দফায় দফায় রিমান্ড মঞ্জুর: ক্ষমা চাইলেন দুই বিচারক

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ড মঞ্জুর করায় হাইকোর্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন নিম্ন আদালতের দুই বিচারক। তারা হলেন- হলেন দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম। বুধবার হাইকোর্ট ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন জানান তারা।

লিখিত বক্তব্যে তারা জানান, ভুল হয়েছে অসাবধানতাবশত। ভবিষ্যতে রিমান্ড আদেশ দেয়ার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন দুই বিচারক। পাশাপাশি অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চান তারা।

এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর চিত্রনায়িকা পরীমনিকে দফায় দফায় রিমান্ড মঞ্জুরের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বিচারকদের কাছে ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট। পরিমনির মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন হাইকোর্ট। এছাড়া পরীমনির বিরুদ্ধে বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলার সব নথি ও মামলার কেস ডকেটও তলব করা হয়েছে।

এদিকে মাদক মামলায় হাজিরা দিকে বুধবার দুপুর ১২টায় আদালতে হাজিরা দিতে যাবেন পরীমনি। তার আইনজীবী মজিবুর রহমান বলেন, বুধবার মামলাটির তারিখ ধার্য রয়েছে। পরীমনি তাকে জানিয়েছেন, তিনি আদালতে হাজিরা দেবেন। দুপুর ১২টা থেকে ১টা নাগাদ তিনি আদালতে পৌঁছাবেন।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দের দাবি করে বাহিনীটি। পরের দিন পরীমনিকে আটকের কারণ জানানোর পাশাপাশি বনানী থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করে র‌্যাব।

ওই দিনই এই অভিনেত্রীকে আদালতে তোলা হলে প্রথম দফায় চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেয়া হয়। পরে আরও দুই দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। দ্বিতীয় দফায় পরীমনিকে দুই দিন এবং তৃতীয় দফায় আরও এক দিন তাকে রিমান্ডে পায় পুলিশ। সাত দিনের রিমান্ড শেষে পরীমনিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে আটক রাখা হয়।

৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ পরীমনিকে জামিন দেন। জামিন আদেশ কারাগারে পৌঁছালে পরদিন সকালে তিনি কারামুক্ত হয়ে বাসায় ফেরেন।

পরীমনির মামলাটি তদন্ত করছেন সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর