রফিকুল ইসলামঃ দু’বার নির্বাচিত সর্বজনগ্রহণযোগ্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পিতৃতুল্য বড়ো ভাই কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা সদরের ইউনিয়ন পরিষদের সুনামধন্য প্রয়াত প্রাক্তন চেয়ারম্যান মো. আবদুল গণি’র ১৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
সে উপলক্ষে আজ (২৭ অক্টোবর) বুধবার অনাড়ম্বর ধর্মীয় গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে বলে মরহুমের ছোট ছেলে কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত সমিতির সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল আলম মানিক জানিয়েছেন।
বিগত ১৯৬৪ সাল থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন মিঠামইন থানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। সে সময় গ্রামীণ অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়নসহ গ্রাম্য সালিসি বিচারব্যবস্থাকে একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছিলেন তিনি।
প্রয়াত মো. আবদুল গণি ছিলেন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব ও মিঠামইন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি, রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষক ও বিশৃঙ্খলমুক্ত সুস্থ সমাজ বিনির্মাণে বিমূর্ত প্রতীক, ভালোলাগা-ভালোবাসার সদাগর। সৌখিন, দীপ্তিময় আধুনিকচেনা ও মানবসত্তার অধিকারী এ মহৎ মানুষটি বিপুল সমাদৃত ছিলেন গণি চেয়ারম্যান সা’ব বেনিয়ায়।
পরিবারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও তার পারিবারের সদস্যসহ সকল কবরবাসীর শান্তি ও সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রয়াত চেয়ারম্যান মো. আবদুল গণি’র পাঁচ ভাই ও চার বোনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মো. আবদুল হক ও মিঠামইন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আছিয়া আলম জীবিত রয়েছেন। উঁনাদের জন্যও সুস্থতা ও দীর্ঘ নেক হায়াত কামনায় দোয়ার আরজ করা হয়েছে।
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
সহযোগী সম্পাদক, আজকের সূর্যোদয়, ঢাকা।