হাওর বার্তা ডেস্কঃ ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ক্লাবের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো দীর্ঘ ১২ বছর পর ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ফিরে এসে প্রথম ম্যাচেই নিউ ক্যাসেল ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করেছেন। রোনাল্ডো যতই অনন্য হোন না কেন, বয়সের একটা প্রভাব মানুষের ওপর কখনো না কখনো পড়েই, এটা বোঝেন ইউনাইটেডের ম্যানেজার ওলে গুনার সুলশার।
রোনাল্ডো যেন অতিরিক্ত ম্যাচ খেলতে গিয়ে বড় কোনো চোটে না পড়েন, সেটিও নিশ্চিত করার দায়িত্ব তার। এ জন্যই সুলশারের ইঙ্গিত, পর্তুগিজ তারকাকে হয়তো সব ম্যাচে না-ও খেলানো হতে পারে।
যে কারণে হয়তো চ্যাম্পিয়নস লিগের এই সপ্তাহের ম্যাচে ইউনাইটেডের হয়ে খেলতে না-ও দেখা যেতে পারে রোনাল্ডোকে। ‘হ্যাঁ, মঙ্গলবারে আমাদের একটা ম্যাচ আছে ইয়ং বয়েজের বিপক্ষে। দেখি কী করা যায়। রোনাল্ডোকে বসিয়ে রাখা অস্বাভাবিক কিছু না। তার বয়স এখন ৩৬, গ্রিনউডের ১৯। দুজনের ক্ষেত্রেই ব্যাপারটা এক।গ্রিনউডকেও যেমন বুঝেশুনে খেলাতে হবে, একজন ৩৬ বছর বয়সী খেলোয়াড়কেও বুঝেশুনে খেলাতে হবে। দলের মধ্যে যত বেশি মানসম্মত খেলোয়াড় আসবে, তত বেশি স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশের সৃষ্টি হবে ‘- পরিষ্কার জানিয়েছেন ম্যান ইউ কোচ।
রোনাল্ডো নিজে অবশ্য পুরোপুরি তৈরি। তিনি সাধারণত চোট না পেলে যত বেশি সম্ভব ম্যাচ খেলতে চান। কিন্তু বয়স বাড়ার জন্য তাকে বুঝে শুনে ব্যবহার করতে চান কোচ। সবচেয়ে বড় ব্যাপার তিনি ফিরে আসার পর ইউনাইটেড লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করেছে। সমর্থকরা মনে করছে তাদের লাকি মাসকট ফিরে এসেছে।