ঢাকা ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সম্পর্কহীন সন্তান পেতে ইন্টারনেটের দ্বারস্থ তরুণী, জন্ম নিল ‘ই-বেবি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:০৭:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ২৬১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মা হতে চেয়েছিলেন এক তরুণী। কিন্তু সেজন্য কোনো সম্পর্কে জড়াতে চাননি তিনি। তার সামনে কোনো গর্ভধারণ কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়ে সন্তান ধারণ করার রাস্তা খোলা ছিল। কিন্তু এতে খরচের হ্যাপাটা সামলানো বেশ কঠিনই হয়ে যাচ্ছিল তার জন্য। শেষমেষ অনলাইনেই অর্ডার করে বসেন শুক্রাণু। ইউটিউব দেখে সেই শুক্রাণু গর্ভে প্রবেশ করানোর পদ্ধতি শিখে নেন। ই-বে থেকে কেনেন প্রজনন প্রক্রিয়ার দরকারি জিনিসপত্র। তার যুক্তি অনলাইনে যখন সব কিছুই হচ্ছে, তখন সন্তান ধারণই আটকাবে কেন?

না সন্তান ধারণ আটকায়নি ৩৩ বছর বয়সী ব্রিটিশ তরুণী স্টেফনি টেলরের। নয় মাস পর দিব্যি সুস্থ এক মেয়ে সন্তান জন্ম দিয়েছেন তিনি। মেয়ের নাম রেখেছেন ইডেন। ইডেনকে অবশ্য নেটদুনিয়ায় ডাকা হচ্ছে ই-বেবি নামে। অনলাইনে লেনদেন, কেনাকাটা বা বার্তা প্রেরণের পদ্ধতিতে ইলেকট্রনিকের অদ্যাক্ষর ‘ই’ জুড়ে দেওয়া হয়। স্টেফনির কাহিনি শুনেও অনেকের মনে হয়েছে এই সন্তানের জন্মের সঙ্গেও ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে অনলাইন। তাই ইডেন আসলে ‘ই-বেবি’।

তবে সন্তান নেওয়ার গর্ভধারণ কেন্দ্রে না গিয়ে এই পথ বেছে নিলেন কেন জানতে চাইলে স্টেফনি বলেন, তিনি প্রথমে বেশ কয়েকটি গর্ভধারণ কেন্দ্রে তিনি যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু তাদের সন্তান ধারণ করানোর খরচ এতটাই বেশি যে বিকল্প খুঁজতে বাধ্য হন স্টেফনি।

পাঁচ বছরের এক ছেলে রয়েছে স্টেফনির। আরেকটি সন্তান নিতে চাইছিলেন তিনি। বিষয়টি এক বন্ধুকে জানাতে তিনিই স্টেফনিকে অনলাইনে শুক্রাণু কেনার একটি অ্যাপের সন্ধান দেন। ওই অ্যাপে শুক্রাণু দিতে ইচ্ছুক ব্যক্তির পরিবার থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্ত তথ্যই পাওয়া যায়। সেখান থেকেই নিজের সন্তানের জন্য শুক্রাণু দাতা খুঁজে নেন স্টেফনি।

স্টেফনি চেয়েছিলেন তার সন্তান দেখতে তার মতোই হোক। তাই তিনি এমন কাউকে খুঁজছিলেন, যার সঙ্গে তার শারীরিক গঠনে মিল রয়েছে। একই সঙ্গে স্বভাবের দিক থেকেও পরিবারমুখী মানুষ চাইছিলেন স্টেফনি। পছন্দমতো শুক্রাণু দাতা পেতে এক দিন লাগে তার। দু’সপ্তাহের মধ্যেই শুক্রাণু পেয়েও যান স্টেফনি। প্রথম চেষ্টাতেই সফল হন তিনি।

স্টেফনি জানান, প্রথমে এ ব্যাপারে তার পরিবারের কয়েক জন সদস্য রাজি না হলেও ইডেনের জন্মের পর তারা খুশি। সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় সন্তানের জন্ম দিতে পেরে স্টেফনিও গর্ববোধ করছেন বলে জানিয়েছেন।

Shares
facebook sharing button Share
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সম্পর্কহীন সন্তান পেতে ইন্টারনেটের দ্বারস্থ তরুণী, জন্ম নিল ‘ই-বেবি

আপডেট টাইম : ১০:০৭:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মা হতে চেয়েছিলেন এক তরুণী। কিন্তু সেজন্য কোনো সম্পর্কে জড়াতে চাননি তিনি। তার সামনে কোনো গর্ভধারণ কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়ে সন্তান ধারণ করার রাস্তা খোলা ছিল। কিন্তু এতে খরচের হ্যাপাটা সামলানো বেশ কঠিনই হয়ে যাচ্ছিল তার জন্য। শেষমেষ অনলাইনেই অর্ডার করে বসেন শুক্রাণু। ইউটিউব দেখে সেই শুক্রাণু গর্ভে প্রবেশ করানোর পদ্ধতি শিখে নেন। ই-বে থেকে কেনেন প্রজনন প্রক্রিয়ার দরকারি জিনিসপত্র। তার যুক্তি অনলাইনে যখন সব কিছুই হচ্ছে, তখন সন্তান ধারণই আটকাবে কেন?

না সন্তান ধারণ আটকায়নি ৩৩ বছর বয়সী ব্রিটিশ তরুণী স্টেফনি টেলরের। নয় মাস পর দিব্যি সুস্থ এক মেয়ে সন্তান জন্ম দিয়েছেন তিনি। মেয়ের নাম রেখেছেন ইডেন। ইডেনকে অবশ্য নেটদুনিয়ায় ডাকা হচ্ছে ই-বেবি নামে। অনলাইনে লেনদেন, কেনাকাটা বা বার্তা প্রেরণের পদ্ধতিতে ইলেকট্রনিকের অদ্যাক্ষর ‘ই’ জুড়ে দেওয়া হয়। স্টেফনির কাহিনি শুনেও অনেকের মনে হয়েছে এই সন্তানের জন্মের সঙ্গেও ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে অনলাইন। তাই ইডেন আসলে ‘ই-বেবি’।

তবে সন্তান নেওয়ার গর্ভধারণ কেন্দ্রে না গিয়ে এই পথ বেছে নিলেন কেন জানতে চাইলে স্টেফনি বলেন, তিনি প্রথমে বেশ কয়েকটি গর্ভধারণ কেন্দ্রে তিনি যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু তাদের সন্তান ধারণ করানোর খরচ এতটাই বেশি যে বিকল্প খুঁজতে বাধ্য হন স্টেফনি।

পাঁচ বছরের এক ছেলে রয়েছে স্টেফনির। আরেকটি সন্তান নিতে চাইছিলেন তিনি। বিষয়টি এক বন্ধুকে জানাতে তিনিই স্টেফনিকে অনলাইনে শুক্রাণু কেনার একটি অ্যাপের সন্ধান দেন। ওই অ্যাপে শুক্রাণু দিতে ইচ্ছুক ব্যক্তির পরিবার থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্ত তথ্যই পাওয়া যায়। সেখান থেকেই নিজের সন্তানের জন্য শুক্রাণু দাতা খুঁজে নেন স্টেফনি।

স্টেফনি চেয়েছিলেন তার সন্তান দেখতে তার মতোই হোক। তাই তিনি এমন কাউকে খুঁজছিলেন, যার সঙ্গে তার শারীরিক গঠনে মিল রয়েছে। একই সঙ্গে স্বভাবের দিক থেকেও পরিবারমুখী মানুষ চাইছিলেন স্টেফনি। পছন্দমতো শুক্রাণু দাতা পেতে এক দিন লাগে তার। দু’সপ্তাহের মধ্যেই শুক্রাণু পেয়েও যান স্টেফনি। প্রথম চেষ্টাতেই সফল হন তিনি।

স্টেফনি জানান, প্রথমে এ ব্যাপারে তার পরিবারের কয়েক জন সদস্য রাজি না হলেও ইডেনের জন্মের পর তারা খুশি। সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় সন্তানের জন্ম দিতে পেরে স্টেফনিও গর্ববোধ করছেন বলে জানিয়েছেন।

Shares
facebook sharing button Share