বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা তদন্তে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ে প্রবেশ করেছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ব্যাংক কার্যালয়ে প্রবেশ করে দলটি।
অর্গানাইজ ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার মির্জা আব্দুল্লাহেল বাকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় আমাদের তদন্ত টিমে ২০ জনেরও বেশি সদস্য রয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজন মতো যে কেউ বাংলাদেশ ব্যাংকে যেতে পারেন।’
ফেব্রুয়ারির শুরুতে ‘সুইফট ম্যাসেজ হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে’ অর্থ লোপাটের ওই ঘটনা বাংলাদেশের মানুষ জানতে পারে ২৯ ফেব্রুয়ারি ইনকোয়ারারের এক প্রতিবেদনে।
রিজার্ভের অর্থ চুরি যাওয়ার ৪০ দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে ওই মামলা করা হয়। মতিঝিল থানার ১৫ নম্বর মামলাটির তদন্তের ভার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। রিজার্ভের অর্থ চুরি যাওয়ার ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্তকাজ শুরুর পরই গতকাল বুধবার সিআইডির একটি তদন্ত দল দিনভর বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে সেখানকার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। পাশাপাশি আর্থিক লেনদেনের বার্তা আদান-প্রদানকারী আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সুইফটের বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা নেয়। আজও সিআইডির দলটি বাংলাদেশ ব্যাংকে যায়।
এদিকে সিনেট কমিটির অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফেডারেল রিজার্ভ অব নিউ ইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঞ্চিত ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ৫ ফেব্রুয়ারি ফিলিপিন্সের মাকাতি শহরে রিজল ব্যাংকের জুপিটার স্ট্রিট শাখায় ভুয়া নামে খোলা চারটি অ্যাকাউন্টে জমা হয়। পরে তা তুলে স্থানীয় মুদ্রা পেসোয় রূপান্তর করা হয়।
এর মধ্যে ৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার দুটি ক্যাসিনোর জুয়ার টেবিলে চলে যায় বলে সিনেট কমিটিকে জানিয়েছে ফিলিপিন্সের অ্যামিউজমেন্ট গেমিং করপোরেশন (পিএজিসিওআর), যারা ক্যাসিনোগুলোতে আর্থিক লেনদেনের নজরদারির দায়িত্বে রয়েছে।