তনু হত্যার বিচারের দাবিতে উত্তাল সারাদেশ। কাজের কাজ কিছু হবে কিনা জানি না, নাকি আগের অনেক ঘটনার মতো ৪৮ ঘণ্টা ৭২ ঘণ্টার প্রতিশ্রুতিতেই আটকে যাবে কিনা, শংকা হচ্ছে! একটি বিষয় আমার মাথায় কিছুতেই ঢুকছে না, খুন হয়েছে স্বাভাবিক নিয়মে বিচার হবে, এজন্যেই তো বিচার ব্যবস্থা!!
কিন্তু স্বাভাবিক বিচারের দাবিতে উত্তাল না হলে প্রশাসন টাল মাটাল করা আর আন্দোলন নাহলে এই দেশে কিচ্ছু হয় না।সেই শিশু কাল থেকে হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে আন্দোলন দেখে আসছি। শারমিন রিমা হত্যা নিয়ে বড়দের আলাপ করতে শুনতাম, হত্যাকারীর প্রভাব, প্রতিপত্তির কথা! বিচার হবে না, এমন আশংকা তখনও ছিল। আজো সেই আশংকার দিন ফুরোয়নি।
বরং হত্যাকারী, ধর্ষকদের হাত আরও লম্বা হয়েছে, এখন তাদের টিকির নাগালও পাওয়া যায় না!! সাংবাদিক দম্পতি আমাদের সহকর্মী সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের পর গুনে গুনে ৪ বছর পার হয়েছে। আজও কূল-কিনারা হয়নি।এভাবেই হয়তো তনু হত্যাকাণ্ড সময়ের স্রোতে, নতুন ঘটনার আড়ালে হারিয়ে যাবে…
প্রতি বছর নিয়ম করে একদিন মৃত্যুদিবস পালন করবো, বিচার চাইব, ঘৃণা জানাবো! কে জানে আমাদের মাঝ থেকেই কেও কিংবা আমি নিজেই তনু হয়ে যাই কিনা! ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ডকে যায়েজ করতে চরিত্র নিয়ে কথা তুলবে অনেকে, রাষ্ট্র জানাবে প্রত্যককে নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের না। মোল্লাদের সাথে প্রগতিশীলরাও সুর মিলিয়ে শালিন চলাফেরার তরিকা বাতলাবে! ঠিক এমন একটি দেশের জন্যেই বোধকরি আমাদের পূর্বপুরুষরা লড়াই করে দেশটা স্বাধীন করেছিল চুয়াল্লিশ বছর আগে। সূত্র: ফেসবুক স্ট্যাটাস