দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের মাত্র দুদিন আগে ৪১টি ইউপিতে ভোট হচ্ছে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা, হাইকোর্টের মামলা চলমানসহ নানা সমস্যার কারণে ঘোষিত ৬৮৪ ইউপি থেকে ৪১টি ইউপি বাদ রাখার এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে কমিশনকে।
সোমবার রাতে ইসি থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ইসির সহকারী সচিব মো. আশফাকুর রহমান বলেন, বিভিন্ন জটিলতার কারণে দ্বিতীয় ধাপে তফসিল ঘোষণা করার পরও ৪১টি ইউপিতে আগামী ৩১ মার্চ ভোটগ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ইউপিগুলোর কিছু কিছু সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা, হাইকোর্টে মামলা চলমান, মেয়াদপূর্ণ না হওয়া, ভোটার তালিকা পুনঃবিন্যাস না হওয়ার কারণে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
এছাড়া ছিটমহল অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় ভোটার তালিকা পুনঃবিন্যাস সম্পন্ন না হওয়ার কারণে ভোট স্থগিত করা হলো। যে ৪১টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে সেগুলো হলো- গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার ঘাঘর, ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের বাচোর, হোসেনগাঁও ও নন্দুয়ার, চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুর, শংকরচন্দ্র ও তিতুদহ, নীলফামারী সদরের খোকশাবাড়ী ও টুপামারী, ভোলার চরফ্যাশনের আমিনাবাদ ও নুরাবাদ, মাগুরার সদরের কুচিয়ামোড়া, পঞ্চগড়ের বোদার ময়দানদিঘী, কাজলদিঘী, কালিয়াগঞ্জ, মারেয়া বামনহাট ও বড়শশী, কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর ভুরুঙ্গামারী, পাথরডুবি ও শিলখুড়ি, লালমনিরহাটের পাটগ্রামের শ্রীরামপুর, উড়িমারী, পাটগ্রাম, কুচলীবাড়ী, জগতবেড়, জোংড়া ও বাউরা, হাতীবান্ধার গোতামারী, চাঁদপুর সদরের লক্ষীপুর মডেল, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার আলফাডাঙ্গা সদর, বুড়াইচ ও গোপালপুর, ফেনীর ফুলগাজীর আমজাদহাট, দরবারপুর, ফুলগাজী, জিএম হাট, মুন্সিরহাট ও আনন্দপুর, পরশুরামের মির্জানগর, চিথলীয় ও বক্সমাহমুদ এবং গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৬৮৪ ইউপির তফসিল ঘোষণা করে ইসি। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল ২ মার্চ, মনোনয়পত্র যাচাই-বাছাই হয়েছে ৫ ও ৬ মার্চ, প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল ১৩ মার্চ এবং ভোটগ্রহণ হবে ৩১ মার্চ।
ইসির ঘোষণা অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে ৩১ মার্চ, তৃতীয় ধাপে ২৩ এপ্রিল, চতুর্থ ধাপে ৭ মে, পঞ্চম ধাপে ২৮ মে ও ষষ্ঠ ধাপে ৪ জুন ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।
২২ মার্চ প্রথম ধাপে ৭১২ ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে।