হাওর বার্তা ডেস্কঃ নাটোর লালপুরের চাঞ্চল্যকর মোখলেছুর রহমান হত্যাকান্ডের আরো ১ আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫। মঙ্গলবার গভীর রাত ৪ টার দিকে লালপুর থানাধীন সাদীপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে জহুরুল ইসলাম (৫২) নামের আরোও ১ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। সে মৃত লালপুর থানাধীন দিয়ারপাড়া এলাকার মৃত ঝড়–র ছেলে।
নাটোর র্যাব ক্যাম্প সিপিসি-২ র্যাব-৫ এর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্পের একটি অপারেশন দল মঙ্গলবার গভীর রাত ৪ টার দিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জেলার লালপুর থানাধীন সাদীপুর গ্রামে একটি অভিযান পরিচালনা করে, নাটোর জেলার লালপুর থানার মামলা নং-৪২, তারিখ ২৯/১০/২০২১, ধারা- ১৪৩/৩৪১/৪৪৭/৪৪৮/৩২৫/৩২৬/৩০২/১১৪ পেনাল কোড, জি আর নং- ৪৯০/২১ (লালপুর) এর এজাহার নামীয় পলাতক আসামী ১। মোঃ জহুরুল ইসলাম (৫২), পিতা- মৃত ঝড়–, সাং- দিয়ারপাড়া, থানা- লালপুর জেলা- নাটোরকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার ঈশ^রপাড়া গ্রামে খাস জলমহল নিয়ে স্থানীয় বাদশা গ্রুপ ও মোতালেব গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল এবং উক্ত জলমহল নিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। উক্ত জলমহল দখল ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের লক্ষে গত ২৯ শে অক্টোবর ভোর আনুমানিক সোয়া ৫টার দিকে বাদশার নেতৃত্বে ৫০/৫৫ জন দেশীয় অস্ত্র হাসুয়া, লাঠি, চাইনিজ কুড়ালসহ বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মোতালেব গ্রুপের মোখলেছুর রহমান (৪৭) ও সাকাত (৬০) এর উপর অতর্কিত হামলা করে।
ঘটনাস্থলে মোখলেছুর রহমান (৪৭) ও সাকাত (৬০)’কে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত গুরুত্বর জখম করে বাদশা গ্রুপের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে গুরুতর আহত মোখলেছুর রহমান ও সাকাতকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত ২ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে গুরুতর আহত অবস্থায় মোখলেছুর রহমান মৃত্যুবরণ করেন ।
উপরোক্ত ঘটনায় আসামীকে নাটোর জেলার লালপুর থানায় হস্থান্তর করা হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।