রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আবহাওয়াকে নির্মল ও বিশ্বকে বাসযোগ্য রাখতে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে পরিবেশবান্ধব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার আহবান জানিয়েছেন।
বিশ্ব আবহাওয়া দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার প্রদত্ত বাণীতে তিনি এ আহবান জানান।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস ২০১৬’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, জীবন, প্রকৃতি ও পরিবেশের ওপর জলবায়ুর প্রভাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বব্যাপী জলবায়ুর পরিবর্তন এবং এর প্রভাব আজ সুস্পষ্ট। মানবসভ্যতার অস্তিত্ব রক্ষায় জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এসব উদ্যোগ ও কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত হচ্ছেন।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। পরিবেশের উন্নয়নসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় তাঁর অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি জাতিসংঘ ‘চ্যাম্পিয়নস্ অব দ্য আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
আবদুল হামিদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব হ্রাসে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ, গবেষণা এবং তথ্য-উপাত্ত বিশ্বের প্রতিটি দেশে দ্রুত আদান-প্রদান জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা এ লক্ষ্যে প্রতিটি দেশের জাতীয় আবহাওয়া সংস্থাকে প্রতিনিয়ত সহযোগিতা প্রদান করে আসছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আরো সময়োপযোগী ও সঠিক পূর্বাভাস প্রদানে সক্ষম হবে, যা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি কমানোর পাশাপাশি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এ বছরের বিশ্ব আবহাওয়া দিবসের প্রতিপাদ্য ‘অধিকতর উষ্ণ, শুষ্ক, সিক্ত : আগামীর মোকাবেলা’ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সবাইকে সচেষ্ট করবে বলে আমি মনে করি।’
তিনি বলেন, ‘আবহাওয়াকে নির্মল ও বিশ্বকে বাসযোগ্য রাখতে সকলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে পরিবেশবান্ধব কর্মকা- পরিচালনা করবেন, বিশ্ব আবহাওয়া দিবসে এ প্রত্যাশা করি।’