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, গ্যাস্ট্রোলোজি, কিডনি ও গাইনি বিশেষজ্ঞ। এমনকি গরু ছাগলের চিকিৎসাও করেন তিনি।
এই খবরে সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের শাহবাজপুরে ১নং গেইট এলাকায় ‘ডে-নাইট’ নামের এক ফার্মাসিতে অভিযান পরিচালনা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সদস্যরা। অভিযান শেষে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে হাতুড়ে চিকিৎসক ফেরদৌস মিয়াকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত ফার্মাসিতে ওষুধের ব্যবসার আড়ালে ক্লিনিক খুলে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন পল্লী চিকিৎসক ফেরদৌস মিয়া। এই খবরে সোমবার বেলা ১১টার দিকে ওই ফার্মাসিতে অভিযান পরিচালনা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান। তাকে সহায়তা করেন সরাইলের স্বাস্থ্য পরিদর্শক গৌরপদ শাখা ও পুলিশের উপপরিদর্শক (এস আই) মোতালেব হোসেন।
অভিযানকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে ক্লিনিকের কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি ফার্মাসির মালিক ফেরদৌস মিয়া। এছাড়াও ওই ফার্মাসিতে পাওয়া গেছে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও স্যালাইন।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযুক্ত ফেরদৌস মিয়াকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৪৪ ধারায় ৩০ হাজার এবং ৫১ ধারায় আরও ৩০ হাজার টাকাসহ মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
সোমবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান বলেন, খবর পেয়ে আমরা অভিযান চালিয়েছি। জরিমানা প্রদানের পাশাপাশি ওই ফার্মাসির মালিক এই ধরনের অপরাধ আর করবেন না মর্মে অঙ্গীকার করেছেন। অনুমোদন না নিয়ে অবৈধভাবে ক্লিনিকের নামে প্রতারণা চলতে পারে না। জনস্বার্থে আমাদের এ ধরনের অভিযান চলবে।