হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর আসনের নির্বাচন ও ভবানীপুর আসনের উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হবে আজ রবিবার (৩ অক্টোবর)। তবে পশ্চিমবঙ্গসহ সারা ভারতের নজর থাকছে ভবানীপুর আসনে। এই আসনে লড়ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এই নির্বাচনকে তার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ধরে রাখার লড়াই হিসেবে দেখা হচ্ছে।
রাজনৈতিক মহলের বিভিন্ন অংশের ধারণা অনায়াসেই এই নির্বাচনে জিতছেন মমতা ব্যানার্জি। আর এটা হলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে থাকছেন তিনিই। তবে আশা ছাড়ছে না বিরোধী দল বিজেপিও। দলটির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তার দলের এজেন্টদের ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বুথ ছাড়তে নিষেধ করেছেন।
শুক্রবার দলের এক সভায় তিনি বলেন, ৫০ হাজার ভোটে পিছিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত বুথে থাকতে হবে। যদিও আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, ভবানীপুরে গত বিধানসভা নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জিতেছে তৃণমূল। তার ওপর উপনির্বাচনে আবার প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নিজেই। ভোট পরার হারও সন্তোষজনক নয়। তাই জেতার আশা নয়, বরং কত ভোটের ব্যবধানে পরাজয় হচ্ছে সে অঙ্কই কষছে বিজেপি। আজ রবিবার ভবানীপুরের সঙ্গে নির্বাচনের ফল ঘোষণা হতে চলা শামসেরগঞ্জ কিংবা জঙ্গিপুর নিয়েও বিজেপি আশাবাদী নয়। কারণ মুর্শিদাবাদে না আছে সংগঠন, না ছিল হাওয়া। তাই ফল যে ৩-০ হতে চলেছে তার জন্য অন্তত মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছে বিজেপি।
আর মমতার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল প্রচারণায় নিজেকে লড়াকু হিসেবে তুলে ধরলেও ফল ঘোষণার আগের দিন একেবারেই চুপ। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেন, আমি ফল নিয়ে ভাবছি না। যা হওয়ার হয়ে গেছে। এখন অন্য কাজে ব্যস্ত রয়েছি। প্রিয়াঙ্কা অন্য কাজে ব্যস্ত থাকলেও বিজেপি শিবিরের একাংশ হিসাব কষছেন পরাজয়ের ব্যবধান নিয়ে। রাজ্য নেতাদের প্রায় সকলেই মনে করছেন বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় উপনির্বাচনে জয়ের ব্যবধান বাড়বে তৃণমূলের। মমতা জিততে পারেন ৩০ থেকে ৪০ হাজার ভোটের ব্যবধানে।
বিজেপির এক শীর্ষ নেতার কথায়, ভবানীপুর এলাকায় একটা বড় অংশের মুসলিম ভোটার রয়েছেন। তাদের ভোট ইভিএম বন্দি হলেও হিন্দু ভোটকে সেভাবে একত্রিত করা যায়নি। ফলে তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান বাড়তে পারে। শোভনদেব জিতেছিলেন ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটে। এবার মমতা তা টপকে যেতে পারেন। তৃণমূলও আশাবাদী যে মমতা বড় ব্যবধানে জিতবেন।
এদিকে ভবানীপুরে উপনির্বাচনের ভোট গণনা কেন্দ্রের বাইরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। শনিবার কমিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভবানীপুর আসনে ভোট গণনার সময় যাতে কোনো রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে আগে থেকে পদক্ষেপ নিচ্ছে কলকাতা পুলিশও। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া ভোট শান্তিপূর্ণ ছিল। বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ করা হয়। যদিও সেসব অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।