হাওর বার্তা ডেস্কঃ বর্তমানে প্রায় অনেক নারীই থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগে থাকেন। এই সমস্যা যে কেবল নারীদেরই হয় তা কিন্তু নয়। পুরুষরাও রয়েছে এই তালিকায়। তবে এই রোগে নারীদের আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। মূলত হরমোনের তারতম্যের কারণেই থাইরয়েডের সমস্যা দেখা যায়।
গলার কাছে একটি ছোট্ট গ্ল্যান্ডের নাম থাইরয়েড। যখন এই গ্ল্যান্ড খুব বেশি পরিমাণে কাজ করতে শুরু করে, কিংবা প্রয়োজনের তুলনায় কম কাজ করে, তখনই এই রোগ দেখা দেয়। হরমোনের তারতম্য তখন খাওয়াদাওয়ার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।
এই সমস্যা থাকলে কিছু কিছু খাবারা এড়িয়ে চলা জরুরি। নইলে ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক থাইরয়েড রোগীদের কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে-
প্যাকেটের খাবার
যে খাবার বাজারে তৈরি প্যাকেটবন্দি তাতে বাড়তি লবণ, চিনি এবং তেল থাকবেই। তাই এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রসেস করা খাবারও খাবেন না।
সয়াবিন বা সয়াবিন জাত সব খাবার
বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, সয়ার খাবার খেলে থাইরয়েডের ওষুধ ঠিক মতো কাজ না-ও করতে পারে। তাই সয়াবিন, সয়ার দুধ, টফুর মতো খাবার মেপে খাওয়াই ভালো।
বাঁধাকপি-ফুলকপি
কপির মতো যেকোনো খাবারেও সমস্যা হতে পারে থাইরয়েডের ওষুধে। অনেকেই ওজন ঝরাতে ফুলকপি বা কেল পাতার মতো শাক-সবজি রাখেন ডায়েটে। কিন্তু থাইরয়েড থাকলে এগুলো মেপে খাওয়া বিশেষ প্রয়োজন।
কফি
ক্যাফেইন এমনিতেই শরীরের নানা রকম ক্ষতি করে। থাইরয়েড থাকলেও অত্যধিক ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় এড়িয়ে যেতে হবে। তবে একদম ছেড়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। সকালের দিকে খেতে পারেন। বেলা বাড়ার পর আর না খাওয়াই ভালো।
মিষ্টি
যেকোনো খাবার যাতে চিনি বা বাড়তি মিষ্টি দেওয়া হয়েছে, তা ডায়েট থেকে বাদ দিন। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই চিনি এড়িয়ে চলাই ভালো। চিনির বদলে গুড় বা মধু কিছু রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন।
দুগ্ধজাত খাবার
এখন বেশির ভাগ চিকিৎসকই মনে করেন, দুগ্ধজাত খাবার শরীরে হরমোনের তারতম্য আরো বাড়িয়ে দেয়। তাই দুধ, মাখন, চিজের মতো খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। তবে দই হজমের পক্ষে খুবই উপকারী। দই খাওয়া যাবে কি না, তা এক বার নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নিন।