উপকূলীয় এলাকার সম্ভাবনা কাজে লাগানোর নির্দেশ কৃষিমন্ত্রীর

হাওর বার্তা ডেস্কঃ উপকূলের বিশাল এলাকায় কৃষি উৎপাদনের সম্ভাবনা পুরোপুরি কাজে লাগাতে
কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীদের নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক। তিনি
বলেন, দেশে খাদ্যের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এসব খাদ্যের যোগান অব্যাহত রাখতে
উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। আর উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের
উপকূলীয় এলাকায়। এ সম্ভাবনা পুরোপুরি কাজে লাগাতে সবাইকে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার
সাথে কাজ করতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী গতকাল যশোর সার্কিট হাউজে যশোর ও খুলনা অঞ্চলের কৃষি
কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আগে বছরে যেখানে একটি ফসল উৎপাদিত হতো, সেখানে এখন সীম
চাষ, তরমুজ, মরিচ প্রভৃতি চাষ হচ্ছে। মাছ চাষের সাথে এসব ফসলের চাষ কৃষির অভাবনীয়
সাফল্য। ড. রাজ্জাক আরো বলেন, কৃষিতে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি (প্রিসিসন
এগ্রিকালচার) ও রোবট ব্যবহারের মাধ্যমে আগামী দিনের খাদ্য উৎপাদনের চ্যালেঞ্জ
মোকাবিলা করতে হবে।
সভায় কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীরা দক্ষিণাঞ্চলের কৃষির সমস্যা, সম্ভাবনা ও
পরিকল্পনা তুলে ধরেন। ভবদহের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসনে বিএডিসির উদ্যোগের
প্রশংসা করে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন
ভট্টাচার্য বলেন, গতবছর বিএডিসি পাম্পের সাহায্যে পানি নিষ্কাশনে কাজ করেছে। এর ফলে
মানুষের বাড়িতে পানি উঠেনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আসাদুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায়
বিশেষ অতিথি হিসেবে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব ওয়াহিদা আক্তার ও বিএডিসির চেয়ারম্যান ড.
অমিতাভ সরকার ।
এর আগে কৃষিমন্ত্রী সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার কামারালী ও বাকরা
গ্রামে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের মাঠ পরিদর্শন ও কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেন।
এসময় পরমাণু শক্তি ব্যবহার করে টমেটোসহ শাকসবজি ফলমূলের সংরক্ষণকাল বাড়াতে
উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর