ঢাকা ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দেশ ও জাতি গঠনে “দৈনিক আমার দেশ” পত্রিকার কাছে নেত্রকোণার জনগণের প্রত্যাশা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত ভুল অস্ত্রোপচার, যা ঘটেছিল প্রিয়াঙ্কা সঙ্গে সচিবালয়ে উপদেষ্টা হাসান আরিফের তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন সাবেক সচিব ইসমাইল রিমান্ডে অবশেষে বিল পাস করে ‘শাটডাউন’ এড়াল যুক্তরাষ্ট্র চাঁদাবাজদের ধরতে অভিযান শুরু হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার নির্বাচনের পর নিজের নিয়মিত কাজে ফিরে যাবেন ড. ইউনূস ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আহত ১৬ জুলাই আন্দোলন বিগত বছরগুলোর অনিয়মের সমষ্টি: ফারুকী তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ‘সড়কে নৈরাজ্যের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রভাব জড়িত

যুবক হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:১৯:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর ২০২১
  • ১৬১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাগের হাটের রামপালে আলমগীর হোসেন (২২) নামের এক যুবককে হত্যার দায়ে স্বামী-স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্তদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়

মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে বাগেরহাটের অতিরিক্ত দায়রা ও জজ-২য় আদালতের বিচারক তপন রায় এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত স্বামী আদালতে উপস্থিত থাকলেও তার স্ত্রী পলাতক রয়েছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত দম্পতিরা হলেন, ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার জগিহুদা গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো. সিরাজুল ইসলাম মিয়া (২৮) ও তার স্ত্রী মোসা. সাবিনা বেগম(২৪)।

নিহত আলমগীর হোসেন জেলার রামপাল উপজেলার মালিডাঙ্গা গ্রামের মোশারেফ হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাতে আলমগীর হোসেনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে করে সিরাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মোসা. সাবিনা বেগম। পরবর্তীতে আলমগীরের মরদেহ পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলে দেন তারা। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোশারেফ হোসেন বাদী হয়ে রামপাল থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত শেষে পরের বছরের ২৪ মার্চ রামপাল থানার এস আই ইমারত শেখ হত্যা মামলায় সিরাজুল ইসলাম মিয়া ও তার স্ত্রী মোসা. সাবিনা বেগমকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। বিচারিক আদালত মামলায় ১১ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে হত্যা মামলায় স্বামী ও স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

আদালতে দেওয়া দণ্ডপ্রাপ্ত সিরাজুল ইসলামের স্বীকারোক্তি থেকে জানা যায়, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার পারগোবিন্দপুর গ্রামের গনি শেখের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন সিরাজুল ইসলাম মিয়া ও তার স্ত্রী মোসা. সাবিনা বেগম। সিরাজুলের অনুপস্থিতে তাদের পূর্ব পরিচিত আলমগীর তার স্ত্রী সাবিনাকে ধর্ষণ করেন। পরে সাবিনা বেগম স্বামী সিরাজুলকে বিষয়টি জানান। পরে ২ জনে কৌশলে আলমগীরকে ডেকে এনে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রী দুজনই গ্রেপ্তার হলে উচ্চ আদালতের জামিনে বের হন সাবিনা বেগম। তারপর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট সীতারানী দেবনাথ ও এপিপি শরৎচন্দ্র মজুমদার এবং আসামিপক্ষে মিহির কুমার দেবনাথ মামলাটি পরিচালনা করেন।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

দেশ ও জাতি গঠনে “দৈনিক আমার দেশ” পত্রিকার কাছে নেত্রকোণার জনগণের প্রত্যাশা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

যুবক হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন

আপডেট টাইম : ০৭:১৯:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাগের হাটের রামপালে আলমগীর হোসেন (২২) নামের এক যুবককে হত্যার দায়ে স্বামী-স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্তদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়

মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে বাগেরহাটের অতিরিক্ত দায়রা ও জজ-২য় আদালতের বিচারক তপন রায় এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত স্বামী আদালতে উপস্থিত থাকলেও তার স্ত্রী পলাতক রয়েছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত দম্পতিরা হলেন, ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার জগিহুদা গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো. সিরাজুল ইসলাম মিয়া (২৮) ও তার স্ত্রী মোসা. সাবিনা বেগম(২৪)।

নিহত আলমগীর হোসেন জেলার রামপাল উপজেলার মালিডাঙ্গা গ্রামের মোশারেফ হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাতে আলমগীর হোসেনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে করে সিরাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মোসা. সাবিনা বেগম। পরবর্তীতে আলমগীরের মরদেহ পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলে দেন তারা। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোশারেফ হোসেন বাদী হয়ে রামপাল থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত শেষে পরের বছরের ২৪ মার্চ রামপাল থানার এস আই ইমারত শেখ হত্যা মামলায় সিরাজুল ইসলাম মিয়া ও তার স্ত্রী মোসা. সাবিনা বেগমকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। বিচারিক আদালত মামলায় ১১ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে হত্যা মামলায় স্বামী ও স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

আদালতে দেওয়া দণ্ডপ্রাপ্ত সিরাজুল ইসলামের স্বীকারোক্তি থেকে জানা যায়, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার পারগোবিন্দপুর গ্রামের গনি শেখের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন সিরাজুল ইসলাম মিয়া ও তার স্ত্রী মোসা. সাবিনা বেগম। সিরাজুলের অনুপস্থিতে তাদের পূর্ব পরিচিত আলমগীর তার স্ত্রী সাবিনাকে ধর্ষণ করেন। পরে সাবিনা বেগম স্বামী সিরাজুলকে বিষয়টি জানান। পরে ২ জনে কৌশলে আলমগীরকে ডেকে এনে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রী দুজনই গ্রেপ্তার হলে উচ্চ আদালতের জামিনে বের হন সাবিনা বেগম। তারপর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট সীতারানী দেবনাথ ও এপিপি শরৎচন্দ্র মজুমদার এবং আসামিপক্ষে মিহির কুমার দেবনাথ মামলাটি পরিচালনা করেন।