কাল হো না হো’ ছবিতে মরতে চাননি শাহরুখ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাজিগর’ দিয়ে শুরু। এরপর ‘ডর’ থেকে ‘দেবদাস’ অনেক ছবিতে শাহরুখ খানকে মরতে হয়েছে। কিন্তু যে ছবিতে তিনি একেবারেই মরতে চাননি, তা হলো ক্যারিয়ারের অন্যতম ছবি ‘কাল হো না হো’।

করণ জোহরের গল্প ও প্রযোজনায় ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন নিখিল আদভানি। ত্রিকোণ প্রেমের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল গল্প। শাহরুখ ছাড়াও অভিনয় করেছিলেন সাইফ আলী খান, প্রীতি জিনতা ও জয়া বচ্চন।

ছবিতে শাহরুখের চরিত্রের নাম ছিল আমান মাথুর। সে ভালোবাসত নয়নাকে। নয়না ছিলেন প্রীতি ও সাইফ ছিলেন রোহিত। এই তিনটি চরিত্রের মধ্যেই ছিল ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্ক। শেষে শাহরুখ অর্থাৎ আমানকে মরে যেতে হয়। কারণ সে শুরু থেকেই অসুস্থ ছিল।

পরিচালক নিখিল জানিয়েছিলেন, “১৭ বছর আগে ছবি মুক্তি পেয়েছিল। কিন্তু মরে যাওয়ার বিষয়টা একেবারেই পছন্দ ছিল না শাহরুখের। ‘দেবদাস’-এর সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তিনি। বারবার বলতেন, এই ছবিতে আমার মৃত্যু অত্যন্ত অপ্রাসঙ্গিক। এতে চরিত্রটা কোনো সম্মান পাচ্ছে না।”

ছবিটির শুটিং চলাকালে শাহরুখ ‘দেবদাস’-এরও শুটিং করছিলেন। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে ছিল এর চিত্রনাট্য। যারা পড়েছেন, তারা জানেন গল্পের শেষে দেবদাসের মৃত্যু হয়। ফলত সেই গল্প নায়কের মৃত্যুর প্রাসঙ্গিকতার সঙ্গে ‘কাল হো না হো’-র নায়কের মৃত্যুর প্রাসঙ্গিকতার তুলনা টেনে ছিলেন শাহরুখ। বলছিলেন, ‘দেবদাস’-এ তার মৃত্যুর দৃশ্যটি অনেক বেশি ভারি ছিল।

যদিও অধিকাংশ দর্শক মনে করেন ‘দেবদাস’-এর চেয়েও শাহরুখের ‘কাল হো না হো’-র ডেথ সিন মারাত্মক ছিল। তারা তো প্রিয় নায়ককে অন-স্ক্রিন মরতে দেখে কেঁদেও ফেলেছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর