গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের একটি প্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য সকলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘অবাধ নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের’ দাবিতে আয়োজিত সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘বল এখন শাসক দলের কোটে। তারা সংঘাতের পথ ছেড়ে সংলাপের পথে সমস্যার সমাধান করবে বলে আশা করি। দেশের চরম সংকট উত্তরণে আমি আপনাদের (ইসলামী ঐক্যে জোট নেতাদের) এই সম্মেলন থেকে সম্মানিত আলেম সমাজকে ঐক্যবদ্ধ ও স্বোচ্চার হবার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাওলানা আবদুর রকিবের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরের সভাপতি নূর হোসেন কাশেমী, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আবদুল করিম খান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনালের (অব.) সৈয়দ মোহাম্মাদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, এনডিপির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, জমিয়েত ওলামায়ে ইসলামের সহ সভাপতি আবদুর রউফ ইউসূফী, ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফজলুল হক জালালাবাদী, মাওলানা সৈকত আলী, নেজামী ইসলাম পার্টির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আবদুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
দর্শক সারিতে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, যুব বিষষক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য হেলেন জেরিন খান, শাম্মী আখতার, ওলামাদলের সভাপতি হাফেজ আব্দুল মালেক প্রমুখ।
খালেদা জিয়া বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র নেই। জনগণের সরকার নেই। সুশাসন নেই। সমস্ত প্রতিষ্ঠান ভেঙে পড়েছে। সবখানে নৈরাজ্য। আইন-শৃঙ্খলার সীমাহীন অবনতি ঘটেছে। কারও কোনো নিরাপত্তা নেই। জাতীয় অর্থনীতি ছত্রখান হয়ে গেছে। শেয়ারবাজার ও ব্যাংকগুলো লুট হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকেও জনগণের অর্থ-সম্পদ নিরাপদ নয়। ডিজিটাল ডাকাতি করে সে অর্থ লুটে নিয়ে বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ রয়েছে সীমাহীন দুঃখ-দুর্দশায়। অন্যায়, অবিচার, জুলুম, নির্যাতন, হত্যা, নারীর সম্ভ্রম হরণ, দুর্নীতি, লুণ্ঠন অতীতের সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। শিক্ষা ব্যবস্থা বিপর্যস্ত।
তরুণরা বিপথগামী হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভিনদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসনে আমাদের জাতীয় সংষ্কৃতি বিপন্ন। আমাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় ক্ষমতাসীনদের কোনো উদ্যোগ নেই। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন ও বন্ধুহীন করে ফেলা হয়েছে। বন্ধুত্বের বদলে গোলামির পথ বেছে নিয়ে শাসকেরা তাদের গদি রক্ষায় ব্যস্ত।