হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে রাজধানীসহ সারাদেশে চলমান টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় প্রায় ছয়লাখ শিক্ষার্থীর টিকাদান কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রথম ডোজের ২ লাখ ৯০ হাজার ৫২৯ জন ও দ্বিতীয় ডোজের ২ লাখ ৯৫ হাজার ১৯৯ জন শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের প্রত্যেককে ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (২২ ডিসেম্বর) প্রথম ডোজের ১ লাখ ৮৩ হাজার ১৩৯ জন ও দ্বিতীয় ডোজের ৪ হাজার ৬৭০ জনকে টিকা দেওয়া হয়।
প্রথম ডোজের ১ লাখ ৮৩ হাজার ১৩৯ জনের মধ্যে ৮৪ হাজার ৫৮৯ জন পুরুষ ও ৯৮ হাজার ৫৫ জন ও দ্বিতীয় ডোজের ৪ হাজার ৬৭০ জনের মধ্যে ২ হাজার ৪৮০ জন পুরুষ ও ২ হাজার ১৯০ জন নারী শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়।
চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুর দিকে রাজধানীর ৮টি স্কুলের কেন্দ্রে টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হলেও পরবর্তীতে সারাদেশে শুরু হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুরুর দিকে টিকা কার্যক্রমে ব্যাপক গতিশীলতা থাকলেও রেজিস্ট্রেশন জটিলতার কারণে স্বাভাবিকভাবে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা সমস্যা দেখা দেয়। সারাদেশে ৩ কোটি শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার টার্গেট নেওয়া হলেও ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় লাখেরও কম সংখ্যক শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম ২২ ডিসেম্বর দুপুরে করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রমের কিছুটা ধীর গতিতে চলছে এ কথা সত্যি।
কারণ হিসেবে তিনি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনো নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম বিধায় টিকাদান কার্যক্রম কিছুটা ধীর গতিতে চলছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ক্লাস শুরু হলে টিকাদান কার্যক্রমের ও গতিশীলতা আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।