হাওর বার্তা ডেস্কঃ নানা পর্যায়ের নির্বাচনে প্রার্থিতা চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন ইমেজের পাশাপাশি জনপ্রিয়তা, যোগ্যতা ও জয়লাভের সম্ভাবনার চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে। সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো অনিয়ম ও অপকর্মের অভিযোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে করোনাকালে যাদের বিরুদ্ধে ত্রাণ চুরির অভিযোগ রয়েছে তাদের কোনোভাবেই মনোনয়ন দেবে আওয়ামী লীগ। শুক্রবার আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের মুলতবি সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবনে আবার আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা বসবে।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে মুলতবি সভা শুক্রবার বিকাল ৪টায় শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত চলে। এতে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। এ সময় মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে আমির হোসেন আমু, শেখ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, ওবায়দুল কাদের, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্লাহ, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, রশিদুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্র জানায়, প্রার্থিতা চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত হয়েছে- বিদ্রোহী প্রার্থীরা এমনকি বর্তমান চেয়ারম্যান হলেও অথবা জনপ্রিয়তা থাকলেও কোনো অবস্থায় দলীয় মনোনয়ন পাবেন না। আর প্রার্থিতা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত ছাড়াও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও দলীয় জরিপে প্রাপ্ত তথ্যও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুক্রবারের সভায় দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুটি বিভাগের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সভার প্রথম দিন সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের পাশাপাশি দুটি উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচন, ১০টি পৌরসভা এবং দুটি ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছিল। একই সঙ্গে ওই দিন দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দলীয় প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেছিল আওয়ামী লীগ।
আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৮টি ইউনিয়ন পরিষদের ভোটগ্রহণের তারিখ রেখে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এসব ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে ৪ হাজার ৪৫৮ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছিলেন। মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকের মাধ্যমে বিভাগওয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের প্রার্থী চূড়ান্ত করে একসঙ্গে ঘোষণা করছে ক্ষমতাসীন দলটি।