বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৩৮ কোটি ২০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ২০৩০ সালের মধ্যে এ সংখ্যা ৫০ কোটি ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিস সম্পর্কে এখনই সচেতনতা না বাড়ালে পুরো বিশ্বে এক সময় এটি মহামারী আকারে দেখা দিতে পারে।
অনেকেই মনে করেন, মিষ্টি বেশি খেলেই ডায়াবেটিস হয়। শুধু মিষ্টি নয়, ডায়াবেটিসের অন্যতম কারণ হচ্ছে শারীরিক ও মানসিক চাপ এবং জিনগত কারণ। জিনগত কারণে কারো ডায়াবেটিস হয় সেক্ষেত্রে তেমন কিছু করার থাকে না। তবে ডায়াবেটিস প্রতিরোধের চেষ্টাতে ক্ষতিকর কিছু নেই। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ বা নিয়ন্ত্রণে আপনাকে প্রতিদিন অনেক ওষুধ খাওয়ার দরকার নেই। দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে সামান্য পরিবর্তনই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারেন। এখানে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণে কিছু টিপস দেয়া হলো:
ওষুধের চেয়ে ফলমূল এবং শাকসবজি খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। তিতা যাদের পছন্দ, তারা খালি পেটে করলার রস পান করতে পারেন। অথবা করলা চিপসের মতো কেটে ভেজে খেতে পারেন। এটি আপনার স্বাদে পরিবর্তন আনবে এবং স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। এক টেবিল চা চামচের এক চতুর্থাংশ মেথি পুরো রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে দাঁত ব্রাশ করার পর পরই ভিজানো মেথি পানির সঙ্গে খেয়ে নিন।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে জাম কার্যকর ভূমিকা রাখে। এটি আমাদের অগ্ন্যাশয়ে প্রভাব ফেলে। জামের বীজ ভালোভাবে শুকিয়ে গুঁড়া করে নিন। এরপর পানির সঙ্গে মিশিয়ে দিনে দুইবার খান।
পেয়ারা একটি উৎকৃষ্ট ফল। সারা বছর ধরেই ফলটি পাওয়া যায় এবং দামেও স্বস্তা। ফলটিতে প্রচুর ভিটামিন-সি এবং উচ্চ পরিমাণে আঁশ রয়েছে। ডায়াবেটিস তাড়াতে এই ফলের জুড়ি নেই। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, পেয়ারার খোসা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।তাই খাওয়ার আগে পেয়ারার খোসা ছাড়িয়ে নিন। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে আমলকীর জুস খেতে পারেন।
চিনি ছাড়া চা বা কফি পান করতে না পারলে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।গবেষণায় বলা হয়েছে, চিনি ছাড়া কালো কফি পান টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।রক্তে শর্করা এবং ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সবুজ চা কার্যকরী ভূমিকা রাখে। আর প্রতিদিন হাঁটা এবং শারীরিক ব্যায়াম অবশ্য চালিয়ে যাবেন।