নতুন নিয়মে এপ্রিল থেকে বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদরাসায় শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে। পুরনো বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সনদধারীদের মেধার ভিত্তিতে ও অন্যদের নতুন নিয়মে নিয়োগ দেয়া হবে।
রোববার সচিবালয়ে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনায় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ও টেলিটকের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
গত ১১ নভেম্বর এক পরিপত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রেখেছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এতদিন দেশের ৩৬ হাজার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিচালনা পর্ষদের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হতো। এখন সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) আদলে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।
নতুন পদ্ধতিতে শিক্ষক নিয়োগে সব কাজ শেষ পর্যায়ে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উপযুক্ত, দক্ষ
ও যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার লক্ষ্যেই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। অনলাইনে শিক্ষক নিয়োগ দিলে স্বচ্ছতা থাকে, ত্রুটি থাকার সুযোগ নেই। যোগ্য প্রার্থী বাছাই করে মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।
নাহিদ বলেন, আগে পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষকদের সনদ দেয়া হত। ম্যানেজিং কমিটি সেই সনদ দেখে নিয়োগ দিত। এ ধরনের সনদপ্রাপ্ত অনেক শিক্ষক এখনো রয়ে গেছেন। এদের মধ্য থেকে মেধারভিত্তিতে বাছাই করে প্রাথমিক নিয়োগ দেয়া হবে।
তিনি বলেন, নতুন নিয়ম অনুযায়ী তিন-চার মাস আগে জেনে যাব যে, ওই মাস থেকে কয়টি পদ খালি হবে। যাদের সনদ আছে প্রথমে তাদের মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হবে। যে এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক সেই এলাকায় দেয়ার চেষ্টা করা হবে। সেই এলাকার না হলে পাশের এলাকার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।
টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ও এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এ এম এম আজহার চুক্তিতে সই করেন।
বেসরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষক নিয়োগে নতুন নিয়ম করে গত ৩০ ডিসেম্বর পরিপত্র জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই পরিপত্র অনুযায়ী, পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষক নিয়োগের চাহিদাপত্র উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে পাঠাবে।
প্রতি বছর ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ইউএনও সব প্রতিষ্ঠানের চাহিদাপত্র একীভূত করে তা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ৩০ নভেম্বরের মধ্যে শিক্ষকদের চাহিদাপত্র এনটিআরসিতে জমা দেবেন।
এনটিআরসিএ প্রতিবছর শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা নিয়ে চাহিদা অনুযায়ী বিষয়ভিত্তিক জাতীয়, বিভাগ, জেলা ও উপজেলাওয়ারি মেধাক্রম করে ফল ঘোষণা করবে। এরপর শিক্ষকদের পছন্দ অনুযায়ী এনটিআরসিএ মেধাক্রম ধরে উপজেলাভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের প্রার্থী তালিকা করবে।
উপজেলায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে জেলার তালিকা এবং তাতেও প্রার্থী না পাওয়া গেলে বিভাগীয় তালিকাকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এর আগে যারা এনটিআরসিএ পরীক্ষায় পাস করেছেন তাদের মেধাক্রম প্রকাশ করেছে সরকার।