ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম বলেছেন, বুধবার রাতে রাজধানীর বংশাল এলাকা থেকে অস্ত্রসহ যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা মুলত: এসব অস্ত্র ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর জন্য ব্যবহার করতে চেয়েছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা গোয়েন্দা পুলিশকে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গোয়েন্দা পুলিশ (দক্ষিণ) ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের দুটি দল বংশাল থানাধীন ইউসুফ রোডের ইউসুফ মার্কেটে অস্ত্র কেনা-বেচার সময় হাতেনাতে দবির উদ্দিন তুহিন, আব্দুল হামিদ ও ইফরানুল পিয়াস নামের তিনজনকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে ৬টি বিদেশী অস্ত্র, ১০টি ম্যাগজিন ও ৩০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্র বেচা-কেনার সঙ্গে জড়িত। পাশের দেশ ভারত থেকে চোরাইপথে এসব অস্ত্র চাঁপাইনবাগঞ্জ দিয়ে ঢাকায় নিয়ে আসে। পিয়াস অস্ত্র কিনতে কুমিল্লা থেকে বুধবার ঢাকা আসে। ৬০ হাজার টাকা করে একেকটি অস্ত্র কিনতে চেয়েছিল সে। এসব অস্ত্র নিয়ে গিয়ে কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করতে চেয়েছিলো। একেকটি অস্ত্র ৭৫ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রির পরিকল্পনা ছিলো তার। সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চাহিদা থাকায় এসব কিনতে এসেছিল। নির্বাচনে এসব অস্ত্র দিয়ে প্রভাব খাটানো হতো বলে পিয়াস জানিয়েছে।’
মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীতে এখন পর্যন্ত অবৈধ অস্ত্রের গুলিতে যেসব ঘটনা ঘটেছে, ওইসব ঘটনার অনুসন্ধানে জানা গেছে, ৯০ শতাংশই ঘটেছে এসব অস্ত্র ও গুলির দ্বারা। আর ঘটনা ঘটার পর এসব অস্ত্র পুণরায় মালিকের কাছে চলে গেছে।
এর আগে কতগুলো অস্ত্র এনেছে, কার কাছে কত টাকায় সরবরাহ করেছে তা জানার জন্য রিমান্ডের প্রয়োজন রয়েছে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত বেরিয়ে আসবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মুলত দুটি শ্রেণির লোকের কাছে এসব অস্ত্র ও গুলি সরবরাহ করা হতো। এর মধ্যে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও অপরাধী চক্র এবং রাজনৈতিক ব্যক্তি রয়েছে।’