অর্থ পাঁচার মামলার খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়েছে, এ সংক্রান্ত নোটিশ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লন্ডনের নতুন ঠিকানায় জারি হয়েছে কিনা তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তা জেনে আগামী ৬ এপ্রিল আদালতকে প্রতিবেদন আকারে অবহিত করতে ঢাকার সিএমএমকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের ডিভিশণ বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। দুদক কৌসুলি খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ একেএম মনিরুজ্জামান কবির শুনানি করেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে তারেক রহমানের লন্ডনের ঠিকানায় নোটিশ পাঠানো হলেও সে বিষয়ে কোন জবাব পাওয়া যায়নি। গত ১৬ মার্চ লন্ডন হাইকমিশনার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামলার অভিযোগপত্রে তারেক রহমানের লন্ডনে অবস্থানের যে ঠিকানা উল্লেখ করা ছিল সেখানে ইতোপূর্বে নোটিশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে তিনি ওই ঠিকানায় অবস্থান করেন না।
হাইকমিশন অফিস তারেক রহমানের বর্তমান অবস্থানের ঠিকানা আদালতেও দাখিল করে। হাইকোর্ট নতুন ঠিকানায় নোটিশ পাঠানোর জন্য দূতাবাসকে নির্দেশ দেয়। এরপরই তারেক রহমানের নতুন ঠিকানায় নোটিশ পাঠানো হয়।
অর্থ পাঁচার মামলার অভিযোগ থেকে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেন। তবে ওই মামলার অপর আসামি গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছর কারাদণ্ড দেয় আদালত। খালাসের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। পরে হাইকোর্ট ওই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে তারেক রহমানকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন।